বাছাইপর্ব পেরিয়ে প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার জন্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। সাফল্যের মুকুটে যুক্ত হলো আরও একটি পালক। লক্ষ্য এবার বিশ্বকাপ, এমনটাই বলেছেন নারী উইং চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। এশিয়ার মঞ্চে ভালো ফলাফল পেতে সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিতের আশ্বাস বাফুফের।
নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে যাবার সময় যখন মূলপর্বে খেলার স্বপ্নের কথা বলেছিলেন কিরণ বাটলার, অনেকেই বলেছিলো এসব ফাঁকা বুলি। কিন্তু ঋতুপর্ণা, আফঈদা, শামসুন্ননাহাররা নিন্দুকের কথা ভুল প্রমাণ করে এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করেছে মূলপর্ব। এদিন নারী উইং চেয়ারম্যানের কন্ঠেও ঘুরেফিরে এসেছে শুরুর দিনের গল্প।
কিরণ বাটলার বলেন, ‘যখন শুরু করি তখন আমাদের কোনো টাকা পয়সা ছিলো না। একটা স্পন্সরও ছিলো না। মেয়েদের ফুটবলের নাম শুনলেই তখন সবাই দূরে সরে যেতো। আমি একটা এনজিও এর মাধ্যমে কিছু ফান্ড রেইজ করে সারাদেশব্যাপী ট্যালেন্ট হান্ট করি। এবং ঢাকার বাইরে ৭ টা ভেন্যুতে আমরা তিন মাসের ক্যাম্প করি। আজকের ঋতুপর্ণা, কৃষ্ণা, শামসুন্নাহার তারা সবাই এই ট্যালেন্ট হান্টের ফসল।’
এশিয়ান সার্কিটে খেলার স্বপ্নপূরণ হবে কয়েক মাসের মধ্যেই। যদিও স্বপ্নের গণ্ডি এখানেই সীমাবদ্ধ রাখতে নারাজ বাফুফে।
বাটলার বলেন, ‘আমাদের টার্গেট থাকবে প্রথম ছয় এর ভেতরে যাওয়া। আমাদের তো স্বপ্ন ওয়ার্ল্ড কাপ খেলা। সেই উদ্দ্যেশেই আমরা মাঠে নামবো।’
নারী উইং চেয়ারম্যান আরও জানান, ভবিষ্যতে ভালো ফলাফলে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন তিনি। লক্ষ্য রুপনা-ঋতুপর্ণাদের বড় মঞ্চের জন্য প্রস্তুত করা।
তিনি বলেন, ‘স্ট্রং টিমের সাথে না খেললে তো কোনো লাভ নেই আমাদের। দুর্বল টিমের সাথে খেলে আমরা যখন ওই প্লাটফর্মে যাবো তখন তো আমরা ভালো কিছু করতে পারবো না। সেজন্য আমাকে স্ট্রং টিমের সাথে খেলতেই হবে। যে কয় মাস এখন আমরা পাবো সেটা আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করবো। পিটারের সাথে আমাদের এরইমাঝে কথা হয়েছে। আমাদের সম্পূর্ণ মনোযোগ থাকবে ওইটাতে যাতে আমরা ভালো কিছু করতে পারি।’
তবে ঘুরে ফিরে এসেছে সাফজয়ী এই মেয়েদের বাকি থাকা প্রাইজমানির কথা। এটি পূরণের আশ্বাস দিলেও, কবে নাগাদ দেয়া হবে তা নিশ্চিত করেননি কিরণ।