ঢাকা ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তিন ম্যাচ জিতেই এশিয়া কাপে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:১৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এএফসি উইমেন’স এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচেও পেশাদারিত্বে এতটুকু ঘাটতি রাখেননি বাংলাদেশের কোচ পিটার বাটলার। আগেই চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত হলেও শুরুর একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেননি তিনি। ফলাফল—তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে উড়িয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে শতভাগ জয় নিয়ে বাছাইপর্ব শেষ করলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

আজ শনিবার (৫ জুলাই) মিয়ানমারের ইয়াংগুনের থুউন্না স্টেডিয়ামে ‘সি’ গ্রুপের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে প্রথমার্ধেই গোল-বৃষ্টি নামিয়ে দেন শামসুন্নাহার জুনিয়র, ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন ও মনিকারা।

মাত্র ২১ মিনিটেই স্কোরলাইন দাঁড়িয়ে যায় ৬-০। ম্যাচের ৪০তম মিনিটে কর্নার থেকে ঋতুপর্ণার দুর্দান্ত শটে আসে সপ্তম গোলটি। দুটি করে গোল করেছেন শামসুন্নাহার জুনিয়র ও ঋতুপর্ণা চাকমা। বাকি তিনটি গোল করেন স্বপ্না রানী, মনিকা চাকমা ও তহুরা খাতুন।

শুরুতেই চতুর্থ মিনিটে স্বপ্নার দূরপাল্লার শটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর গোল আসে যেন ঢেউয়ের পর ঢেউ—৬ মিনিটে শামসুন্নাহার, ১৩ মিনিটে আবারও তিনি, ১৬ মিনিটে মনিকা, ১৮ মিনিটে ঋতুপর্ণা, ২১ মিনিটে তহুরা এবং ৪০ মিনিটে আবারও ঋতুপর্ণা। প্রথমার্ধে ৭ গোলে এগিয়ে থাকায় দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া ছিল না দল। তরুণদের সুযোগ দিতে তিনটি পরিবর্তন আনেন বাটলার।

রুপনা চাকমা, ঋতুপর্ণা ও শিউলি আজিমকে তুলে স্বপ্না রানী মন্ডল, উমহেলা মারমা ও হালিমা আক্তারকে নামান। বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল করতে পারেনি। এদিকে তুর্কমেনিস্তানও পুরো ম্যাচেই কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। গোলরক্ষক বারবার জাল থেকে বল তুলে নিতে নিতে ক্লান্ত। একপর্যায়ে ঋতুপর্ণার একটি শটে হাত ফসকে হাস্যকর এক গোলও হজম করেন।

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আট গ্রুপ রয়েছে। আট গ্রুপের আট চ্যাম্পিয়ন আগামী বছর এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। বাংলাদেশ সি গ্রুপ থেকে তিন ম্যাচে পূর্ণ নয় পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তিন ম্যাচে বাংলাদেশ ১৬ গোল দিয়েছে তিন প্রতিপক্ষকে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের জালে শুধু মাত্র মিয়ানমার একবার বল পাঠিয়েছিল।

বিগত দুই এশিয়ান কাপ বাছাই ছিল বাংলাদেশের জন্য দুর্বিষহ। কোনো ম্যাচেই জিততে পারেনি। উল্টো অনেক গোল হজম করতে হয়েছে। টানা দুই বার সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশ এবার এশিয়ান মঞ্চে জানান দিয়েছে তারা ফুটবলে অনেক উন্নতি করেছে। বিশেষ করে নিয়মিত এশিয়া কাপ খেলা স্বাগতিক মিয়ানমারের বিপক্ষে যেভাবে বাংলাদেশ জয় আদায় করেছে এটা অসাধারণ।

নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ আজ শেষ গ্রুপ ম্যাচ খেলেছে। মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন স্টেডিয়ামে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ৭-০ গোলে এগিয়ে যায় পিটার বাটলারের শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে আরো তিন গোল দিলে সিনিয়র নারী ফুটবল দলের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ডাবল ডিজিট গোল দেয়ার বিশেষ কৃত্তিত্ব অর্জন হতো। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়ের রেকর্ডও হতো।

৩ মিনিট থেকে বাংলাদেশের গোলযাত্রা শুরু হয়। স্বপ্না রানী বাংলাদেশকে প্রথম লিড এনে দেন। ৬ ও ১৩ মিনিটে জোড়া গোল করেন শামসুন্নাহার। ১৬-২০ মিনিটের মধ্যে বাংলাদেশ আরো তিন গোল পায়। ১৬ মিনিটে মনিকা, ১৭ মিনিটে ঋতুপর্ণা ও ২০ মিনিটে তহুরা খাতুন গোল করেন। এরপর প্রতিপক্ষ তুর্কমেনিস্তান খানিকক্ষণ স্বস্তি পায়। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার মিনিট তিনেক আগে ঋতুপর্ণা আরেক গোল করলে ৭-০ গোলের লিড নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে প্রথম ম্যাচে বাহরাইনকে ৭-০ গোলে হারিয়েছিল। সেই ম্যাচে প্রথমার্ধে ৫ গোল দিয়েছিল। আজ তৃতীয় ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই ৭ গোলে এগিয়েছিল বাংলাদেশ। তুর্কমেনিস্তান তাদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক মিয়ানমারের বিপক্ষে ৮ গোল হজম করেছিল।

বাংলাদেশ দল আগামীকাল বিকেলে মিয়ানমার থেকে রওনা হবে। মধ্যরাতে বাংলাদেশে পৌঁছাবে। বাফুফে গভীর রাতেই নারী ফুটবলারদের সম্মাননা জানানোর পরিকল্পনা করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

