কাজের মাধ্যমে নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে

- আপডেট সময় : ০৪:২৬:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
- / ৩৬০ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচনের আগে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের আদলে নেয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। যদিও জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির দাবি, এই উপদেষ্টা পরিষদ দিয়েই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তবে তাদের কাজের মাধ্যমে নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। এদিকে এবি পার্টি বলছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন বড় রাজনৈতিক দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পূর্ণ সহযোগিতা।
লন্ডন বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও প্রধান উপদেষ্টার একান্ত আলাপে মূলত কী কথা হয়েছে? সেটি এখনও কী প্রকাশ হয়েছে?
এমন প্রশ্নই এখন ঘুরছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। সাথে দ্বিমত আছে বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি নিয়েও। তবে দুই শীর্ষ কর্তার আলাপ যে ফলপ্রসূ হয়েছে সেনিয়ে একমত সিংহভাগ দল। বিশেষ করে বিএনপি বলছে দেশ নির্বাচনী টানেলে প্রবেশ করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মনে করছেন, বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে সরকারের উচিত কেয়ারটেকার মোডে যাওয়া।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যদি সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয় তাহলে সামনের দিকে এগোনোর কোনো সুযোগ নেই। নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য যারা এরইমধ্যে বিতর্কিত হয়েছে তাদের কথা ও কাজের মাধ্যমে তারা তো সরকারে থাকলে সরকারের নিরপেক্ষতা বিঘ্নিত হবে। যেহেতু আমরা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি সরকারকে এখন কেয়ারটেকার মোডে যেতে হবে।’
তবে, জামায়াতে ইসলামীর মত, এই উপদেষ্টা পরিষদ দিয়েই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। এজন্য কাজের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নিরপেক্ষতার প্রমাণ দেয়ার তাগিদ তাদের।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘নিরপেক্ষতার প্রমাণ রাখতে হবে। কাজের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত এই নিরপেক্ষতা প্রমাণ করতে হবে। যদি তারা বিশেষ দলের প্রতি ঝুঁকে পড়েন বা তাদের কাজ এমন হয় সেক্ষেত্রে তো নিরপেক্ষতা হারাবে।’
আর এনসিপি বলছে পুরোপুরি নির্বাচনমুখী হওয়ার সময় অন্তর্বর্তী সরকারের এখনও আসেনি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যে রিফরমেশনের কথা বলা হয়েছিল। যেটির মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। সেই জায়গা যদি গ্রহণযোগ্য করে ফেলতে পারে তাহলে উপদেষ্টা কমানো বাড়ানো সেগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নিবে।’
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মনে করছেন, শুধু সরকার নির্বাচনমুখী হলেই হবে না, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন বড় রাজনৈতিক দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পূর্ণ সহযোগিতা।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশনের থ্রেড দেখি আমি অন্য জায়গায়। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো যদি ভীতিকর পরিস্থিতিতে পৌঁছাই যে তারা বড় বা প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের দ্বারা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া প্রশাসন সেখানে সঠিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারছে না বা নিরপেক্ষ হচ্ছে না। তখন কিন্তু নির্বাচন নিয়ে একটা সংশয় তৈরি হবে।’
তবে জুলাই সনদ প্রকাশ হলে নির্বাচনী রোডম্যাপ ও সরকারের করণীয় অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।