ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান প্রতিবেশী নীতি ও আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক সম্প্রসারণকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের মৌলিক কৌশল হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

পেজেশকিয়ান রবিবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বলেছিলেন, “১২ দিনের আরোপিত যুদ্ধের সময় তার বিজ্ঞ নেতৃত্ব এবং এই জাতীয় প্রতিরোধের উপর তার সর্বোচ্চ কমান্ডের জন্য নেতার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা আমি আমার কর্তব্য বলে মনে করি। তার নির্দেশনা ও সহযোগিতা ছাড়া এই সংকট কাটিয়ে ওঠা এবং একটি নিরাপদ ও স্থিতিশীল তীরে পৌঁছানো সম্ভব হতো না।

রাষ্ট্রপতি সরকার ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি বুদ্ধিবৃত্তিক সমর্থন ও সমর্থনের জন্য ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ, বিশিষ্ট পণ্ডিত, নেতৃস্থানীয় একাডেমিক ব্যক্তিত্ব, লেখক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী এবং মিডিয়া কর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

পেজেশকিয়ান আরও যোগ করেছেন যে জাতীয় ঐক্য, সংহতি এবং সংহতি গঠনে বিদেশে ইরানিদের ভূমিকাকে উপেক্ষা করা উচিত নয়, উল্লেখ করে যে জাতির প্রতি তাদের গভীর ভালবাসা এবং সংযোগ স্পষ্টভাবে প্রদর্শিত হয়েছিল। তিনি এই স্বদেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন।

প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, প্রতিবেশী নীতি ও আঞ্চলিক সম্পর্কের উন্নয়ন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের মূল কৌশল। তিনি বলেন যে, ইসলামী দেশসমূহের মধ্যে সংহতির প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে এবং সার্বিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের সাথে সম্পূর্ণ সহযোগিতায় জড়িত হতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত এবং এভাবে প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।

পেজেশকিয়ান জোর দিয়ে বলেন, তেহরান দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে পারস্য উপসাগর আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে শান্তি ও সহযোগিতার প্রতীক এবং এই অঞ্চলে প্রতিবেশীদের সাথে ইরানের সম্পর্ক জোরদার করা – বিশেষ করে এই আঞ্চলিক সংস্থার সাথে – সমগ্র ইসলামী বিশ্ব এবং আঞ্চলিক দেশগুলির জন্য শান্তি, ভ্রাতৃত্ব এবং উন্নয়নের বার্তা বহন করে।