ইরানের প্রতি পূর্ণ কূটনৈতিক সমর্থন পুনর্ব্যক্ত ও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে অবিলম্বে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র শাফকত আলী খান বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসন আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন এবং সমগ্র অঞ্চলের জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি বলেন, ‘এই অযৌক্তিক আগ্রাসন শুধু বেআইনি নয়, বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে প্রজ্বালিত করে একটি বিস্তৃত সংঘাতের আশঙ্কা সৃষ্টি করছে।’

তিনি জাতিসংঘ ও বৈশ্বিক শক্তিগুলোকে ইসরায়েলের দায়িত্ব নিশ্চিত করতে এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানাতে বলেন। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে মধ্যপ্রাচ্যকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল ঘোষণারও আহ্বান জানানো হয়।

মুখপাত্র আরও বলেন, ‘ইরান আমাদের প্রতিবেশী ও ধর্মীয়ভাবে ঘনিষ্ঠ একটি দেশ, তাই স্বাভাবিকভাবেই আমরা তাদের জনগণ ও প্রেক্ষাপটকে ভালোভাবে বুঝি।’

এদিকে, ইরানে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থী ও তীর্থযাত্রীসহ ৩ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানি নাগরিক রয়েছেন। তাদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানানো হয়। ফেরত আনার কাজ এখনো চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে, বুধবার সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পাকিস্তানি ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের মধ্যে হোয়াইট হাউসে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ।

আইএসপিআর জানিয়েছে, বৈঠকে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও খনিজ সম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়।

শাফকত আলী খান বলেন, ‘যা ইরানে ঘটছে তা আমাদের সম্মিলিত ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কূটনীতি যেন সবার আগে স্থান পায়, এটাই আমাদের অঙ্গীকার।’