এনবিআর কর্মকর্তাদের কমপ্লিট শাটডাউনসহ সব কর্মসূচি প্রত্যাহার

- আপডেট সময় : ১১:০৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
- / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে

অন্তর্বর্তী সরকার ও ব্যবসায়ী সংগঠনের আশ্বাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তাদের কমপ্লিট শাটডাউনসহ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ (রোববার, ২৯ জুন) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাসান মাহমুদ তারেক।
এর আগে, এনবিআরের সংকট নিরসনে ৫ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। আজ সন্ধ্যায় সচিবালয়ে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দীন আহমেদ।
অর্থ উপদেষ্টা সেখানে বলেন, ‘এনবিআর কর্মকর্তা কর্মচারীদের দাবির বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর দেখবে।’ বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন বিজিএমইএ ও বাংলাদেশ চেম্বার ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্টসহ ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল।
এদিন বিকেলে অংশীজনদের পরামর্শে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড পুনর্গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবিলম্বে কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান জানানো হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে জানানো হয়, দুর্বল রাজস্ব ব্যবস্থাকে উন্নয়ন উদ্যোগের বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এতে বলা হয়, রাষ্ট্রের চাহিদার তুলনায় রাজস্ব আহরণ অপ্রতুল। এর মূল কারণ দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতি। এসব দুর্বলতা কাটাতে সরকার সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও তা ব্যাহত করছে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর চলমান আন্দোলন। গত দুই মাস ধরে আমদানি-রপ্তানি, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং রাজস্ব সংগ্রহ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করে তারা দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
দ্রুত কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে জানায়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবিলম্বে কর্মস্থলে ফিরবেন এবং দায়িত্ব পালন করবেন। তা না হলে দেশের জনগণ ও অর্থনীতির স্বার্থে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয় বিবৃতিতে।
যদিও এর পরই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। তবে এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে কমপ্লিট শাটডাউনসহ কর্মসূচি প্রত্যাহারে ঘোষণা দিলো এনবিআরের আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।