ঢাকা ০৭:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এগারো মাসে দুদকে জমা হয়েছে ১২ হাজার ৮২৭ অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৩৭:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
  • / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত (১১ মাস) দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে ১২ হাজার ৮২৭টি অভিযোগের এসেছে। এ সময়ে ৭৬৮ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। দুদকের হালনাগাদ প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সবচেয়ে বেশি অনুসন্ধান শুরু হয় চলতি বছর। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৫৩০টি অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয়। জানুয়ারি মাসে ৯৬, ফেব্রুয়ারি মাসে ৯৫, মার্চ মাসে ১০১, এপ্রিল মাসে ১১৮, মে ৭২ ও জুন মাসে ৪৮টি অনুসন্ধান শুরু হয়।

অন্যদিকে, গতবছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৩৮টি অনুসন্ধান শুরু হয়। আগস্ট মাসে ৩৬, সেপ্টেম্বর মাসে ১০০, অক্টোবর মাসে ৭৩, নভেম্বর মাসে ০ ও ডিসেম্বর মাসে ২৯ টি অনুসন্ধান করা হয়। এ সময়ে দুদকের জালে ফেঁসেছেন ২ হাজার ৭৮৮ জন দুর্নীতিবাজ।

যারা সরাসরি অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিভিন্ন মামলা বা চার্জশিটভুক্ত আসামি হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১ হাজার ৪৩২ জন মামলার ও ১ হাজার ৩৫৬ জন চার্জশিটভুক্ত আসামি। আর আসামিদের মধ্যে ৩৪৩ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী ১১৪, ৯২জন রাজনীতিবিদ এবং ৭১৫ জন বেসরকারি চাকরিজীবিসহ অন্যান্য পেশার ব্যক্তি মামলার আসামি। বাকিরা বিভিন্ন পেশার চার্জশিটভুক্ত আসামি।

প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, গত জানুয়ারি থেকে জুন এই ৬ মাসে দুদকে অভিযোগ জমা পড়েছে ৫ হাজার ৯২৯টি, মামলা হয় ২৫৫টি, চার্জশিট দেয় ১৭৫টি, চার্জশিটভুক্ত আসামি ৫৩৮ জন, দুদকের মামলার মোট আসামি ৯৮৩ জন, যার মধ্যে রাজনীতিবিদ রয়েছেন ৬৮, সরকারি চাকরিজীবী ২১১ জন, জনপ্রতিনিধি ১৪ জন।

দুদক থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত গত ১১ মাসে বিভিন্ন অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে ১২ হাজার ৮২৭টি অভিযোগ দুদকে জমা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৬৮ অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য আমলে নেওয়া হয়। এ সময়ে ৩৯৯টি মামলা ও ৩২১টি মামলার চার্জশিট দেয় দুদক। মাস হিসেবে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বাধিক ৭০ ও ৫৪টি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আসামিদের মধ্যে ৩৪৩ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী ১১৪, ৯২ জন রাজনীতিবিদসহ ১২৬৪ দুর্নীতিবাজ দুদকের জালে ফেঁসেছে। ওই সময়ে ২২৩ জনের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী নোটিশ দেয় দুদক। একই সময়ে ৯টি অভিযোগের পরিসমাপ্তি (অভিযোগ থেকে অব্যাহতি) হয়।

২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৩৮ অনুসন্ধান, ৪ পরিসমাপ্তি, ৬২টি সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করে দুদক। আলোচ্য সময়ে ১৪৪ মামলা, ১৪৬ অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ৪৪৯ জন, অভিযোগপত্রে আসামি ৮১৮ জন।

জানতে চাইলে দুদকের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কমিশনের অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজে গতি এসেছে। পরিসংখ্যান বিবেচনা করলে বিশেষ করে গত ৬ মাসে অভিযোগ, মামলা ও চার্জশিট দেওয়ার পরিমাণ বেড়েছে। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর দুদকের কাজের অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এগারো মাসে দুদকে জমা হয়েছে ১২ হাজার ৮২৭ অভিযোগ

