ঢাকা ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নোয়াখালীতে পানিবন্দি প্রায় ৬৪ হাজার পরিবার

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • / ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টানা দুদিনের ভারী বর্ষণের কারণে নোয়াখালী জেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৬৩ হাজার ৮৬০টি পরিবার। বুধবার (১০ জুলাই) রাত থেকে বৃষ্টি থামায় জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, মোট ৪৬৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ইতোমধ্যে ২৬৮টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। অতিবৃষ্টির ফলে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলের মাঠ পানির নিচে রয়েছে।

কবিরহাট উপজেলার বাসিন্দা আবু নাসের বলেন, বৃষ্টির কারণে আমাদের বাড়িসহ আশপাশের এলাকা পানিতে সয়লাভ। আমরা পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছি। গত বন্যায় আমরা অনেক ক্ষতির শিকার হয়েছিলাম।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন জানান, গতবারের বন্যায় এ উপজেলায় তেমন একটি বেশি ক্ষতি হয়। কিন্তু এবার পার্শ্ববর্তী জেলা ফেনীর মুহুরী নদীর পানি উপচে পড়ায় আমাদের উপজেলা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

সুবর্ণচর উপজেলার চরকচ্চপিয়ার কৃষক সিরাজ উদ্দিন জানান, কিছুদিন আগে আমন ধানের বীজ রোপন করেছিলাম। হঠাৎ অতিবৃষ্টির কারণে মাঠে এক হাঁটুর বেশি পরিমাণ পানি। এতে আমরা লোকসানে পড়ে গেলাম।

জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আরও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টিপাত আগামী কয়েকদিন থাকতে পারে।

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ জানান, জেলায় প্রায় ৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি ১০১টি মেডিকেল টিম, ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ২ হাজার ৭৮০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও নগদ ১৮ লাখ টাকা সংরক্ষিত আছে। জেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

নোয়াখালীতে পানিবন্দি প্রায় ৬৪ হাজার পরিবার

আপডেট সময় : ০১:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

টানা দুদিনের ভারী বর্ষণের কারণে নোয়াখালী জেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৬৩ হাজার ৮৬০টি পরিবার। বুধবার (১০ জুলাই) রাত থেকে বৃষ্টি থামায় জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, মোট ৪৬৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ইতোমধ্যে ২৬৮টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। অতিবৃষ্টির ফলে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলের মাঠ পানির নিচে রয়েছে।

কবিরহাট উপজেলার বাসিন্দা আবু নাসের বলেন, বৃষ্টির কারণে আমাদের বাড়িসহ আশপাশের এলাকা পানিতে সয়লাভ। আমরা পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছি। গত বন্যায় আমরা অনেক ক্ষতির শিকার হয়েছিলাম।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন জানান, গতবারের বন্যায় এ উপজেলায় তেমন একটি বেশি ক্ষতি হয়। কিন্তু এবার পার্শ্ববর্তী জেলা ফেনীর মুহুরী নদীর পানি উপচে পড়ায় আমাদের উপজেলা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

সুবর্ণচর উপজেলার চরকচ্চপিয়ার কৃষক সিরাজ উদ্দিন জানান, কিছুদিন আগে আমন ধানের বীজ রোপন করেছিলাম। হঠাৎ অতিবৃষ্টির কারণে মাঠে এক হাঁটুর বেশি পরিমাণ পানি। এতে আমরা লোকসানে পড়ে গেলাম।

জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আরও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টিপাত আগামী কয়েকদিন থাকতে পারে।

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ জানান, জেলায় প্রায় ৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি ১০১টি মেডিকেল টিম, ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ২ হাজার ৭৮০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও নগদ ১৮ লাখ টাকা সংরক্ষিত আছে। জেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।