ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বৃষ্টিতে নোয়াখালী শহরে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে মানুষ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:১৭:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দুই দিনের বৃষ্টিতে নোয়াখালী জেলা শহর জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানিতে সয়লাভ হয়ে গেছে। শহরের বিভিন্ন সড়ক, আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান জলাবদ্ধ হয়ে গেছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনা ও দুর্বালতায় পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এতে বিপাকে পড়েছে কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থীরা, রোগী ও সাধারণ পথচারীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের প্রাণকেন্দ্রের জজ কোর্ট সড়ক, জেলা প্রশাসক সংলগ্ন সড়ক, পৌর বাজার, লক্ষীনারায়নপুর সড়ক, হরিনারায়ণপুর সড়ক, দরগা বাড়ি ও খন্দকারপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানের সড়কে ও দোকানপাটে পানি উঠেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম বলেন, প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হলেই শহরে এমন জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোনো উদ্যোগ আমরা দেখি না ৷ পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ও সক্রিয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার আশঙ্কা বাড়ছে।

আনিসুর রহমান নামে আরেকজন বলেন, যদি বৃষ্টিপাত না কমে এবং নিষ্কাশন কার্যক্রম শুরু না হয় পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।

ইকবাল নামে শহরের আরেক বাসিন্দা বলেন, শহরের প্রধান আবাসিক এলাকা হাউজিং পানিতে সয়লাভ। টেকসই ড্রেনেজ ব্যবস্থার উদ্যোগ না নেওয়া হলে আগামী দিনে স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিবে।

জেলা আওহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, শহরের পুকুর ও জলাশয়গুলোতে পানি কানায় কানায় পূর্ণ। তাই বৃষ্টির পানি সড়কে এসে গেছে। আমরা জলাবদ্ধতা নিয়ে একাধিকবার বসেছি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি। জনগণের সহযোগিতাও প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বৃষ্টিতে নোয়াখালী শহরে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে মানুষ

আপডেট সময় : ০৪:১৭:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

দুই দিনের বৃষ্টিতে নোয়াখালী জেলা শহর জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানিতে সয়লাভ হয়ে গেছে। শহরের বিভিন্ন সড়ক, আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান জলাবদ্ধ হয়ে গেছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনা ও দুর্বালতায় পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এতে বিপাকে পড়েছে কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থীরা, রোগী ও সাধারণ পথচারীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের প্রাণকেন্দ্রের জজ কোর্ট সড়ক, জেলা প্রশাসক সংলগ্ন সড়ক, পৌর বাজার, লক্ষীনারায়নপুর সড়ক, হরিনারায়ণপুর সড়ক, দরগা বাড়ি ও খন্দকারপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানের সড়কে ও দোকানপাটে পানি উঠেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম বলেন, প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হলেই শহরে এমন জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোনো উদ্যোগ আমরা দেখি না ৷ পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ও সক্রিয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার আশঙ্কা বাড়ছে।

আনিসুর রহমান নামে আরেকজন বলেন, যদি বৃষ্টিপাত না কমে এবং নিষ্কাশন কার্যক্রম শুরু না হয় পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।

ইকবাল নামে শহরের আরেক বাসিন্দা বলেন, শহরের প্রধান আবাসিক এলাকা হাউজিং পানিতে সয়লাভ। টেকসই ড্রেনেজ ব্যবস্থার উদ্যোগ না নেওয়া হলে আগামী দিনে স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিবে।

জেলা আওহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, শহরের পুকুর ও জলাশয়গুলোতে পানি কানায় কানায় পূর্ণ। তাই বৃষ্টির পানি সড়কে এসে গেছে। আমরা জলাবদ্ধতা নিয়ে একাধিকবার বসেছি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি। জনগণের সহযোগিতাও প্রয়োজন।