ঢাকা ০৪:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আমি স্বীকার করি ডামি নির্বাচন হয়েছে: হাবিবুল আউয়াল

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • / ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল রিমান্ড শুনানিতে আদালতকে বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে সব নির্বাচনই বিতর্কিত। ক্ষমতার লোভে শেখ মুজিবুর রহমানের সময়েও নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘আমি স্বীকার করি ডামি নির্বাচন হয়েছে, প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। তবে এতে কমিশনাররা দায়ী না।’

আজ (বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে আসামির উপস্থিতিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে রিমান্ড শুনানি হয়।

রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ থেকে শুনানি শেষে আসামি হাবিবুল আদালতকে বলেন, ‘মাননীয় আদালত আপনি ন্যায়বিচার করবেন। আমি স্বীকার করছি, রাজনৈতিক দলের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। দলীয় সরকারের অধীনে সব নির্বাচনই বিতর্কিত। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় নির্বাচন তুলনামূলক সুষ্ঠু হয়েছে। আমার জীবনে কখনোই অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেনি৷ আমি স্বীকার করি ডামি নির্বাচন হয়েছে, প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। তবে এতে কমিশনাররা দায়ী না। আমাদের কোনো উপায় ছিল না।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোন নির্বাচন বিতর্কিত মুক্ত বলুন? দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৩ সালেও কিন্তু মানুষকে পথে আটকে নমিনেশন দিতে দেওয়া হয়নি। শেখ মুজিবের ক্ষমতার যে লোভ, তিনিও নিজেকে সামলাতে পারেননি। সেই সময়ও কিন্তু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।’

শুনানি শেষে আদালত হাবিবুল আউয়ালের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে, গত ২৩ জুন সাবেক সিইসি নুরুল হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে বুধবার রাজধানীর মগবাজার থেকে আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

গত ২২ জুন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব ‘পালন না করে’ উল্টো ‘ভয়ভীতি দেখিয়ে’ জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে মামলা করে বিএনপি।

পরবর্তীতে গত ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, একেএম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজীর আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে এই মামলায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আমি স্বীকার করি ডামি নির্বাচন হয়েছে: হাবিবুল আউয়াল

আপডেট সময় : ০৪:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল রিমান্ড শুনানিতে আদালতকে বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে সব নির্বাচনই বিতর্কিত। ক্ষমতার লোভে শেখ মুজিবুর রহমানের সময়েও নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘আমি স্বীকার করি ডামি নির্বাচন হয়েছে, প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। তবে এতে কমিশনাররা দায়ী না।’

আজ (বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে আসামির উপস্থিতিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে রিমান্ড শুনানি হয়।

রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ থেকে শুনানি শেষে আসামি হাবিবুল আদালতকে বলেন, ‘মাননীয় আদালত আপনি ন্যায়বিচার করবেন। আমি স্বীকার করছি, রাজনৈতিক দলের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। দলীয় সরকারের অধীনে সব নির্বাচনই বিতর্কিত। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় নির্বাচন তুলনামূলক সুষ্ঠু হয়েছে। আমার জীবনে কখনোই অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেনি৷ আমি স্বীকার করি ডামি নির্বাচন হয়েছে, প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। তবে এতে কমিশনাররা দায়ী না। আমাদের কোনো উপায় ছিল না।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোন নির্বাচন বিতর্কিত মুক্ত বলুন? দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৩ সালেও কিন্তু মানুষকে পথে আটকে নমিনেশন দিতে দেওয়া হয়নি। শেখ মুজিবের ক্ষমতার যে লোভ, তিনিও নিজেকে সামলাতে পারেননি। সেই সময়ও কিন্তু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।’

শুনানি শেষে আদালত হাবিবুল আউয়ালের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে, গত ২৩ জুন সাবেক সিইসি নুরুল হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে বুধবার রাজধানীর মগবাজার থেকে আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

গত ২২ জুন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব ‘পালন না করে’ উল্টো ‘ভয়ভীতি দেখিয়ে’ জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে মামলা করে বিএনপি।

পরবর্তীতে গত ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, একেএম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজীর আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে এই মামলায়।