তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পরমাণু আলোচনা পুনরায় শুরু করার পূর্বশর্ত হিসেবে মার্কিন সামরিক হুমকির অবসানকে বিবেচনা করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সিবিএসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হুমকি বন্ধ না করলে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরমাণু আলোচনা পুনরায় শুরু হবে না।
"আলোচনা পুনরায় শুরু করা হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে আমাদের প্রথমে নিশ্চিত করতে হবে যে ওয়াশিংটন আর সামরিক আগ্রাসনের জন্য আলোচনাকে কাজে লাগাবে না," তিনি বলেন, "কূটনীতির দরজা কখনই বন্ধ হবে না।
ইরানের এই শীর্ষ কূটনীতিক তার বক্তব্যের অন্যত্র জোর দিয়ে বলেন, সমৃদ্ধকরণ একটি উন্নত, বিজ্ঞানভিত্তিক শিল্প। "যদি এই শিল্পটি ক্ষতিগ্রস্থ হয় বা ধ্বংস হয় তবে আমরা দ্রুত ক্ষতি মেরামত করতে পারি এবং এই শিল্পে আবার অগ্রগতি করতে পারি। বোমা মেরে প্রযুক্তি ও জ্ঞান সমৃদ্ধ করা যাবে না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি জাতীয় গৌরব ও মর্যাদার উৎসে পরিণত হয়েছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরান ১২ দিন ধরে চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের মধ্য দিয়ে গেছে; ফলে ইরানি জাতি সমৃদ্ধকরণ থেকে সহজে পিছু হটবে না।
তিনি বলেন, 'যুদ্ধের সময় আমরা আত্মরক্ষার জন্য আমাদের শক্তি ও ইচ্ছা প্রদর্শন করেছি এবং যে কোনো আগ্রাসনের ক্ষেত্রেও আমরা তা অব্যাহত রাখব।
১৩ জুন ইসরাইল ইরানের বিরুদ্ধে নির্লজ্জ ও বিনা প্ররোচনায় আগ্রাসন চালায়, এতে অনেক উচ্চপদস্থ সামরিক কমান্ডার, পরমাণু বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষ নিহত হয়।
এর এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পর যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়, যা জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন ও পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) গুরুতর লঙ্ঘন।
এর জবাবে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী অধিকৃত অঞ্চলগুলোর কৌশলগত স্থাপনাগুলোর পাশাপাশি পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি কাতারের আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
২৪ জুন ইরান ইসরায়েলি সরকার ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের বিরুদ্ধে সফল প্রতিশোধমূলক অভিযানের মাধ্যমে অবৈধ আগ্রাসন বন্ধ করতে সক্ষম হয়।