ডিসেম্বরে মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এই নির্দেশনা অত্যন্ত ইতিবাচক। আমরা চাই, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হোক।
আজ (বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএফইউজে ও ডিইউজে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সীমান্তে হত্যাকাণ্ডকে গুরুত্বসহকারে দেখার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা যেন আর হালকাভাবে না দেখা হয়। এ বিষয়ে সরকারকে জোরালো অবস্থান নিতে হবে। একইসঙ্গে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়েও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য শুল্ক আরোপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ হলে দেশের পোশাক শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সরকারকে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি রাষ্ট্র সংস্কার সবচেয়ে বেশি চায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে যারা নিজেদের গণতন্ত্রের রক্ষক দাবি করে, তারাই এখন গণতন্ত্রবিরোধী আচরণ করছে।’
আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘স্বৈরাচার চলে গেলেও তার মানসিকতা রয়ে গেছে। আজ যারা গণতন্ত্রের কথা বলে, তারা সাংবাদিকদের ফেসবুকে হুমকি দিচ্ছে, এটা কোনো গণতান্ত্রিক আচরণ নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের বিজয় ধরে রাখতে আরও ধৈর্য, সহনশীলতা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা প্রয়োজন। জনগণ সব দেখছে, তাদের বোকা বানানো যাবে না।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ প্রমুখ।