ঢাকা ০২:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিএনপি কখনো জুলাই সনদের বিরোধিতা করেনি: মির্জা ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৫২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • / ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যারা গণতান্ত্রিক শক্তির বিপক্ষে, যারা জুলাই আগস্টের বিপ্লবের পক্ষের শক্তি নয় তারাই নির্বাচন বিলম্ব করার পায়তারা করছে। তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদের বিরোধিতা বিএনপি কখনো করেনি।’ আজ (রোববার, ৬ জুলাই) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, একটি মহল পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের পর, আবারো নতুন করে প্রস্তাব দিয়ে সংস্কারকে বিলম্বিত করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, কয়েকজন ব্যক্তি, একটি গোষ্ঠী বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাবে, আর জনগণ তা বিশ্বাস করবে? জনগণ বিশ্বাস করছে না। শহুরে কতিপয় মানুষই দেশের জনগণ নয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির সংস্কার নিয়ে কিছু দল কথা বলছে। সংস্কার বিষয়ে বিএনপির আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। তবে রাষ্ট্র পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে সংস্কারের নামে দুর্বল করার প্রস্তাবকে বিএনপি সমর্থন করে না।

তিনি আরও বলেন, নিত্যনতুন এমন সব প্রস্তাব আসছে, যা জনগণের স্বার্থে হলে, জনগণ স্বাগত জানাবে। কিন্তু, জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বড় কোনো পরিবর্তন তাদেরকে সম্পৃক্ত না করে গ্রহণ করা উচিত হবে না। যারা নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায়, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয়, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি নয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৬টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশনের বিষয় এখনও আলোচনায় আসেনি। তবে ওই কমিশনে আমাদের দলের প্রতিনিধিদের কাছে আমরা যতটুকু জেনেছি তাতে র‌্যাব বিলুপ্তিসহ প্রায় সব বিষয়েই ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

দুদক সংস্কার কমিশনে কতিপয় ছাড় দিয়ে ৪৭টি সুপারিশের ৪৬টিতেই আমরা সম্মতি জানিয়েছি। শুধু ২৯ নং সুপারিশে আইনের মাধ্যমে করার পরিবর্তে আমরা আদালতের অনুমতি নেওয়ার বিদ্যমান বিধান অব্যাহত রাখার কথা বলেছি। আমরা মনে করি এটা না হলে দুদকের কার্যক্রমকে অহেতুক বিলম্বিত করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ২০৮টি সুপারিশর মধ্যে ১৮৭টি প্রস্তাবে আমরা একমত হয়েছি এবং ৫টিতে আংশিক একমত হয়েছি। ৫টি সুপারিশে আমরা ভিন্নমত প্রদান করেছি। ১১টি প্রস্তাবে আমরা একমত হতে পারিনি- যেগুলো দেশে প্রদেশ সৃষ্টি, পদোন্নতি ও অন্যান্য প্রশাসনিক অসংগতির বিষয়ে। উল্লেখ্য, পদোন্নতির বিষয়ে আপিল বিভাগের রায় কার্যকর রয়েছে।

বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ৮৯টি সুপারিশের মধ্যে ৬২টি সুপারিশে আমরা একমত হয়েছি এবং ৯টিতে আংশিকভাবে একমত হয়েছি। ১৮টিতে ভিন্নমত পোষণ করে যুক্তিসহ পরামর্শ দিয়েছি। উল্লেখ্য, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিষয়ক সব প্রস্তাবে আমরা একমত হয়েছি। তবে এর কিছু বিষয়ে নির্বাচিত সংসদে আইন প্রণয়ন কিংবা ইতোমধ্যে কোনো অধ্যাদেশ হলে তা সংসদে রিটিফাই ও সাংবিধানিক সংশোধনীর প্রয়োজন হবে।

