ইরানের বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ইসরায়েলের ওপর তাদের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় বহুমুখী যুদ্ধাস্ত্র খাইবার (কদর এইচ) ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রথমবারের মতো উৎক্ষেপণ করেছে। সোমবার (২৩ জুন) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
দেশটির বার্তা সংস্থা ইরনা আইআরজিসির জনসংযোগ বিভাগকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ইহুদিবাদী শাসনের অব্যাহত পাগলামি এবং সম্মিলিত স্মার্ট ড্রোনের প্রতিক্রিয়ায় এই আক্রমণ করা হয়েছে।
আইআরজিসি বলেছে, অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি'র অংশ হিসেবে ইহুদিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে ইরানের ২১তম হামলা সোমবার শুরু হয়েছে।
হাইব্রিড অপারেশনে সলিড এবং লিকুইড-ফুয়েল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি স্মার্ট ড্রোন অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আইআরজিসি বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রের নির্ভুলতা বাড়াতে এবং লক্ষ্যবস্তুতে তাদের কার্যকর ও ধ্বংসাত্মক প্রভাব নিশ্চিত করতে আধুনিক ও বিস্ময়কর কৌশল প্রয়োগ করা হয়েছিল।
আইআরজিসি জানিয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
আইআরজিসি জোর দিয়ে বলেছে, নতুন বিশেষ কৌশল এবং ইসরায়েলি সরকারের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতার দিকে মনোনিবেশ করে তার দক্ষতা-ভিত্তিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে ইরানি ড্রোনের যুদ্ধ অভিযানে কোনো বিরতি নেই উল্লেখ করে আইআরজিসি বলেছে, দখলকৃত অঞ্চলগুলোর ইহুদিবাদী দখলদারদের ক্রমাগত সাইরেন শুনতে হবে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যেতে হবে।
আইআরজিসি বলেছে, ইহুদিবাদী সরকারকে নির্মূল না করা পর্যন্ত ইরানের সর্বাত্মক জাতীয় প্রতিরক্ষা অব্যাহত থাকবে।
গত ১৩ জুন ইহুদিবাদী সরকার ইরানের বিরুদ্ধে বিনা প্ররোচনায় আগ্রাসন যুদ্ধ শুরু করে। তারা ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে যার ফলে শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পরমাণু বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিকসহ শত শত ইরানি শহীদ হয়েছেন।
এর পরপরই ইরানি সামরিক বাহিনী পাল্টা হামলা শুরু করে। ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস অ্যারোস্পেস ফোর্স অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি'র অংশ হিসেবে ২৩ জুন পর্যন্ত ইহুদিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে ২১টি প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।