তাপপ্রবাহে ঝুঁকির মুখে প্যারিসের ইতিহাস-ঐতিহ্য

- আপডেট সময় : ১২:৩৮:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
- / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে

তাপপ্রবাহে ঝুঁকির মুখে প্যারিসের ইতিহাস-ঐতিহ্য। একবিংশ শতকে উচ্চ তাপ শোষণ করা ২০০ বছর আগের বিশ্ব বিখ্যাত স্থাপত্যকলার নিদর্শন সরিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। আবার তীব্র গরমে জরুরি নগরবাসীর সুরক্ষাও।
তীব্র গরমে ক্লান্ত-ঘর্মাক্ত প্যারিস। রাজধানীর বাসিন্দারা অস্বস্তির চরমে জিংক-লাইনড রুফ বা দস্তাযুক্ত ছাদের নিচে।
ছাদের খালি জায়গাও মানুষের বসবাসের উপযোগী করে এসব ভবন নির্মিত ১৯ শতকের নকশায়। ২১ শতকে এসে উচ্চতাপ শোষণ ক্ষমতাসম্পন্ন ছাদের নিচের কক্ষগুলো হয়ে ওঠে আরো উত্তপ্ত। ভবনের ভেতরের অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে যখন তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তখন সূর্যের খরতাপে ছাদের জিংক প্যানেলগুলোতে তাপমাত্রা ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘গতকাল রাত ১০টা-১১টার দিকেও মেঝে গরম ছিল। কারণ এটা তাপ ধরে রাখে। দস্তার এটা একটা বড় অসুবিধা। সবকিছু খুব কঠিন হয়ে ওঠে। রাত ৮-৯টার আগে ছাদে পর্যন্ত যাওয়া যায় না।’
ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশ্ব বিখ্যাত ফরাসি স্থাপত্যকলার নিদর্শন সরিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। আবার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঘন ঘন এবং দীর্ঘস্থায়ী ও তীব্র তাপপ্রবাহে নগরবাসীর সুরক্ষা নিশ্চিত করাও জরুরি। দুই কূল রক্ষায় পরীক্ষামূলকভাবে জিংকযুক্ত ছাদে কাঠের মেঝে বসিয়ে গাছপালা রাখা হচ্ছে।
ফ্রান্সের প্যারিসের রুফস্কেপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা টিম কাজিন বলেন, ‘এই ছাদে ছায়া থাকছে। তাই অতিরিক্ত গরম হবে না। ভবনের ভেতরে তাপ সঞ্চালন হবে না। শহরের গরমে এটি বাড়তি কোনো প্রভাব ফেলবে না। ভবনের ভেতরেও এতো গরম হবে না যা বাসিন্দাদের অস্বস্তির কারণ হয়। এটি সবুজে পূর্ণ এমন এক ছাদ যা পানি ধরে রাখবে এবং জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধি করবে।’
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে দ্রুত উষ্ণ হয়ে উঠতে থাকা মহাদেশ ইউরোপ। এমন পরিস্থিতিতেই বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাব ঠেকাতে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়ছে শিল্পকলার নগরীখ্যাত ফরাসি রাজধানী।