ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে ইরানের পরমাণু সংস্থা রোববার তাদের তিনটি অত্যন্ত সুরক্ষিত পরমাণু স্থাপনায় হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থা (এইওআই) এক বিবৃতিতে বলেছে, তিনটি সাইট একটি "নৃশংস আক্রমণের" আওতায় এসেছে, যা "আন্তর্জাতিক আইন" লঙ্ঘন করেছে, বিশেষ করে পারমাণবিক বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি), যার মধ্যে ইরান একটি স্বাক্ষরকারী।
সংস্থাটি বলেছে, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) 'উদাসীনতা' বা 'যোগসাজশে' এই 'বেআইনি পদক্ষেপ' নেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে পরমাণু স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে 'সিদ্ধান্তহীনতার' অভিযোগ এনে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে ইরান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলার দায় স্বীকার করার পরপরই এইওআইয়ের এই বিবৃতি এলো।
তিনি বলেন, ফোরদো, নাতাঞ্জ ও এসফাহানসহ ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় আমরা অত্যন্ত সফল হামলা সম্পন্ন করেছি।
সব বিমানই এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে। #Fordow প্রাথমিক সাইটে বোমাগুলির একটি সম্পূর্ণ পেলোড ফেলা হয়েছিল।
গত সপ্তাহে ইসরাইল ইরানের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কমান্ডার ও পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করার পর ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের অনুমোদন দিয়েছিলেন বলে মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
পেন্টাগন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের বিমান ঘাঁটি থেকে বি-২ বোমারু বিমান পারস্য উপসাগরের দিকে মোতায়েন করছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর ট্রাম্প এ ঘোষণা দিলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাইবারস্পেসের মাধ্যমে এসব হামলার দায় স্বীকার করেছেন, যা 'সুরক্ষা চুক্তি ও এনপিটি অনুযায়ী আইএইএ'র পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
এতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে 'জঙ্গলের নিয়মের ভিত্তিতে অরাজকতা'র নিন্দা জানাতে এবং ইরানের বৈধ অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি বলেছে যে এটি তার এজেন্ডায় রেখেছে "মহান ইরানি জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য আইনি ফলো-আপ পদক্ষেপসহ প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ"।
পর্যবেক্ষকদের মতে, পরমাণু স্থাপনায় হামলার ফলে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে, ইরান এই অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালাতে পারে বা হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে।