হারের পরিসংখ্যানে লজ্জার রেকর্ড বাংলাদেশের

- আপডেট সময় : ০৩:২২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
- / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে

ইনিংস হারের পরিসংখ্যানে বাংলাদেশই এখন ক্রিকেট বিশ্বে সবার ওপরে। কলম্বো টেস্টে শ্রীলঙ্কার কাছে ইনিংস এবং ৭৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। দেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে এটি ৪৭তম ইনিংস ব্যবধানে হার। চতুর্থ দিনে মাত্র আধা ঘণ্টায় শেষ হয়েছে ব্যাটিং ইউনিটের প্রতিরোধ।
দেশের মাটিতে মাত্র দিনদুয়েক আগেই উদযাপিত হয়েছিল টেস্ট ক্রিকেটের রজতজয়ন্তী। আর ঠিক একই সময়ে কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ পার করেছিল অসহায় এক দিন। তবে সেটা খুব বেশি ভোগায়নি বাংলাদেশকে।
৪র্থ দিনের প্রথম সেশনেই বাংলাদেশকে যেন ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিয়েছে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের এবারের হার ইনিংস ও ৭৮ রানের ব্যবধানে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি ৯ম বারের মতো ইনিংস ব্যবধানে হার। সবশেষ লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল ২০১৪ সালের মিরপুর টেস্টে।
সব মিলিয়ে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের ১৫৪তম ম্যাচে এসে ৪৭তম বার ইনিংস হারের মুখ দেখেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। টেস্টে শতাংশের বিচারে সবচেয়ে বেশি ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জা পেতে হয়েছে বাংলাদেশকেই।
নিজেদের খেলা প্রায় এক তৃতীয়াংশ ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে দু’বার ব্যাট করাতে পারেননি টাইগার ক্রিকেটাররা। এমনকি এই পরিসংখ্যানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও বাংলাদেশের ব্যবধান চোখে পড়ার মতোই।
শতাংশ বিবেচনায় নিজেদের ৩০ দশমিক ৫১ ম্যাচেই ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। বিপরীতে ইনিংসে জিতেছে মোটে ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ ম্যাচে। টেস্টে ৩০ শতাংশ ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জায় ডুবতে হয়নি আর কোনো দেশকেই।
১০ টেস্টের বেশি খেলেছে এমন দেশ বিবেচনায় বাংলাদেশের পরেই আছে জিম্বাবুয়ে। রোডেশিয়ানরা ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে ২৪ দশমিক ১৯ শতাংশ ম্যাচে।
শ্রীলঙ্কা এই বিবেচনায় আছে ৩য় স্থানে। তারা এমন বিব্রতকর হার দেখেছে ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ ম্যাচে।
এমনকি টেস্ট ক্রিকেটে তুলনামূলক নতুন দল আফগানিস্তানও পরিসংখ্যান বিবেচনায় বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে। ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে হার আছে দেশটির।
টেস্ট ক্রিকেটের দীর্ঘ পথচলায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড। ১ হাজার ৮৫ ম্যাচের মধ্যে তারা ইনিংসে হেরেছে ৬৬ বার। ৪৭ হার নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এরপরেই।
সাদা পোশাকে নিজেদের উন্নতিতে পর্যাপ্ত মনোযোগ না দিলে, আরো বড় রকমের বিব্রতকর রেকর্ডও বাংলাদেশের সঙ্গী হতে পারে নিকট ভবিষ্যতে।