ঢাকা ০৬:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার পর সংঘাত আরও বাড়তে পারে এমন উত্তেজনা এড়াতে সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স :::: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীকে 'উদ্বেগজনক' আখ্যা দিয়ে ডাচ প্রধানমন্ত্রী সব পক্ষকে আরও উত্তেজনা বৃদ্ধি রোধের আহ্বান জানিয়েছেন :::: ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইস্তাম্বুলে বলেছেন যে তিনি রবিবার বিকেলে মস্কো যাবেন এবং মার্কিন হামলার পরে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিনের সাথে সাক্ষাত করবেন :::: ইরানের ওপর মার্কিন হামলার পর 'সংযম' প্রদর্শনের আহ্বান সৌদি আরবের :::: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন বোমা হামলায় পরিস্থিতির অবনতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে কাতার :::: ইরানে মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে ওমান, যুদ্ধের বিস্তারের ঝুঁকি রয়েছে

ইরানের পার্লামেন্টে হরমুজ প্রণালী বন্ধের অনুমোদন

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:২২:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • / ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইরানের পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালী বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমোদনের পর রোববার (২২ জুন) দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গণমাধ্যম প্রেস টিভি জানিয়েছে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদকে।

প্রেস টিভির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী তেল ও গ্যাসের চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ যে প্রণালী দিয়ে প্রবাহিত হয়, সেই প্রণালীটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

ইরানি আইনপ্রণেতা এবং বিপ্লবী গার্ড কমান্ডার ইসমাইল কোসারি রোববার ইয়ং জার্নালিস্ট ক্লাবকে বলেন, এমন পদক্ষেপের বিষয়টি এজেন্ডায় আছে এবং ‘যখন প্রয়োজন হবে তখনই করা (কার্যকর) হবে’।

মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের মতে, বিশ্বব্যাপী তেল ব্যবহারের প্রায় ২০ শতাংশ এই প্রণালী দিয়ে সরবরাহ করা হয়। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে ইরান-ইরাক সংঘাতের সময় উভয় দেশই উপসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল যা ট্যাঙ্কার যুদ্ধ নামে পরিচিত। কিন্তু হরমুজ কখনোই সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ছিল না।

২০১৯ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময় ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরা উপকূলের কাছে চারটি জাহাজে হামলা চালানো হয়েছিল। ওয়াশিংটন এই ঘটনার জন্য তেহরানকে দায়ী করে। কিন্তু ইরান অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।

সংঘাতের মধ্যে চাপ প্রয়োগের জন্য জাহাজ চলাচলের পথে আক্রমণ দীর্ঘদিন ধরেই হয়ে আসছে। গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইয়েমেনের হুতিরা আরব উপদ্বীপের অপর প্রান্তে লোহিত সাগরের প্রবেশপথ বাব আল-মান্দেব প্রণালীর আশপাশে জাহাজগুলোতে আক্রমণ করে আসছে।

যদিও হুতিদের অভিযান বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যকে প্রভাবিত করেছে। তবুও জাহাজগুলো আফ্রিকার চারপাশে যাত্রা করে লোহিত সাগর এড়াতে পারে। এটি একটি দীর্ঘ কিন্তু নিরাপদ যাত্রা। তবে, হরমুজ অতিক্রম না করে উপসাগর থেকে সমুদ্রপথে কিছু পাঠানোর কোনো উপায় নেই।

এমনকি যেসব দেশ উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে পেট্রোল আমদানি করে না। তাদের ওপরও যদি এই প্রণালী বন্ধ করে দেয়, তাহলে এর প্রভাব পড়বে। কারণ সরবরাহ বড় ধরনের হ্রাস পেলে বিশ্ব বাজারে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম বেড়ে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরানের পার্লামেন্টে হরমুজ প্রণালী বন্ধের অনুমোদন

আপডেট সময় : ১২:২২:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

ইরানের পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালী বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমোদনের পর রোববার (২২ জুন) দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গণমাধ্যম প্রেস টিভি জানিয়েছে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদকে।

প্রেস টিভির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী তেল ও গ্যাসের চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ যে প্রণালী দিয়ে প্রবাহিত হয়, সেই প্রণালীটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

ইরানি আইনপ্রণেতা এবং বিপ্লবী গার্ড কমান্ডার ইসমাইল কোসারি রোববার ইয়ং জার্নালিস্ট ক্লাবকে বলেন, এমন পদক্ষেপের বিষয়টি এজেন্ডায় আছে এবং ‘যখন প্রয়োজন হবে তখনই করা (কার্যকর) হবে’।

মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের মতে, বিশ্বব্যাপী তেল ব্যবহারের প্রায় ২০ শতাংশ এই প্রণালী দিয়ে সরবরাহ করা হয়। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে ইরান-ইরাক সংঘাতের সময় উভয় দেশই উপসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল যা ট্যাঙ্কার যুদ্ধ নামে পরিচিত। কিন্তু হরমুজ কখনোই সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ছিল না।

২০১৯ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময় ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরা উপকূলের কাছে চারটি জাহাজে হামলা চালানো হয়েছিল। ওয়াশিংটন এই ঘটনার জন্য তেহরানকে দায়ী করে। কিন্তু ইরান অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।

সংঘাতের মধ্যে চাপ প্রয়োগের জন্য জাহাজ চলাচলের পথে আক্রমণ দীর্ঘদিন ধরেই হয়ে আসছে। গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইয়েমেনের হুতিরা আরব উপদ্বীপের অপর প্রান্তে লোহিত সাগরের প্রবেশপথ বাব আল-মান্দেব প্রণালীর আশপাশে জাহাজগুলোতে আক্রমণ করে আসছে।

যদিও হুতিদের অভিযান বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যকে প্রভাবিত করেছে। তবুও জাহাজগুলো আফ্রিকার চারপাশে যাত্রা করে লোহিত সাগর এড়াতে পারে। এটি একটি দীর্ঘ কিন্তু নিরাপদ যাত্রা। তবে, হরমুজ অতিক্রম না করে উপসাগর থেকে সমুদ্রপথে কিছু পাঠানোর কোনো উপায় নেই।

এমনকি যেসব দেশ উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে পেট্রোল আমদানি করে না। তাদের ওপরও যদি এই প্রণালী বন্ধ করে দেয়, তাহলে এর প্রভাব পড়বে। কারণ সরবরাহ বড় ধরনের হ্রাস পেলে বিশ্ব বাজারে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম বেড়ে যাবে।