ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার বলেছে, তারা ওয়াজিরিস্তানে শনিবারের হামলার জন্য ভারতকে দায়ী করার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে।

আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী একটি শহরে এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি পাকিস্তানি সামরিক বহরে ঢুকিয়ে দিলে অন্তত ১৩ সেনা নিহত হয়েছে। সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার মীর আলী এলাকায় গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই মর্মান্তিক ও বর্বরোচিত ঘটনায় দুই শিশু ও এক নারীসহ তিনজন নিরীহ বেসামরিক নাগরিক মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।

ওই অঞ্চলে হামলার পর সেনাবাহিনীর অভিযানে ১৪ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং একে ‘কাপুরুষোচিত কাজ’ বলে অভিহিত করেছেন।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির এক বিবৃতিতে বলেছেন, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন করার যে কোনো প্রচেষ্টার দ্রুত ও নিষ্পত্তিমূলক প্রতিশোধ নেওয়া হবে।

স্থানীয় এক প্রশাসক রয়টার্সকে বলেছেন, “এটি ছিল বিশাল, একটি বড় বিস্ফোরণ,” শহরের বাসিন্দারা অনেক দূর থেকে ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া বের হতে দেখেছেন।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, বিস্ফোরণে আশপাশের বাড়ির জানালার কাচ কেঁপে ওঠে এবং কিছু বাড়ির ছাদ ধসে পড়ে।
এখন পর্যন্ত কেউ দায় স্বীকার করেনি।

আফগানিস্তানের পাশেই অবস্থিত এই আইনবিহীন জেলাটি দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তের উভয় পাশে সক্রিয় বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করেছে।
ইসলামাবাদ বলছে, জঙ্গিরা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালানোর জন্য আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণ শিবির চালায়, যদিও কাবুল এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে যে জঙ্গিবাদ পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

পাকিস্তানি তালেবান, যা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান নামেও পরিচিত, বেশ কয়েকটি ইসলামপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীর একটি ছাতা গোষ্ঠী, দীর্ঘদিন ধরে সরকারকে উৎখাত করার জন্য এবং তার নিজস্ব ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার অভিযান চালানো পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীই মূলত তাদের প্রধান টার্গেট।-সূত্র : আরব নিউজ