গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে তদন্ত হবে: প্রেস সচিব

- আপডেট সময় : ০৪:০৭:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
- / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে

একাধিক গণমাধ্যমের মালিকানা এক উদ্যোক্তা হতে পারবে না-এমন প্রস্তাবে একমত নয় ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)। গণমাধ্যম সংস্কার প্রতিবেদন পর্যালোচনায় সাংবাদিক সংগঠন বিজেসি এমন বেশকিছু পর্যালোচনা ও সুপারিশ তুলে ধরে। অনুষ্ঠানে প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, মিডিয়াকে চাপ না দিতে গোয়েন্দাসহ বিভিন্ন সংস্থাকে বলা হয়েছে। আরো জানান, বিগত ১৫ বছরে কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে তা জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দিয়ে পুনর্মূল্যায়ন করতে চায় সরকার।
সংস্কার প্রস্তাবনায় অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনও গঠন করেছিল। গেল ২২ মার্চ কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কাছে। সেখানে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন করাসহ গণমাধ্যম সংস্কারে ২০টি সুপারিশমালা তৈরি করেছে কমিশন।
আজ (শনিবার, ৫ জুলাই) সম্প্রচার মাধ্যমের সাংবাদিক সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার গণমাধ্যম কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় বেশকিছু পর্যালোচনা ও সুপারিশ তুলে ধরেছে। যেমন সংস্কার কমিশন প্রতিবেদনে, একজন উদ্যোক্তা একটির বেশি গণমাধ্যমের মালিক হতে পারবেন না। তবে এ বিষয়ে বিজেসি দেশের পরিস্থিতি ও বৈশ্বিক বাজার ব্যবস্থাপনায় এ সুপারিশ বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে মনে করে।
সংস্কার কমিশনের বেশ কিছু প্রস্তাবনায় একমত হলেও সাংবাদিকতায় প্রবেশ পথে বেতন ৯ম গ্রেডে দেয়ার সুপারিশ করে বিজেসি। সভায় সুপারিশ করা হয় ডিজিটাল প্লাটফর্মের অপথ্য রোধে নীতিমালা প্রণয়নের।
সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন দেয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এটি নিরসনে বিজেসি স্বাধীন অ্যাক্রিডিটেশন গঠনের সুপারিশ করে। এসময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, মিডিয়াকে চাপ না দিতে গোয়েন্দাসহ বিভিন্ন সংস্থাকে বলা হয়েছে । তবে ভুল তথ্য প্রচার করলে তা অবগত করতে পারে।
শফিকুল আলম বলেন, ‘১১ মাসে আমরা চেষ্টা করেছি, আমাদের তরফ থেকে বারবার বলা হয়েছে কোনো ধরনের কোনো সিক্রেট এজেন্সি, ইনটেলিজেন্ট এজেন্সি যেন কোনো টিভি মিডিয়াকে বা নিউজ পেপারকে, কাউকে বা কোনো সাংবাদিককে একটা যেন ফোন না করে। পিএম অফিসের একজন ডেপুটি সেক্রেটারিও মনস্টার ছিলেন, উনার জন্য এটা করা যাবে না। আমরা তো ওই জায়গায় যেতে চাই না। আমরা চাই বাংলাদেশের প্রেস ফ্রিডমটা ইনস্টিটিউশনাল করা হোক। একটা ছেলে এসে যেন বলতে পারে যে না, কোনো ভয় ছাড়া সে একটা স্টোরি করতে পারে। একটা স্টোরিকে সে অনেকভাবে দেখতে পারে। আমাদের তো সত্যিকার অর্থে পুরোনো অনেক সমস্যা আছে। সবগুলো সে যেন নতুন করে লিখতে পারে।’
বিগত ১৫ বছরে কি ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে তা জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দিয়ে পুনর্মূল্যায়ন করতে চায় সরকার।
শফিকুল আলম বলেন, ‘গত ১৫ বছরে যে সাংবাদিকতা তা নিয়ে আমরা কিন্তু কোনো আলোচনাই করছি না। সেটা নিয়ে আমার মনে হয় যে, সৎ আলাপ হওয়া উচিত। আমরা যেটা করছি, আমরা জাতিসংঘকে লিখছি, তাদের বলছি যে আপনারা বাইরের এক্সপার্ট দেন সে এসে দেখুক যে কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে।’
বিজেসি মনে করে, দেশে স্বাধীন সাংবাদিকতায় আমূল পরিবর্তনে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।