তিন ম্যাচ জিতেই এশিয়া কাপে বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ১১:১৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

এএফসি উইমেন’স এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচেও পেশাদারিত্বে এতটুকু ঘাটতি রাখেননি বাংলাদেশের কোচ পিটার বাটলার। আগেই চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত হলেও শুরুর একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেননি তিনি। ফলাফল—তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে উড়িয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে শতভাগ জয় নিয়ে বাছাইপর্ব শেষ করলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

আজ শনিবার (৫ জুলাই) মিয়ানমারের ইয়াংগুনের থুউন্না স্টেডিয়ামে ‘সি’ গ্রুপের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে প্রথমার্ধেই গোল-বৃষ্টি নামিয়ে দেন শামসুন্নাহার জুনিয়র, ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন ও মনিকারা।

মাত্র ২১ মিনিটেই স্কোরলাইন দাঁড়িয়ে যায় ৬-০। ম্যাচের ৪০তম মিনিটে কর্নার থেকে ঋতুপর্ণার দুর্দান্ত শটে আসে সপ্তম গোলটি। দুটি করে গোল করেছেন শামসুন্নাহার জুনিয়র ও ঋতুপর্ণা চাকমা। বাকি তিনটি গোল করেন স্বপ্না রানী, মনিকা চাকমা ও তহুরা খাতুন।

শুরুতেই চতুর্থ মিনিটে স্বপ্নার দূরপাল্লার শটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর গোল আসে যেন ঢেউয়ের পর ঢেউ—৬ মিনিটে শামসুন্নাহার, ১৩ মিনিটে আবারও তিনি, ১৬ মিনিটে মনিকা, ১৮ মিনিটে ঋতুপর্ণা, ২১ মিনিটে তহুরা এবং ৪০ মিনিটে আবারও ঋতুপর্ণা। প্রথমার্ধে ৭ গোলে এগিয়ে থাকায় দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া ছিল না দল। তরুণদের সুযোগ দিতে তিনটি পরিবর্তন আনেন বাটলার।

রুপনা চাকমা, ঋতুপর্ণা ও শিউলি আজিমকে তুলে স্বপ্না রানী মন্ডল, উমহেলা মারমা ও হালিমা আক্তারকে নামান। বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল করতে পারেনি। এদিকে তুর্কমেনিস্তানও পুরো ম্যাচেই কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। গোলরক্ষক বারবার জাল থেকে বল তুলে নিতে নিতে ক্লান্ত। একপর্যায়ে ঋতুপর্ণার একটি শটে হাত ফসকে হাস্যকর এক গোলও হজম করেন।

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আট গ্রুপ রয়েছে। আট গ্রুপের আট চ্যাম্পিয়ন আগামী বছর এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। বাংলাদেশ সি গ্রুপ থেকে তিন ম্যাচে পূর্ণ নয় পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তিন ম্যাচে বাংলাদেশ ১৬ গোল দিয়েছে তিন প্রতিপক্ষকে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের জালে শুধু মাত্র মিয়ানমার একবার বল পাঠিয়েছিল।

বিগত দুই এশিয়ান কাপ বাছাই ছিল বাংলাদেশের জন্য দুর্বিষহ। কোনো ম্যাচেই জিততে পারেনি। উল্টো অনেক গোল হজম করতে হয়েছে। টানা দুই বার সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশ এবার এশিয়ান মঞ্চে জানান দিয়েছে তারা ফুটবলে অনেক উন্নতি করেছে। বিশেষ করে নিয়মিত এশিয়া কাপ খেলা স্বাগতিক মিয়ানমারের বিপক্ষে যেভাবে বাংলাদেশ জয় আদায় করেছে এটা অসাধারণ।

নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ আজ শেষ গ্রুপ ম্যাচ খেলেছে। মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন স্টেডিয়ামে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ৭-০ গোলে এগিয়ে যায় পিটার বাটলারের শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে আরো তিন গোল দিলে সিনিয়র নারী ফুটবল দলের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ডাবল ডিজিট গোল দেয়ার বিশেষ কৃত্তিত্ব অর্জন হতো। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়ের রেকর্ডও হতো।

৩ মিনিট থেকে বাংলাদেশের গোলযাত্রা শুরু হয়। স্বপ্না রানী বাংলাদেশকে প্রথম লিড এনে দেন। ৬ ও ১৩ মিনিটে জোড়া গোল করেন শামসুন্নাহার। ১৬-২০ মিনিটের মধ্যে বাংলাদেশ আরো তিন গোল পায়। ১৬ মিনিটে মনিকা, ১৭ মিনিটে ঋতুপর্ণা ও ২০ মিনিটে তহুরা খাতুন গোল করেন। এরপর প্রতিপক্ষ তুর্কমেনিস্তান খানিকক্ষণ স্বস্তি পায়। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার মিনিট তিনেক আগে ঋতুপর্ণা আরেক গোল করলে ৭-০ গোলের লিড নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে প্রথম ম্যাচে বাহরাইনকে ৭-০ গোলে হারিয়েছিল। সেই ম্যাচে প্রথমার্ধে ৫ গোল দিয়েছিল। আজ তৃতীয় ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই ৭ গোলে এগিয়েছিল বাংলাদেশ। তুর্কমেনিস্তান তাদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক মিয়ানমারের বিপক্ষে ৮ গোল হজম করেছিল।

বাংলাদেশ দল আগামীকাল বিকেলে মিয়ানমার থেকে রওনা হবে। মধ্যরাতে বাংলাদেশে পৌঁছাবে। বাফুফে গভীর রাতেই নারী ফুটবলারদের সম্মাননা জানানোর পরিকল্পনা করছে।