ইসরায়েলে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও ইরান এখনো নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেনি বলে মনে করেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
গত ১৩ জুন কোনো উসকানি ছাড়াই ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। জবাবে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীও (আইআরজিসি) ইসরায়েলে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে। গত শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্ত ১৩ দফায় ইসরায়েল লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইরান দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালেও এখন পর্যন্ত নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেনি। তারপরও ইরানের হামলাগুলোর বিশেষ ১০টি বৈশিষ্ট্য ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে একপ্রকার অকার্যকর করে দিয়েছে।
আজ শুক্রবারেও ইসরায়েলে বহুজাতিক আমেরিকান প্রযুক্তি কোম্পানি মাইক্রোসফটের কার্যালয়ের কাছে হামলা চালিয়েছে ইরান। দক্ষিণাঞ্চলীয় বিরসেবা শহরে এ হামলায় কার্যালয়টির কাছে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু আবাসিক ভবন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সোরোকা হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইরানের হামলায়। সপাতালে হামলার বিষয়ে ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক ও গোয়েন্দা কার্যালয়ে হামলা হয়েছে। হাসপাতালে হামলার উদ্দেশ্য নয়। তবে মাইক্রোসফটের কার্যালয়ের কাছে হামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য এখনও আসেনি।
গত ১৩ জুন ভোররাতে ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি পক্ষে বলা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে ইসরায়েল ও এর বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্রসহ ড্রোন হামলার আশঙ্কা থেকে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় আগাম প্রতিরোধমূলক হামলা চালানো হয়েছে।
ওই হামলা এখনো অব্যাহত রয়েছে। জবাবে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইরানও। আজ অষ্টম দিনে গড়াল ইসরায়েল–ইরান সংঘাত। সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ইরানে অন্তত ৬৩৯ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন-ভিত্তিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস। ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ২৪। সুত্র : তাসনিম নিউজ