ঢাকা ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কাতারের ঘাঁটিতে মার্কিন সামরিক বিমান নেই: স্যাটেলাইট চিত্র

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
  • / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কয়েক ডজন মার্কিন সামরিক বিমান কাতারের একটি প্রধান মার্কিন ঘাঁটির টারম্যাকে আর নেই, স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে – ইরানের বিমান হামলা থেকে তাদের রক্ষা করার সম্ভাব্য পদক্ষেপ, যখন ওয়াশিংটন ইসরায়েলের সাথে তেহরানের সংঘাতে হস্তক্ষেপ করবে কিনা তা বিবেচনা করছে।

প্ল্যানেট ল্যাবস পিবিসি প্রকাশিত এবং এএফপির বিশ্লেষণ করা ছবিতে দেখা গেছে, ৫ থেকে ১৯ জুনের মধ্যে আল উদেইদ ঘাঁটিতে দৃশ্যমান প্রায় সব বিমানই এখন আর কোথাও নেই।

হারকিউলিস সি-১৩০ এবং রিকনাইসেন্স এয়ারক্রাফটের মতো পরিবহন বিমানসহ প্রায় ৪০টি সামরিক বিমান ৫ জুন টারম্যাকে পার্ক করা হয়েছিল। ১৯ জুন তোলা ছবিতে মাত্র তিনটি বিমান দেখা যাচ্ছে।

কাতারের মার্কিন দূতাবাস বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে “অতিরিক্ত সতর্কতা এবং চলমান আঞ্চলিক শত্রুতার আলোকে” ঘাঁটিতে প্রবেশ সীমিত করা হবে এবং কর্মীদের “বাড়তি নজরদারি অনুশীলন” করার আহ্বান জানিয়েছে।

হোয়াইট হাউস বলছে, ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলায় যোগ দেবেন কিনা সে বিষয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর ওই অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে পাল্টা জবাব দিতে পারে ইসলামি প্রজাতন্ত্রটি।

মার্কিন সেনাবাহিনীর সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল ও র ্যান্ড করপোরেশনের প্রতিরক্ষা গবেষক মার্ক শোয়ার্টজ বলেন, ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থানের কারণে আল উদেইদের কর্মী, বিমান ও স্থাপনাগুলো ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’ হয়ে পড়বে।

মধ্যপ্রাচ্যে দায়িত্ব পালন করা শোয়ার্টজ এএফপিকে বলেন, এমনকি শ্রাপনেলও বিমানটিকে ‘অ-মিশন সক্ষম’ করে তুলতে পারে।

“আপনি মার্কিন বাহিনী, কর্মী ও সরঞ্জাম উভয়ের ঝুঁকি হ্রাস করতে চান,” তিনি বলেছিলেন।

জুনের শুরু থেকে টারম্যাক ছেড়ে যাওয়া বিমানগুলো হ্যাঙ্গার বা ওই অঞ্চলের অন্য কোনো ঘাঁটিতে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য এএফপির অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি মার্কিন সামরিক বাহিনী।

প্রায় এক সপ্তাহ আগে ইরানে ইসরায়েলের প্রথম হামলার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, পথে একটি অতিরিক্ত বিমানবাহী রণতরী এবং উল্লেখযোগ্য বিমান চলাচল রয়েছে।

ওপেন সোর্স ডেটা ট্র্যাকিং এয়ারক্রাফট পজিশনিং বিশ্লেষণ করে এএফপি জানিয়েছে, কেসি-৪৬এ পেগাসাস এবং কেসি-১৩৫ স্ট্রাটোট্যাঙ্কার বিমান ১৫ থেকে ১৮ জুনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপে গেছে।

তাদের মধ্যে ২৫ জন বুধবার পর্যন্ত ইউরোপে ছিলেন, যার মধ্যে মাত্র দুজন আমেরিকার মাটিতে ফিরে এসেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

