আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের প্রস্তাবে একমত রাজনৈতিক দলগুলো

- আপডেট সময় : ০১:৫৭:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
- / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে

সংবিধানের ৪৯(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা আইন ও নীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে একমত হয়েছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো। এই ক্ষমতা প্রয়োগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মতামত গ্রহণের বিষয়েও ইতিবাচক মত দিয়েছে জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
আজ (বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার নবম দিনের সংলাপে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ অন্যান্য দল রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত বলে মত দেয়।
সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা বলেন, রাষ্ট্রের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এবং সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরাতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের মতো গুরুতর বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট আইন থাকা জরুরি।
বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণের প্রস্তাবে সংবিধান ও বিচার বিভাগ সংস্কার দুইটি কমিশনই সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদের সংস্কার চেয়েছেন। মূলত প্রতিটি বিভাগে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপনের প্রস্তাব আছে বিকেন্দ্রীকরণের আলোচনায়। তবে সুপ্রিম কোর্ট থাকবে।
এর আগে সূচনা বক্তব্যে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাষ্ট্র গঠনের যে বিরল সুযোগ তৈরি হয়েছে তা যেন হেলায় হারানো না হয়। যে সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো আজ একসঙ্গে আলোচনায় বসতে পেরেছে, সেই দিনগুলো স্মরণে রাখা প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘৫৩ বছরে রাষ্ট্র গঠনের এমন সুযোগ আর আসেনি। আমরা এই আলোচনার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদের দিকে এগোচ্ছি, যা চলতি জুলাই মাসেই চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছি।’
বৈঠকে মৌলিক সংস্কারের ২০টি প্রস্তাবের মধ্যে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন, বিচারবিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ এবং জরুরি অবস্থা জারির মতো গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বিষয়ে আজ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে বলে জানান আলী রীয়াজ।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়নি, সেগুলো নিয়েও আবার আলোচনার সুযোগ থাকবে। চূড়ান্ত সনদ তৈরির আগে সব পক্ষের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হবে।