নির্বাচনী ব্যবস্থা বিষয়ক সংস্কার কমিশনের ২৪৩টি সুপারিশের মধ্যে ১৪১টিতে আমরা একমত হয়েছি এবং ১৪টিতে আংশিকভাবে একমত হয়েছি। ৬৪টিতে আমরা ভিন্নমতসহ একমত হয়েছি। অর্থাৎ এসব বিষয়ে পরিবর্তনে একমত হয়ে বিভিন্ন আইনে ও বিধিতে সংশোধনী অধিকতর কার্যকর হবে তা প্রস্তাব করেছি। ২৪টি বিষয়ে আমরা একমত হতে পারিনি। উল্লেখ্য, নির্বাচনী ব্যবস্থা সংক্রান্ত ১২টি আইন ও ৬টি নীতিমালা রয়েছে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় সংবিধানেও নির্দিষ্ট বিধান আছে। এসব প্রস্তাবের বেশ কয়েকটি বাস্তাবায়নযোগ্য নয় এবং কয়েকটি নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনে স্পষ্টতই বাধা সৃষ্টি করে তাদের সাংবিধানিক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করবে। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আনীত সব প্রস্তাবে একমত হয়েছি। আইনি সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের ১৩১টি সুপারিশে দফা ওয়ারি মতামত দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, অধিকাংশ সুপারিশে একমত হয়েছি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘৭০’ অনুচ্ছেদ ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ। দুই বিষয়েই আমরাই ছাড় দিয়েছি। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্দিষ্ট করে দেওয়ার বিধান বিশ্বের কোথাও না থাকার পরও ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আমরা সম্মত হয়েছি। প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়েও আমরা আমাদের প্রস্তাব থেকে সরে এসে একমত হয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে ঐকমত্য কমিশন বিএনপিকে নিয়ে যে বক্তব্য দিচ্ছে তা অস্পষ্ট। জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের ধারণার সঙ্গে বিএনপি একমত নয়।

আর নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘পিআর একটি অস্পষ্ট ধারণা, এটা আলোচনার জন্য আলোচনা করা হচ্ছে। পিআর কোনো বাস্তবসম্মত পদ্ধতি নয়। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের ২৪৩টি সুপারিশের মধ্যে ১৪১টিতে আংশিকভাবে একমত হয়েছে বিএনপি। ৬৪টি ভিন্নমত রয়েছে।’

তিনি বলেন, এ রাষ্ট্র জনগণের, সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিকও তারা। আমরা শুধু কীভাবে ভোটটা দেব এজন্য একটা ইভিএম পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। এই পদ্ধতি সম্পর্কে জনগণকে বোঝাতে অনেক প্রচার-প্রচারণা হয়েছে, যারা এই পদ্ধতি কার্যকর করবে তাদেরও অনেক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে যারা গেছেন তাদের ভাতা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আবার তাদের মাধ্যমে সারা দেশে জনগণকেও প্রশিক্ষিত করার চেষ্টা হয়েছে। এরপরও আজ পর্যন্ত ইভিএম পদ্ধতি কিন্তু কার্যকর হয়নি। এটা তো শুধু কীভাবে ভোটটা দেবে সেটা। আর পিআর পদ্ধতি হলো গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাকে বদলে দেওয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপি কখনো জুলাই সনদের বিরোধিতা করেনি: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৩:৫২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যারা গণতান্ত্রিক শক্তির বিপক্ষে, যারা জুলাই আগস্টের বিপ্লবের পক্ষের শক্তি নয় তারাই নির্বাচন বিলম্ব করার পায়তারা করছে। তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদের বিরোধিতা বিএনপি কখনো করেনি।’ আজ (রোববার, ৬ জুলাই) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, একটি মহল পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের পর, আবারো নতুন করে প্রস্তাব দিয়ে সংস্কারকে বিলম্বিত করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, কয়েকজন ব্যক্তি, একটি গোষ্ঠী বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাবে, আর জনগণ তা বিশ্বাস করবে? জনগণ বিশ্বাস করছে না। শহুরে কতিপয় মানুষই দেশের জনগণ নয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির সংস্কার নিয়ে কিছু দল কথা বলছে। সংস্কার বিষয়ে বিএনপির আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। তবে রাষ্ট্র পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে সংস্কারের নামে দুর্বল করার প্রস্তাবকে বিএনপি সমর্থন করে না।

তিনি আরও বলেন, নিত্যনতুন এমন সব প্রস্তাব আসছে, যা জনগণের স্বার্থে হলে, জনগণ স্বাগত জানাবে। কিন্তু, জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বড় কোনো পরিবর্তন তাদেরকে সম্পৃক্ত না করে গ্রহণ করা উচিত হবে না। যারা নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায়, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয়, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি নয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৬টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশনের বিষয় এখনও আলোচনায় আসেনি। তবে ওই কমিশনে আমাদের দলের প্রতিনিধিদের কাছে আমরা যতটুকু জেনেছি তাতে র‌্যাব বিলুপ্তিসহ প্রায় সব বিষয়েই ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

