ঢাকা ০৪:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

ফেব্রুয়ারিতে ভোটের সময় ধরে এগোচ্ছে বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ধরে প্রস্তুত হচ্ছে বিএনপি। প্রার্থী বাছাই, ইশতেহার, নির্বাচনি জোট-এই তিনটি বিষয় সামনে রেখে এগুচ্ছে দলটি।

প্রার্থী মনোনয়নে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে ত্যাগী, সৎ ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নেতাদের। অনেক নতুন মুখ থাকলেও নবীন-প্রবীনের সমন্বয়ে প্রার্থী দেওয়া হবে জানিয়েছেন দলটির নীতি-নির্ধারণী নেতারা।

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে আলোচনার পর এখন ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ধরে কাজ শুরু করছেন দলের নীতি নির্ধারকরা। প্রতি আসনে একাধিক প্রার্থী থাকায় মনোনয়নে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে মাঠে পর্যায়ে চলমান আছে একাধিক জরিপ।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা জানান, একাধিক নয়, এবার একজন প্রার্থীকেই ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হবে। বাদ যাবেন অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য বিতর্কিক ব্যক্তিরা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন, প্রার্থী বাছাই এবং সাংগঠনিক কিছু কাজকর্মসহ নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় যে কাজগুলো থাকে সেগুলোর গতি বাড়িয়েছি আমরা।’

তিনি বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ের নেতা–কর্মীদের মতটা সবচেয়ে প্রাধান্য পাবে। সার্বিক বিষয়গুলোকে এক সাথে মূল্যায়ন করব। ত্যাগ, গ্রহণযোগ্যতা, জনপ্রিয়তা এসবই।’

বিএনপি নেতারা জানান, প্রার্থী মনোনয়নে তরুণ নেতারা অগ্রাধিকার পেতে পারেন। দেখা যেতে পারে অনেক নতুন মুখ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এমন কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে যার গ্রহণযোগ্যতা, এলাকায় জনপ্রিয়তা আছে। জনগণ যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে, এটা প্রথম বিষয়। দলের প্রতি যার ত্যাগ আছে, দীর্ঘদিন দলের প্রতি বিশ্বস্ত ছিল, দলে আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা ছিল।’

তিনি বলেন, ‘এত বছর অনেক নতুন প্রার্থী এসেছে। সুতরাং নবীন–প্রবীণ মিলিয়ে ভারসাম্য রেখেই মনোনয়ন দেওয়া হবে।’

মনোনয়নের ক্ষেত্রে ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের বর্তমান অবস্থানও পর্যালোচনা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফেব্রুয়ারিতে ভোটের সময় ধরে এগোচ্ছে বিএনপি

আপডেট সময় : ০১:১৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ধরে প্রস্তুত হচ্ছে বিএনপি। প্রার্থী বাছাই, ইশতেহার, নির্বাচনি জোট-এই তিনটি বিষয় সামনে রেখে এগুচ্ছে দলটি।

প্রার্থী মনোনয়নে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে ত্যাগী, সৎ ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নেতাদের। অনেক নতুন মুখ থাকলেও নবীন-প্রবীনের সমন্বয়ে প্রার্থী দেওয়া হবে জানিয়েছেন দলটির নীতি-নির্ধারণী নেতারা।

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে আলোচনার পর এখন ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ধরে কাজ শুরু করছেন দলের নীতি নির্ধারকরা। প্রতি আসনে একাধিক প্রার্থী থাকায় মনোনয়নে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে মাঠে পর্যায়ে চলমান আছে একাধিক জরিপ।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা জানান, একাধিক নয়, এবার একজন প্রার্থীকেই ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হবে। বাদ যাবেন অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য বিতর্কিক ব্যক্তিরা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন, প্রার্থী বাছাই এবং সাংগঠনিক কিছু কাজকর্মসহ নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় যে কাজগুলো থাকে সেগুলোর গতি বাড়িয়েছি আমরা।’

তিনি বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ের নেতা–কর্মীদের মতটা সবচেয়ে প্রাধান্য পাবে। সার্বিক বিষয়গুলোকে এক সাথে মূল্যায়ন করব। ত্যাগ, গ্রহণযোগ্যতা, জনপ্রিয়তা এসবই।’

বিএনপি নেতারা জানান, প্রার্থী মনোনয়নে তরুণ নেতারা অগ্রাধিকার পেতে পারেন। দেখা যেতে পারে অনেক নতুন মুখ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এমন কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে যার গ্রহণযোগ্যতা, এলাকায় জনপ্রিয়তা আছে। জনগণ যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে, এটা প্রথম বিষয়। দলের প্রতি যার ত্যাগ আছে, দীর্ঘদিন দলের প্রতি বিশ্বস্ত ছিল, দলে আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা ছিল।’

তিনি বলেন, ‘এত বছর অনেক নতুন প্রার্থী এসেছে। সুতরাং নবীন–প্রবীণ মিলিয়ে ভারসাম্য রেখেই মনোনয়ন দেওয়া হবে।’

মনোনয়নের ক্ষেত্রে ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের বর্তমান অবস্থানও পর্যালোচনা করা হবে।