ঢাকা ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ১৩ শতাংশ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৩৫:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
  • / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০২৪ সালে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ-এফডিআই কমেছে ১৩ শতাংশ। গত বছর নিট এফডিআই এসেছে ১২৭ কোটি ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা। ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার বলছে, নীতির ধারাবাহিকতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও ব্যবসার পরিবেশ সূচকে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে এসব জায়গায় উন্নতির পাশাপাশি দেশের শক্তিশালী ব্র্যান্ডিং-এর তাগিদ সংগঠনটির।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে বিদেশি বিনিয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে এমন বিনিয়োগ আকর্ষণে পিছিয়ে রয়েছে দেশ। ২০২৪ সালে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে মাত্র ১২৭ কোটি ডলার। যা ২০২৩ সালে ছিল ১৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাডের বিশ্ব বিনিয়োগ রিপোর্টে বিদেশি বিনিয়োগ বিষয়ে এ তথ্য উঠে এসেছে।

গতবছর শেষে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের স্থিতি ১ হাজার ৮২৯ কোটি ডলার, যা জিডিপির মাত্র ৪ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের এমন বিনিয়োগ ১৪ শতাংশ। ভুটানে এ হার ১৭ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বী কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনামে গতবছর বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে যথাক্রমে ১১ এবং ৯ শতাংশ। ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার বলছে, এদেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতির নাজুক অবস্থা দীর্ঘদিনের।

ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জাভেদ আখতার বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগ নির্ভর করে একটা দেশের বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর, নীতি নির্ধারণের ওপর এবং দেশের ভেতর একটা জিনিস তৈরি করা কতটা সহজতর হয়। আমরা তিনটা জিনিসে খুব একটা ভালো না। একটা দেশের বিশ্বাসযোগ্যতার পলিসি খুবই কম।’

গেল বছর বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগে ঘোষিত অর্থের পরিমাণও কমে দাড়িয়েছে ১৭৫ কোটি ডলারে। যা ২০২৩ সালে ছিল ২৭০ কোটি ডলার। এমন ঘোষণা ভবিষ্যতের প্রকৃত বিনিয়োগের আভাস দেয়। তবে বিনিয়োগকারীরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছে, যার সুফল মিলবে ভবিষ্যতে।

জাভেদ আখতার বলেন, ‘একটা বড় কাজ করতে হবে, আমাদের দেশের ব্র্যান্ডটা বাড়াতে হবে। আমাদের বিদেশি বিনিয়োগ ইস্যুটা হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী ইস্যু। বাংলাদেশ যে একটি বিনিয়োগ বান্ধব সেটা বিক্রি করতে হবে। এটার জন্য অনেক সময়ের দরকার।’

বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, সচল অথর্নীতি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও জরুরি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ১৩ শতাংশ

আপডেট সময় : ১০:৩৫:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

২০২৪ সালে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ-এফডিআই কমেছে ১৩ শতাংশ। গত বছর নিট এফডিআই এসেছে ১২৭ কোটি ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা। ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার বলছে, নীতির ধারাবাহিকতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও ব্যবসার পরিবেশ সূচকে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে এসব জায়গায় উন্নতির পাশাপাশি দেশের শক্তিশালী ব্র্যান্ডিং-এর তাগিদ সংগঠনটির।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে বিদেশি বিনিয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে এমন বিনিয়োগ আকর্ষণে পিছিয়ে রয়েছে দেশ। ২০২৪ সালে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে মাত্র ১২৭ কোটি ডলার। যা ২০২৩ সালে ছিল ১৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাডের বিশ্ব বিনিয়োগ রিপোর্টে বিদেশি বিনিয়োগ বিষয়ে এ তথ্য উঠে এসেছে।

গতবছর শেষে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের স্থিতি ১ হাজার ৮২৯ কোটি ডলার, যা জিডিপির মাত্র ৪ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের এমন বিনিয়োগ ১৪ শতাংশ। ভুটানে এ হার ১৭ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বী কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনামে গতবছর বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে যথাক্রমে ১১ এবং ৯ শতাংশ। ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার বলছে, এদেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতির নাজুক অবস্থা দীর্ঘদিনের।

ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জাভেদ আখতার বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগ নির্ভর করে একটা দেশের বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর, নীতি নির্ধারণের ওপর এবং দেশের ভেতর একটা জিনিস তৈরি করা কতটা সহজতর হয়। আমরা তিনটা জিনিসে খুব একটা ভালো না। একটা দেশের বিশ্বাসযোগ্যতার পলিসি খুবই কম।’

গেল বছর বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগে ঘোষিত অর্থের পরিমাণও কমে দাড়িয়েছে ১৭৫ কোটি ডলারে। যা ২০২৩ সালে ছিল ২৭০ কোটি ডলার। এমন ঘোষণা ভবিষ্যতের প্রকৃত বিনিয়োগের আভাস দেয়। তবে বিনিয়োগকারীরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছে, যার সুফল মিলবে ভবিষ্যতে।

জাভেদ আখতার বলেন, ‘একটা বড় কাজ করতে হবে, আমাদের দেশের ব্র্যান্ডটা বাড়াতে হবে। আমাদের বিদেশি বিনিয়োগ ইস্যুটা হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী ইস্যু। বাংলাদেশ যে একটি বিনিয়োগ বান্ধব সেটা বিক্রি করতে হবে। এটার জন্য অনেক সময়ের দরকার।’

বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, সচল অথর্নীতি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও জরুরি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।