গাজায় প্রায় ১ লাখ ফিলিস্তিনি নিহত: ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম

- আপডেট সময় : ০২:২৩:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
- / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনে প্রায় এক লাখ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যা এই অঞ্চলের জনসংখ্যার প্রায় ৪ শতাংশ। শুক্রবার (২৭ জুন) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দৈনিক হারেৎজ এই তথ্য জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত হতাহতের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের আগ্রাসনে ৫৬ হাজার ৩০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
তবে হারেৎজ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি, গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার ফলে ক্ষুধা, ঠান্ডা এবং বিভিন্ন রোগের মতো যুদ্ধের পরোক্ষ প্রভাবেও অনেক মানুষ মারা গেছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি মুখপাত্র, সাংবাদিক এবং প্রভাবশালীরা গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত মৃত্যুর সংখ্যাকে অতিরঞ্জিত বলে ঘৃণার সাথে প্রত্যাখ্যান করছে। তবে বাস্তবে হতাহতের সংখ্যা আসলেই অনেক বেশি।
প্রতিবেদনে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলওয়ে কলেজের অর্থনীতিবিদ এবং সহিংস সংঘাতে মৃত্যুহার বিষয়ক বিশ্বমানের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মাইকেল স্পাগাটের গাজায় মৃত্যুর বিষয়ে পরিচালিত একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে। গবেষণায় ফিলিস্তিনি উপত্যকার দুই হাজার পরিবারের উপর জরিপ করা হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ১০ হাজার মানুষ রয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, “তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত, যুদ্ধের সময় গাজায় প্রায় ৭৫ হাজার ২০০ মানুষ মারা গেছেন, যার বেশিরভাগই ইসরায়েলি অস্ত্রের হামলার কারণে ঘটেছে”। জরিপের তথ্য অনুসারে, নিহতদের ৫৬ শতাংশের বয়স হয় ১৮ বছর বা তার নিচে অথবা নারী।
স্পাগাট বলেন, “আমি মনে করি সম্ভবত জনসংখ্যার ৪ শতাংশের মতো মানুষ নিহত হয়েছে। আমি নিশ্চিত নই যে একবিংশ শতাব্দীতে এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে, যাতে এত বেশি মৃত্যু হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিকভাবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার বিরুদ্ধে নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। গত নভেম্বরে, গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। তবুও আগ্রাসন বন্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না নেয়ানিয়াহু সরকার।