ঢাকা ০২:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • / ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এখনো ঐকমত্য হয়নি। আজ (বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই) দুপুরের বিরতির পর এ ইস্যুতে আবারো আলোচনায় বসবে ঐকমত্য কমিশন। এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের দেয়া নতুন প্রস্তাব নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনার পর মতামত দিবে বিএনপি ও জামায়াত।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নতুন প্রস্তাবে যেহেতু উচ্চকক্ষ জড়িত তাই, আগে উচ্চকক্ষ গঠন নিয়ে ঐকমত্য হতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের দেয়া প্রস্তাব হলো, বিচার বিভাগ এবং রাষ্ট্রপতিকে বাদ দিতে হবে, এবং সংসদ সদস্যদের নিয়ে গঠিত কমিটি ঐকমত্যের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করবে।’

ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত‍্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফার একাদশ দিন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা আলোচনা হয়েছে।

সভার শুরুতে ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ‍্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘দলগুলোর সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে দ্রুত একটা জায়গায় যাওয়া সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘আজকের বিষয়গুলো নিয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে, সব দলের অবস্থান জানা। সেখান থেকে আলোচনা করে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করবে কমিশন।’

তিনি বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ের দুই মাসের আলোচনায় অনেক বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা জাতীয় সনদ তৈরির ক্ষেত্র অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গেছে। রাষ্ট্র সংস্কারের মৌলিক বিষয়গুলোতে আমাদের একমত হওয়া প্রয়োজন।’

তিনি আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য ঐকমত্য তৈরি করে জুলাই সনদ প্রণয়ন ও রাষ্ট্রের সংস্কার প্রক্রিয়াকে বেগবান করা। রাষ্ট্রকে এমন একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে যাতে করে ভবিষ্যতে কখনো ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত না হয়।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরো বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্য কমিশন যে সকল বিষয়ে অগ্রসর হয়েছে, তা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চায় কমিশন। কমিশন এবং দলগুলোর মধ্যে লক্ষ্যে কোনো মতভিন্নতা নেই, আমাদের সকলের উদ্দেশ্য এক।

কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।

এর আগে, দফায় দফায় বৈঠকে কমিশন প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ও সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণকল্পে স্বতন্ত্র কমিটি গঠনসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে।

কমিশন সূত্রে জানা যায়, আলোচনা শেষে ব্রিফ করবেন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য

আপডেট সময় : ০৫:৩৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

প্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এখনো ঐকমত্য হয়নি। আজ (বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই) দুপুরের বিরতির পর এ ইস্যুতে আবারো আলোচনায় বসবে ঐকমত্য কমিশন। এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের দেয়া নতুন প্রস্তাব নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনার পর মতামত দিবে বিএনপি ও জামায়াত।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নতুন প্রস্তাবে যেহেতু উচ্চকক্ষ জড়িত তাই, আগে উচ্চকক্ষ গঠন নিয়ে ঐকমত্য হতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের দেয়া প্রস্তাব হলো, বিচার বিভাগ এবং রাষ্ট্রপতিকে বাদ দিতে হবে, এবং সংসদ সদস্যদের নিয়ে গঠিত কমিটি ঐকমত্যের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করবে।’

ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত‍্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফার একাদশ দিন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা আলোচনা হয়েছে।

সভার শুরুতে ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ‍্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘দলগুলোর সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে দ্রুত একটা জায়গায় যাওয়া সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘আজকের বিষয়গুলো নিয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে, সব দলের অবস্থান জানা। সেখান থেকে আলোচনা করে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করবে কমিশন।’

তিনি বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ের দুই মাসের আলোচনায় অনেক বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা জাতীয় সনদ তৈরির ক্ষেত্র অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গেছে। রাষ্ট্র সংস্কারের মৌলিক বিষয়গুলোতে আমাদের একমত হওয়া প্রয়োজন।’

তিনি আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য ঐকমত্য তৈরি করে জুলাই সনদ প্রণয়ন ও রাষ্ট্রের সংস্কার প্রক্রিয়াকে বেগবান করা। রাষ্ট্রকে এমন একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে যাতে করে ভবিষ্যতে কখনো ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত না হয়।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরো বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্য কমিশন যে সকল বিষয়ে অগ্রসর হয়েছে, তা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চায় কমিশন। কমিশন এবং দলগুলোর মধ্যে লক্ষ্যে কোনো মতভিন্নতা নেই, আমাদের সকলের উদ্দেশ্য এক।

কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।

এর আগে, দফায় দফায় বৈঠকে কমিশন প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ও সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণকল্পে স্বতন্ত্র কমিটি গঠনসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে।

কমিশন সূত্রে জানা যায়, আলোচনা শেষে ব্রিফ করবেন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা।