ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি জরুরি সেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) জানিয়েছে, বিস্ফোরণে অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর এবং ১৮ জন সামান্য আহত হয়েছেন।
এমডিএ জানিয়েছে, কারমেল শহরে সাইরেন বাজানোর সময় ৫১ বছর বয়সী এক নারী আশ্রয়কেন্দ্রে পড়ে যান, হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং মারা যান।
হাইফার মেয়র ইয়োনা ইয়াহাভ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বলেন, 'আমি খুবই হতাশাগ্রস্ত। দুটি কৌশলগত পয়েন্টে ইরানিরা আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথ।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে।
ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ২৫টি রকেট ছোড়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ইসরায়েলের মধ্য, উত্তর ও দক্ষিণ ইসরায়েলের বৃহত্তর তেল আবিব, হাইফা ও বেরশেবা এলাকার ছয়টি স্থানে ইরানি রকেট পড়েছে।
পরে ইসরায়েলি আর্মি রেডিও জানায়, আজ সকালে বেরশেবা শহরে যে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রটি পড়েছে সেটি 'ক্লাস্টার মিসাইল' ছিল এবং এতে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আনাদোলুর এক সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার সময় মধ্য ইসরায়েলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ইসরায়েলের সামরিক কেন্দ্র, প্রতিরক্ষা শিল্প, কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র এবং নেভাতিম ও হাটজেরিম বিমান ঘাঁটিসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
গত শুক্রবার ইসরায়েল সামরিক ও পরমাণু স্থাপনাসহ ইরানের বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালালে তেহরান পাল্টা হামলা চালায়।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এরপর থেকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে।
এদিকে ইরানি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ইরানে ৬৩৯ জন নিহত ও ১৩০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। সুত্র : আনাদোলু এজেন্সি