যেকোনো সময় ইসরাইলের হাতে গুপ্ত হত্যার শিকার হতে পারেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। সেই শঙ্কা থেকে তার অবর্তমানে দায়িত্ব পালনের জন্য পরবর্তী তিন জনের নাম প্রস্তাব করেন তিনি। যুদ্ধ আরো দীর্ঘায়িত হওয়ার শঙ্কায় তাদের এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানে দাপটের সঙ্গে শাসন করে আসছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ইসলামিক শাসন কায়েম ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসরাইলকে উৎখাতে সর্বদা সোচ্চার রয়েছেন তিনি।
এমনকি যারাই ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে তাদের সহায়তা করেছেন খামেনি। যার জ্বলন্ত উদাহরণ ইরানের প্রক্সিগ্রুপ হামাস, হিজবুল্লাহ, হুথির মতো বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো।
আর তার এ কর্মকাণ্ডের জন্য পশ্চিমা ও তাদের মিত্রদের চক্ষুশুলে পরিণত হন ৮৬ বছর বয়সী আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ইসলামি বিপ্লবের আগে যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ছিল ইরানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, তারাই চরম শত্রুতে রূপ বদলায়।
তবে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি বিচক্ষণতার সঙ্গে মোকাবিলা করে আসছেন ক্যারিসম্যাটিক এই নেতা।
তাই ইরান-ইসরাইল সংঘাতে ইরানের পথপ্রদর্শক এই নেতার দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা মুসলিম বিশ্ব। তার হুকুমেই শত্রুপক্ষের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছে আইআরজিসির সদস্যরা। গোপণে অবস্থান নিয়ে হলেও দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন তার সতীর্থদের।
তবে শুক্রবার (১৩ জুন) ইরান ভূ-খণ্ডে ইসরাইলের নিখুঁত হামলায় বিপ্লবী গার্ড কমান্ডারদের মৃত্যুর পর শঙ্কা জেগেছে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রাণনাশের। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র খামেনির অবস্থান জানেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
ইসরাইলের গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের কাছে অনেকটা কাবু তেহরান। বিষয়টি বুঝতে পেরে খোদ খামেনিও তার পরবর্তী অনুসারী কে হবেন সে বিষয়ে ভাবছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে খবর প্রকাশ করেছে দ্যা জেরুজালেম পোস্ট।
খামেনি জানান, সংসদীয় কমিটির কাছে তার অবর্তমানে দায়িত্ব পালনের জন্য তিন ব্যাক্তির নাম প্রস্তাব করেন তিনি। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের নাম এখনই প্রকাশ করা হচ্ছে না।
তবে তাদের প্রস্তুত করা হচ্ছে সামনের দিনগুলোর জন্য। কারণ যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে আরজিসির উচ্চ পদস্থ কমান্ডারদেরও প্রস্তুত থাকার নির্দেশ তার।