ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাট টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের বয়স ২৫ বছর। ঘটা করে রজতজয়ন্তী পালন করার আয়োজন করেছে ক্রিকেট বোর্ড। সেখানে দেশের অভিষেক টেস্ট দলের খেলোয়াড়দেরকে দেয়া হবে সম্মাননা, করা হবে স্মৃতিচারণ। তবে বিগত সময়ে স্মৃতিচারণের জন্য কতটা সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট? দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট এগিয়েছে নাকি পিছিয়েছে?
বুলবুলের সেঞ্চুরি ও দূজর্য়ের পাঁচ উইকেটে শুরু দেশের টেস্টের পথচলা শুরু হয় ২০০০ সালের নভেম্বরে। যা এগিয়েছে বাশার, আশরাফুল, মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক-রিয়াদদের হাত ধরে।
টেস্ট ক্রিকেটে রজতজয়ন্তীর রঙটা তাই, যখন অনেকটাই ফিকে, তখন নতুন করে শোনাতে হয় আশার বাণী।
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘আমাদের র্যাকিং, জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যান দেখলেই বুঝতে পারবেন কোথায় আছি আমরা। মেইন জিনিস হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট মাথার খেলা। সেই জায়গায় আমাদের কাজ করা উচিত।’
মাঠের পারফরম্যান্সে কিছু গৌরবের মুহূর্ত আসলেও টাইগারদের টেস্ট পরিসংখ্যানের তালিকায় ভীষণ খরা। এখন পর্যন্ত ১৫৪ টেস্টের ১১১টিতেই হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।
৭৮টি টেস্ট সিরিজের মধ্যে মাত্র ৯টি সিরিজ জয়ও কোনোভাবেই কথা বলবে না বাংলাদেশের পক্ষে। এমনকি কিছুদিন আগে টেস্ট মর্যাদা পাওয়া আফগানদেরও জয়ের হার বাংলাদেশের দ্বিগুণ। প্রায় একই ব্যবধানে শ্রীলঙ্কার চেয়েও পিছিয়ে বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে প্রথম টেস্ট খেলা মেহেরাব অপি অবশ্য ব্যাট ধরলেন দলের হয়েই।
সাবেক ক্রিকেটার মেহেরাব হোসেন অপি বলেন, ‘একমাত্র ৫টি দল আছে তারা বাদে অন্য যেসব দল আছে তাদের ধারাবাহিকতাও বাংলাদেশের মতোই। আমরা সেদিক থেকে খেয়াল করি তাহলে আমরা পিছিয়ে নেই।’
লাল বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশ এগিয়েছে ঠিকই। তবুও উপরের সারির দলগুলোর চেয়ে ঢের পিছিয়ে বাংলাদেশ। অর্থাৎ সময়ের দাবি মেটাতে পারেনি বিসিবি। আশরাফুলদের মতো ক্রিকেটার তৈরির কারিগর প্রবীণ কোচ ওয়াহিদুল গণি মনে করেন, বাংলাদেশ এখনো আপসেট নির্ভর ক্রিকেট খেলছে। কিন্তু উত্তরণের উপায় কী?
বিসিবি কোচ ওয়াহিদুল গণি বলেন, ‘যেভাবে আমাদের ২৫ বছরে আগানো উচিত ছিল সেভাবে আমরা আগাতে পারছি না। এটার মূল কারণ আমি মনে করি আমাদের দেশিয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অন্যান্য দেশের তুলনায় অতোটা ভালো না।’
অর্জনের হিসেব পাশে ঠেলে, টেস্ট ক্রিকেটের রজতজয়ন্তীর এই উদযাপন হয়ে উঠুক ঘুরে দাঁড়ানোর ডাক, এমনটাই আশা ভক্তদের।