বাড়তি শুল্কে বাড়তে পারে নিম্নমানের শিশুখাদ্যের দৌরাত্ম্য

- আপডেট সময় : ০৩:৪২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
- / ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে

প্রস্তাবিত বাজেটে শিশুখাদ্যের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে পণ্যটির দাম বেশ খানিকটা বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, এমন সিদ্ধান্তে শিল্পে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাজারে বাড়তে পারে নিম্নমানের শিশুখাদ্যের দৌরাত্ম্য।
ঘরের বাইরে মায়ের কর্মজীবন, অসুস্থতাসহ নানা কারণে শিশুর জন্য বিকল্প খাবারের প্রয়োজন পড়ে। দেশের ৩০ থেকে ৪০ ভাগ শিশু মাতৃদুগ্ধ গ্রহণে অক্ষম। যারা ইনফ্যান্ট মিল্কের ওপরই নির্ভরশীল।
ক্রেতারা বলছেন, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নে গত তিন বছরে সব শিশুখাদ্যের দাম বেড়েছে ৩০ ভাগের বেশি। সেইসঙ্গে চড়া খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে নাকাল দশা।
এ বিষয়ে মাওলা ট্রেডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর হোসেন বলেন, রাজধানীর দোকানগুলোতে নান, সেরেলাক, বায়োমিল, বেবিকেয়ার ও বেবিল্যাকসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য দেখা যায়। যাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশে প্যাকেজিং হয়। বাণিজ্যিকভাবে আমদানি করা ও শুল্ক ফাঁকিতে লাগেজে আনা শিশুখাদ্যও বিক্রি হয় বাজারে। অনেক ক্ষেত্রে আমদানিকারকের নাম, ঠিকানাও অনুপস্থিত থাকে পণ্যের প্যাকেটে।
প্রস্তাবিত বাজেটে মল্ট এক্সট্যাক্ট ও ইনফ্যান্ট মিল্কের আমদানিতে কাস্টসম ডিউটি তিনগুণ করা হয়েছে। নেসলে বাংলাদেশ করপোরেট কমিউনিকেশনের ম্যানেজার তানজিনা তারিক বলেন, দুটো পণ্যে সমহারে শুল্ক প্রয়োগ বিভ্রান্তিকর। এতে এ শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইনফ্যান্ট মিল্ক আমদানির পর প্যাকেজিং ও বাজারজাতে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য সংযোজন হয়। দেশে এ পণ্যের বার্ষিক বাজারের আকার প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।