ঢাকা ০৯:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এনবিআর পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত; কর্মস্থলে না ফিরলে কঠোর ব্যবস্থা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৩০:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দুর্বল রাজস্ব ব্যবস্থাকে উন্নয়ন উদ্যোগের বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ (রোববার, ২৯ জুন) সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, অংশীজনদের পরামর্শ অনুসারে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রের চাহিদার তুলনায় রাজস্ব আহরণ অপ্রতুল। এর মূল কারণ দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতি। এসব দুর্বলতা কাটাতে সরকার সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও তা ব্যাহত করছে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর চলমান আন্দোলন। গত দুই মাস ধরে আমদানি-রপ্তানি, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং রাজস্ব সংগ্রহ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করে তারা দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

সরকার বলছে, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানানো হলেও আন্দোলনকারীরা তা প্রত্যাখ্যান করে অনমনীয় অবস্থানে রয়েছেন। আন্দোলনকে ‘পরিকল্পিত, দুরভিসন্ধিমূলক ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে সরকার জানিয়েছে, জাতীয় স্বার্থে এনবিআরের আওতাধীন কাস্টমস হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট ও শুল্ক স্টেশনসমূহের সব চাকরি ‘অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

সরকার আশা প্রকাশ করেছে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবিলম্বে কর্মস্থলে ফিরবেন এবং দায়িত্ব পালন করবেন। তা না হলে দেশের জনগণ ও অর্থনীতির স্বার্থে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বিবৃতিতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এনবিআর পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত; কর্মস্থলে না ফিরলে কঠোর ব্যবস্থা

আপডেট সময় : ০৪:৩০:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

দুর্বল রাজস্ব ব্যবস্থাকে উন্নয়ন উদ্যোগের বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ (রোববার, ২৯ জুন) সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, অংশীজনদের পরামর্শ অনুসারে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রের চাহিদার তুলনায় রাজস্ব আহরণ অপ্রতুল। এর মূল কারণ দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতি। এসব দুর্বলতা কাটাতে সরকার সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও তা ব্যাহত করছে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর চলমান আন্দোলন। গত দুই মাস ধরে আমদানি-রপ্তানি, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং রাজস্ব সংগ্রহ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করে তারা দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

সরকার বলছে, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানানো হলেও আন্দোলনকারীরা তা প্রত্যাখ্যান করে অনমনীয় অবস্থানে রয়েছেন। আন্দোলনকে ‘পরিকল্পিত, দুরভিসন্ধিমূলক ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে সরকার জানিয়েছে, জাতীয় স্বার্থে এনবিআরের আওতাধীন কাস্টমস হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট ও শুল্ক স্টেশনসমূহের সব চাকরি ‘অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

সরকার আশা প্রকাশ করেছে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবিলম্বে কর্মস্থলে ফিরবেন এবং দায়িত্ব পালন করবেন। তা না হলে দেশের জনগণ ও অর্থনীতির স্বার্থে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বিবৃতিতে।