আপডেট সময় : ১২:৩৭:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত (১১ মাস) দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে ১২ হাজার ৮২৭টি অভিযোগের এসেছে। এ সময়ে ৭৬৮ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। দুদকের হালনাগাদ প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সবচেয়ে বেশি অনুসন্ধান শুরু হয় চলতি বছর। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৫৩০টি অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয়। জানুয়ারি মাসে ৯৬, ফেব্রুয়ারি মাসে ৯৫, মার্চ মাসে ১০১, এপ্রিল মাসে ১১৮, মে ৭২ ও জুন মাসে ৪৮টি অনুসন্ধান শুরু হয়।

অন্যদিকে, গতবছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৩৮টি অনুসন্ধান শুরু হয়। আগস্ট মাসে ৩৬, সেপ্টেম্বর মাসে ১০০, অক্টোবর মাসে ৭৩, নভেম্বর মাসে ০ ও ডিসেম্বর মাসে ২৯ টি অনুসন্ধান করা হয়। এ সময়ে দুদকের জালে ফেঁসেছেন ২ হাজার ৭৮৮ জন দুর্নীতিবাজ।

যারা সরাসরি অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিভিন্ন মামলা বা চার্জশিটভুক্ত আসামি হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১ হাজার ৪৩২ জন মামলার ও ১ হাজার ৩৫৬ জন চার্জশিটভুক্ত আসামি। আর আসামিদের মধ্যে ৩৪৩ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী ১১৪, ৯২জন রাজনীতিবিদ এবং ৭১৫ জন বেসরকারি চাকরিজীবিসহ অন্যান্য পেশার ব্যক্তি মামলার আসামি। বাকিরা বিভিন্ন পেশার চার্জশিটভুক্ত আসামি।

প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, গত জানুয়ারি থেকে জুন এই ৬ মাসে দুদকে অভিযোগ জমা পড়েছে ৫ হাজার ৯২৯টি, মামলা হয় ২৫৫টি, চার্জশিট দেয় ১৭৫টি, চার্জশিটভুক্ত আসামি ৫৩৮ জন, দুদকের মামলার মোট আসামি ৯৮৩ জন, যার মধ্যে রাজনীতিবিদ রয়েছেন ৬৮, সরকারি চাকরিজীবী ২১১ জন, জনপ্রতিনিধি ১৪ জন।

দুদক থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত গত ১১ মাসে বিভিন্ন অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে ১২ হাজার ৮২৭টি অভিযোগ দুদকে জমা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৬৮ অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য আমলে নেওয়া হয়। এ সময়ে ৩৯৯টি মামলা ও ৩২১টি মামলার চার্জশিট দেয় দুদক। মাস হিসেবে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বাধিক ৭০ ও ৫৪টি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আসামিদের মধ্যে ৩৪৩ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী ১১৪, ৯২ জন রাজনীতিবিদসহ ১২৬৪ দুর্নীতিবাজ দুদকের জালে ফেঁসেছে। ওই সময়ে ২২৩ জনের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী নোটিশ দেয় দুদক। একই সময়ে ৯টি অভিযোগের পরিসমাপ্তি (অভিযোগ থেকে অব্যাহতি) হয়।

২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৩৮ অনুসন্ধান, ৪ পরিসমাপ্তি, ৬২টি সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করে দুদক। আলোচ্য সময়ে ১৪৪ মামলা, ১৪৬ অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ৪৪৯ জন, অভিযোগপত্রে আসামি ৮১৮ জন।

জানতে চাইলে দুদকের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কমিশনের অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজে গতি এসেছে। পরিসংখ্যান বিবেচনা করলে বিশেষ করে গত ৬ মাসে অভিযোগ, মামলা ও চার্জশিট দেওয়ার পরিমাণ বেড়েছে। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর দুদকের কাজের অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে।