ঢাকা ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যমুনা সেতু থেকে সড়ানো হচ্ছে রেললাইন, প্রশস্ত হচ্ছে সড়ক

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:০৭:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
  • / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যমুনা সেতুর ওপর থেকে পরিত্যক্ত রেললাইন অপসারণ করে সড়ক প্রশস্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সেতুর পূর্বপাড় থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে, যা শেষ হতে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশীর বিভাগীয় প্রকৌশলী বীরবল মন্ডল জানান, গত ১৮ মার্চ যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উত্তরে নতুন রেলওয়ে সেতুর উদ্বোধন হওয়ার পর পুরোনো রেললাইনটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এখন সেই লাইন তুলে ফেলা হচ্ছে।

যমুনা সেতু সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানিয়েছেন, রেললাইন তুলে ফেলার ফলে সেতুতে অতিরিক্ত সাড়ে তিন মিটার জায়গা পাওয়া যাবে। এই অংশটুকু মূল সড়কের সঙ্গে যুক্ত করা হবে, ফলে সেতুর উভয় লেনে ১ দশমিক ৭৫ মিটার করে জায়গা বাড়বে। বর্তমানে সেতুর লেনগুলোর প্রশস্ততা ৬ দশমিক ৩ মিটার, যা সম্প্রসারণের পর ৮ মিটারে উন্নীত হবে। এতে সেতুর ওপরের যানজট ও জনদুর্ভোগ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। সড়ক প্রশস্তকরণে একটি কারিগরি স্টাডির মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে এবং এটি কার্যকর হতে কিছুটা সময় লাগবে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে যমুনা সেতু উদ্বোধনের সময় কোনো রেলপথ ছিল না। ২০০৪ সালের ১৫ আগস্ট সেতুতে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও দ্রুতগতিতে ট্রেন চলার কারণে ২০০৬ সালে ফাটল দেখা দেয়। পরবর্তীতে ট্রেনের গতিসীমা কমিয়ে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার করা হয়, যার ফলে সেতু অতিক্রম করতে ২২ মিনিট সময় লাগত এবং ট্রেনের জটলা তৈরি হতো। এই সমস্যা সমাধানে ২০২০ সালের ৩ মার্চ যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উত্তরে একটি আলাদা রেলওয়ে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেই রেলওয়ে সেতুটি ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ উদ্বোধন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

যমুনা সেতু থেকে সড়ানো হচ্ছে রেললাইন, প্রশস্ত হচ্ছে সড়ক

আপডেট সময় : ১১:০৭:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

যমুনা সেতুর ওপর থেকে পরিত্যক্ত রেললাইন অপসারণ করে সড়ক প্রশস্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সেতুর পূর্বপাড় থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে, যা শেষ হতে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশীর বিভাগীয় প্রকৌশলী বীরবল মন্ডল জানান, গত ১৮ মার্চ যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উত্তরে নতুন রেলওয়ে সেতুর উদ্বোধন হওয়ার পর পুরোনো রেললাইনটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এখন সেই লাইন তুলে ফেলা হচ্ছে।

যমুনা সেতু সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানিয়েছেন, রেললাইন তুলে ফেলার ফলে সেতুতে অতিরিক্ত সাড়ে তিন মিটার জায়গা পাওয়া যাবে। এই অংশটুকু মূল সড়কের সঙ্গে যুক্ত করা হবে, ফলে সেতুর উভয় লেনে ১ দশমিক ৭৫ মিটার করে জায়গা বাড়বে। বর্তমানে সেতুর লেনগুলোর প্রশস্ততা ৬ দশমিক ৩ মিটার, যা সম্প্রসারণের পর ৮ মিটারে উন্নীত হবে। এতে সেতুর ওপরের যানজট ও জনদুর্ভোগ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। সড়ক প্রশস্তকরণে একটি কারিগরি স্টাডির মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে এবং এটি কার্যকর হতে কিছুটা সময় লাগবে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে যমুনা সেতু উদ্বোধনের সময় কোনো রেলপথ ছিল না। ২০০৪ সালের ১৫ আগস্ট সেতুতে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও দ্রুতগতিতে ট্রেন চলার কারণে ২০০৬ সালে ফাটল দেখা দেয়। পরবর্তীতে ট্রেনের গতিসীমা কমিয়ে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার করা হয়, যার ফলে সেতু অতিক্রম করতে ২২ মিনিট সময় লাগত এবং ট্রেনের জটলা তৈরি হতো। এই সমস্যা সমাধানে ২০২০ সালের ৩ মার্চ যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উত্তরে একটি আলাদা রেলওয়ে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেই রেলওয়ে সেতুটি ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ উদ্বোধন করা হয়।