দুদক সংস্কার কমিশনে কতিপয় ছাড় দিয়ে ৪৭টি সুপারিশের ৪৬টিতেই আমরা সম্মতি জানিয়েছি। শুধু ২৯ নং সুপারিশে আইনের মাধ্যমে করার পরিবর্তে আমরা আদালতের অনুমতি নেওয়ার বিদ্যমান বিধান অব্যাহত রাখার কথা বলেছি। আমরা মনে করি এটা না হলে দুদকের কার্যক্রমকে অহেতুক বিলম্বিত করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ২০৮টি সুপারিশর মধ্যে ১৮৭টি প্রস্তাবে আমরা একমত হয়েছি এবং ৫টিতে আংশিক একমত হয়েছি। ৫টি সুপারিশে আমরা ভিন্নমত প্রদান করেছি। ১১টি প্রস্তাবে আমরা একমত হতে পারিনি- যেগুলো দেশে প্রদেশ সৃষ্টি, পদোন্নতি ও অন্যান্য প্রশাসনিক অসংগতির বিষয়ে। উল্লেখ্য, পদোন্নতির বিষয়ে আপিল বিভাগের রায় কার্যকর রয়েছে।

বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ৮৯টি সুপারিশের মধ্যে ৬২টি সুপারিশে আমরা একমত হয়েছি এবং ৯টিতে আংশিকভাবে একমত হয়েছি। ১৮টিতে ভিন্নমত পোষণ করে যুক্তিসহ পরামর্শ দিয়েছি। উল্লেখ্য, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিষয়ক সব প্রস্তাবে আমরা একমত হয়েছি। তবে এর কিছু বিষয়ে নির্বাচিত সংসদে আইন প্রণয়ন কিংবা ইতোমধ্যে কোনো অধ্যাদেশ হলে তা সংসদে রিটিফাই ও সাংবিধানিক সংশোধনীর প্রয়োজন হবে।

নির্বাচনী ব্যবস্থা বিষয়ক সংস্কার কমিশনের ২৪৩টি সুপারিশের মধ্যে ১৪১টিতে আমরা একমত হয়েছি এবং ১৪টিতে আংশিকভাবে একমত হয়েছি। ৬৪টিতে আমরা ভিন্নমতসহ একমত হয়েছি। অর্থাৎ এসব বিষয়ে পরিবর্তনে একমত হয়ে বিভিন্ন আইনে ও বিধিতে সংশোধনী অধিকতর কার্যকর হবে তা প্রস্তাব করেছি। ২৪টি বিষয়ে আমরা একমত হতে পারিনি। উল্লেখ্য, নির্বাচনী ব্যবস্থা সংক্রান্ত ১২টি আইন ও ৬টি নীতিমালা রয়েছে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় সংবিধানেও নির্দিষ্ট বিধান আছে। এসব প্রস্তাবের বেশ কয়েকটি বাস্তাবায়নযোগ্য নয় এবং কয়েকটি নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনে স্পষ্টতই বাধা সৃষ্টি করে তাদের সাংবিধানিক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করবে। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আনীত সব প্রস্তাবে একমত হয়েছি। আইনি সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের ১৩১টি সুপারিশে দফা ওয়ারি মতামত দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, অধিকাংশ সুপারিশে একমত হয়েছি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘৭০’ অনুচ্ছেদ ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ। দুই বিষয়েই আমরাই ছাড় দিয়েছি। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্দিষ্ট করে দেওয়ার বিধান বিশ্বের কোথাও না থাকার পরও ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আমরা সম্মত হয়েছি। প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়েও আমরা আমাদের প্রস্তাব থেকে সরে এসে একমত হয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে ঐকমত্য কমিশন বিএনপিকে নিয়ে যে বক্তব্য দিচ্ছে তা অস্পষ্ট। জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের ধারণার সঙ্গে বিএনপি একমত নয়।

আর নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘পিআর একটি অস্পষ্ট ধারণা, এটা আলোচনার জন্য আলোচনা করা হচ্ছে। পিআর কোনো বাস্তবসম্মত পদ্ধতি নয়। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের ২৪৩টি সুপারিশের মধ্যে ১৪১টিতে আংশিকভাবে একমত হয়েছে বিএনপি। ৬৪টি ভিন্নমত রয়েছে।’

তিনি বলেন, এ রাষ্ট্র জনগণের, সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিকও তারা। আমরা শুধু কীভাবে ভোটটা দেব এজন্য একটা ইভিএম পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। এই পদ্ধতি সম্পর্কে জনগণকে বোঝাতে অনেক প্রচার-প্রচারণা হয়েছে, যারা এই পদ্ধতি কার্যকর করবে তাদেরও অনেক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে যারা গেছেন তাদের ভাতা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আবার তাদের মাধ্যমে সারা দেশে জনগণকেও প্রশিক্ষিত করার চেষ্টা হয়েছে। এরপরও আজ পর্যন্ত ইভিএম পদ্ধতি কিন্তু কার্যকর হয়নি। এটা তো শুধু কীভাবে ভোটটা দেবে সেটা। আর পিআর পদ্ধতি হলো গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাকে বদলে দেওয়া।