কাতারের ঘাঁটিতে মার্কিন সামরিক বিমান নেই: স্যাটেলাইট চিত্র

আপডেট সময় : ০১:১২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

কয়েক ডজন মার্কিন সামরিক বিমান কাতারের একটি প্রধান মার্কিন ঘাঁটির টারম্যাকে আর নেই, স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে – ইরানের বিমান হামলা থেকে তাদের রক্ষা করার সম্ভাব্য পদক্ষেপ, যখন ওয়াশিংটন ইসরায়েলের সাথে তেহরানের সংঘাতে হস্তক্ষেপ করবে কিনা তা বিবেচনা করছে।

প্ল্যানেট ল্যাবস পিবিসি প্রকাশিত এবং এএফপির বিশ্লেষণ করা ছবিতে দেখা গেছে, ৫ থেকে ১৯ জুনের মধ্যে আল উদেইদ ঘাঁটিতে দৃশ্যমান প্রায় সব বিমানই এখন আর কোথাও নেই।

হারকিউলিস সি-১৩০ এবং রিকনাইসেন্স এয়ারক্রাফটের মতো পরিবহন বিমানসহ প্রায় ৪০টি সামরিক বিমান ৫ জুন টারম্যাকে পার্ক করা হয়েছিল। ১৯ জুন তোলা ছবিতে মাত্র তিনটি বিমান দেখা যাচ্ছে।

কাতারের মার্কিন দূতাবাস বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে “অতিরিক্ত সতর্কতা এবং চলমান আঞ্চলিক শত্রুতার আলোকে” ঘাঁটিতে প্রবেশ সীমিত করা হবে এবং কর্মীদের “বাড়তি নজরদারি অনুশীলন” করার আহ্বান জানিয়েছে।

হোয়াইট হাউস বলছে, ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলায় যোগ দেবেন কিনা সে বিষয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর ওই অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে পাল্টা জবাব দিতে পারে ইসলামি প্রজাতন্ত্রটি।

মার্কিন সেনাবাহিনীর সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল ও র ্যান্ড করপোরেশনের প্রতিরক্ষা গবেষক মার্ক শোয়ার্টজ বলেন, ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থানের কারণে আল উদেইদের কর্মী, বিমান ও স্থাপনাগুলো ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’ হয়ে পড়বে।

মধ্যপ্রাচ্যে দায়িত্ব পালন করা শোয়ার্টজ এএফপিকে বলেন, এমনকি শ্রাপনেলও বিমানটিকে ‘অ-মিশন সক্ষম’ করে তুলতে পারে।

“আপনি মার্কিন বাহিনী, কর্মী ও সরঞ্জাম উভয়ের ঝুঁকি হ্রাস করতে চান,” তিনি বলেছিলেন।

জুনের শুরু থেকে টারম্যাক ছেড়ে যাওয়া বিমানগুলো হ্যাঙ্গার বা ওই অঞ্চলের অন্য কোনো ঘাঁটিতে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য এএফপির অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি মার্কিন সামরিক বাহিনী।

প্রায় এক সপ্তাহ আগে ইরানে ইসরায়েলের প্রথম হামলার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, পথে একটি অতিরিক্ত বিমানবাহী রণতরী এবং উল্লেখযোগ্য বিমান চলাচল রয়েছে।

ওপেন সোর্স ডেটা ট্র্যাকিং এয়ারক্রাফট পজিশনিং বিশ্লেষণ করে এএফপি জানিয়েছে, কেসি-৪৬এ পেগাসাস এবং কেসি-১৩৫ স্ট্রাটোট্যাঙ্কার বিমান ১৫ থেকে ১৮ জুনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপে গেছে।

তাদের মধ্যে ২৫ জন বুধবার পর্যন্ত ইউরোপে ছিলেন, যার মধ্যে মাত্র দুজন আমেরিকার মাটিতে ফিরে এসেছেন।