ইরানের সঙ্গে সংঘর্ষের পর চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়া ইসরায়েল থেকে সরকারি বিমানে করে ১৮১ জনকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে।

ইরানের ওপর হামলা চালানোর পর শুক্রবার ইসরায়েল তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে উদ্ধারকারী বিমান পাঠানো প্রথম দেশগুলোর মধ্যে এই দুটি দেশই অন্যতম।

মঙ্গলবার সকালে ৬৬ জন আরোহী নিয়ে চেক সরকারের একটি বিমান প্রাগে অবতরণ করেছে এবং স্লোভাকিয়ার দুটি বিমান গত দুই দিনে ১১৫ জনকে ব্রাতিস্লাভায় নিয়ে গেছে।

“আমি খুশি যে তারা সবাই ভালো আছে। চেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানা সেরনোচোভা চেক ফ্লাইট সম্পর্কে বলেন, কঠিন পরিবেশে পরিবহন সত্যিই চাহিদাপূর্ণ ছিল।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগই চেক প্রজাতন্ত্রের নাগরিক।

আকাশসীমা বন্ধের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সরাসরি ইসরায়েলে সামরিক বিমান পাঠানো সম্ভব ছিল না।

“উচ্ছেদকৃতদের বাসে করে প্রতিবেশী একটি দেশের বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা পায়ে হেঁটে সীমান্ত অতিক্রম করেছে।

চেক গণমাধ্যম জানিয়েছে, সোমবার সকালে তেল আবিব থেকে মিসরের শার্ম আল শেখের বিমানে ওঠে তাদের বহর।

স্লোভাকিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুরাজ ব্লানার জানান, ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে স্লোভাকিয়া, চেক, অস্ট্রিয়া, স্লোভেনিয়ার নাগরিক ও অন্যান্য দেশের নাগরিক সোমবার গ্রিনিচ মান সময় বিকেল ৫টার আগেই ব্রাতিস্লাভায় অবতরণ করে।

স্লোভাকিয়ার আরেকটি বিমান মঙ্গলবার সাইপ্রাসের লারনাকা থেকে বিভিন্ন দেশের ৪২ জন যাত্রীকে ব্রাতিস্লাভায় নিয়ে আসে।

প্রাগ এবং ব্রাতিস্লাভা উভয়ই আগামী দিনে মধ্য প্রাচ্যে আরও বিমান পাঠানোর কথা ভাবছে।

ইসরায়েল শুক্রবার ইরানের ওপর বোমাবর্ষণ শুরু করে এবং বলেছে যে এর লক্ষ্য তার শক্ত শত্রুকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা।

ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২২৪ জন নিহত ও এক হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, প্রতিশোধ হিসেবে ইরান শুক্রবার থেকে ইসরায়েলে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে যাতে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে।