‘বিএনপির নাম ভাঙিয়ে একটি সুবিধাভোগী চক্র আন্দোলন করছে’

- আপডেট সময় : ০৪:৫০:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
- / ৩৫২ বার পড়া হয়েছে

নিজেদের ফায়দা আদায়ের জন্য ইনকাম ট্যাক্সে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে একটি সুবিধাভোগী চক্র আন্দোলন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ (শুক্রবার, ২৭ জুন) সকালে নয়া পল্টনে ঢাকা মহানগর বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট আয়োজিত রথযাত্রা উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির নামে যারা অপকর্ম করছে তাদের বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘রক্ত ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তাতে সামনের দিনে ভালো রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হবে। সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।’
রিজভী বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর শেখ হাসিনা তার সাজানো বাহিনী দিয়ে তার পথের কাটা দূর করার জন্য এবং চিরদিনের জন্য রানী হয়ে থাকার জন্য বিরোধী দলকে দমন করেছেন। তার শিকার হিয়েছি বিরোধী দলসহ সবাই। শেখ হাসিনার টার্গেট ছিল গণতন্ত্রের পক্ষে কেউ কোনো কথা বলতে গেলে, তাকে বর্বোচিত আক্রমণ সইতে হবে। এই ভাগ্যের লিখন নির্ধারণ করতেন শেখ হাসিনা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে রথ যাত্রার জন্য অপেক্ষা করতাম। সব সম্প্রদায় অপেক্ষা করতো।’
রিজভী বলেন, ‘আজকে একটা মুক্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। আমরা প্রত্যাশা করি, সামনে ভালো রাজনীতি হবে, সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে। আমরা সেই পরিস্থিতির মধ্যে ফিরে যেতে চায় না, যেখানে সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর অধিকার জনগণের কাছে ছিল না। সেই অধিকার শেখ হাসিনা কেড়ে নিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার দোসর হাবিবুল আউয়ালই এখন বলছে, দুই টার্মের নির্বাচন ছিল ডামি নির্বাচন। আমরা তো এটা আগেই বলেছি। এই নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য আমরা চেষ্টা করেছি। আমাদের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করা হয়েছে। অনেককে ক্রসফায়ারে দেওয়া হয়েছে। ডামি নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য অসংখ্য নেতাকর্মী পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। অন্ধ হয়ে গেছেন দুইশ থেকে তিনশর মতো নেতাকর্মী।’
রিজভী বলেন, ‘আজকে হাবিবুল আউয়াল বলছেন, ডামি নির্বাচন হয়েছে। আপনি তো শিক্ষিত লোক ছিলেন, সচিব ছিলেন; আপনার সেদিন বিবেকে বাধেনি- আপনার ভুল কাজটি করার জন্য চেইন রিক্যাকশনে জনগণ ও দেশের কতো ক্ষতি হবে। এই ভোটারবিহিনী ডামি নির্বাচন একটা অবৈধ নির্বাচন। তাহলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেটি ছিল, সেটি অবৈধ পার্লামেন্ট, অবৈধ প্রধানমন্ত্রী, অবেধ রাষ্ট্রপতি এবং তাদের হাত দিয়ে যারা নিয়োগ হয়েছিলেন— সচিব বলুন আর বিভিন্ন করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলুন, তারা প্রত্যেকে অবেধ এবং তাদের নিয়োগকৃত বিচারকরাও অবৈধ ছিলেন এবং তাদের দেওয়া রায়গুলোও ছিল অবৈধ। তাহলে একটা অবৈধ দুঃশাসন ও আইনের মধ্যে আমাদের জীবন যাপন করতে হয়েছে।’
যাদের বিচার হওয়ার কথা, যাদের চরম দণ্ড হওয়ার কথা; তারাই রাজ্যের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হয়ে গেলেন বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।
সংস্কার করে দ্রুত নয় যৌক্তিক সময়ে সরকার নির্বাচন দিবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন রিজভী।