ঢাকা ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যে স্কুলের ৩২০ পরীক্ষার্থীর সবাই পেল জিপিএ-৫

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:১০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • / ৩৬৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নরসিংদীর স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল অ্যান্ড হোমস এবারের এসএসসি পরীক্ষায়ও তার ধারাবাহিক সাফল্য বজায় রেখেছে। বিদ্যালয়টির ৩২০ জন শিক্ষার্থীই জিপিএ-৫ পেয়েছে, যা দেশের মধ্যে অন্যতম সেরা ফলাফল।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩১৭ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৩ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়—সবার ফলাফল জিপিএ-৫। অতীতেও বিদ্যালয়টি একাধিকবার শতভাগ পাস ও জিপিএ-৫ পেয়ে দেশসেরা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা অর্জন করেছে।

ফলাফল ঘোষণার পর স্কুল প্রাঙ্গণে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। শিক্ষার্থীরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে নেচে-গেয়ে মিষ্টি বিতরণ করে। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেন এবং তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন।

এক শিক্ষার্থী শেয়শ্রী সরকার বলেন, শিক্ষকদের আন্তরিকতা, বাড়তি ক্লাস ও নিয়মিত তদারকির কারণে আমি জিপিএ-৫ পেতে পেরেছি। বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে খুব ভালো লাগছে।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, নিয়মিত ক্লাস ছাড়াও বাড়িতে গিয়ে শিক্ষকদের খোঁজখবর নেওয়া, বিশেষ ক্লাস ও গাইড টিচারের মাধ্যমে দুর্বল শিক্ষার্থীদের আলাদা সহায়তা, এসবই ভালো ফলাফলের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমন হোসেন বলেন, আমাদের সাফল্যের পেছনে রয়েছে শিক্ষক, অভিভাবক ও পরিচালনা পর্ষদের সমন্বিত প্রচেষ্টা। প্রতিষ্ঠাতা আবদুল কাদির মোল্লার দূরদর্শী দিকনির্দেশনা আমাদের পথ দেখায়।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল কাদির মোল্লা বলেন, আমরা সারা দেশের ফল বিশ্লেষণ করে বুঝেছি, আমাদের ফলাফল দেশসেরা। এ ধারাবাহিকতা আমরা ধরে রাখার চেষ্টা করব।

২০০৮ সালে নরসিংদী শহরের ভেলানগরে আবদুল কাদির মোল্লা ও তার স্ত্রী নাছিমা বেগম মিলে গড়ে তোলেন এই বিদ্যালয়। বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী ও ১৬৪ জন শিক্ষক-কর্মকর্তার মাধ্যমে একটি কঠোর নিয়মশৃঙ্খলাপূর্ণ ও মানসম্মত শিক্ষা পরিবেশে চলছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিদ্যালয়ের এমন সাফল্য শুধু নরসিংদী নয়, গোটা দেশের শিক্ষা খাতের জন্যই একটি প্রেরণার নাম হয়ে উঠছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

যে স্কুলের ৩২০ পরীক্ষার্থীর সবাই পেল জিপিএ-৫

আপডেট সময় : ১১:১০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

নরসিংদীর স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল অ্যান্ড হোমস এবারের এসএসসি পরীক্ষায়ও তার ধারাবাহিক সাফল্য বজায় রেখেছে। বিদ্যালয়টির ৩২০ জন শিক্ষার্থীই জিপিএ-৫ পেয়েছে, যা দেশের মধ্যে অন্যতম সেরা ফলাফল।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩১৭ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৩ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়—সবার ফলাফল জিপিএ-৫। অতীতেও বিদ্যালয়টি একাধিকবার শতভাগ পাস ও জিপিএ-৫ পেয়ে দেশসেরা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা অর্জন করেছে।

ফলাফল ঘোষণার পর স্কুল প্রাঙ্গণে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। শিক্ষার্থীরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে নেচে-গেয়ে মিষ্টি বিতরণ করে। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেন এবং তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন।

এক শিক্ষার্থী শেয়শ্রী সরকার বলেন, শিক্ষকদের আন্তরিকতা, বাড়তি ক্লাস ও নিয়মিত তদারকির কারণে আমি জিপিএ-৫ পেতে পেরেছি। বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে খুব ভালো লাগছে।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, নিয়মিত ক্লাস ছাড়াও বাড়িতে গিয়ে শিক্ষকদের খোঁজখবর নেওয়া, বিশেষ ক্লাস ও গাইড টিচারের মাধ্যমে দুর্বল শিক্ষার্থীদের আলাদা সহায়তা, এসবই ভালো ফলাফলের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমন হোসেন বলেন, আমাদের সাফল্যের পেছনে রয়েছে শিক্ষক, অভিভাবক ও পরিচালনা পর্ষদের সমন্বিত প্রচেষ্টা। প্রতিষ্ঠাতা আবদুল কাদির মোল্লার দূরদর্শী দিকনির্দেশনা আমাদের পথ দেখায়।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল কাদির মোল্লা বলেন, আমরা সারা দেশের ফল বিশ্লেষণ করে বুঝেছি, আমাদের ফলাফল দেশসেরা। এ ধারাবাহিকতা আমরা ধরে রাখার চেষ্টা করব।

২০০৮ সালে নরসিংদী শহরের ভেলানগরে আবদুল কাদির মোল্লা ও তার স্ত্রী নাছিমা বেগম মিলে গড়ে তোলেন এই বিদ্যালয়। বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী ও ১৬৪ জন শিক্ষক-কর্মকর্তার মাধ্যমে একটি কঠোর নিয়মশৃঙ্খলাপূর্ণ ও মানসম্মত শিক্ষা পরিবেশে চলছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিদ্যালয়ের এমন সাফল্য শুধু নরসিংদী নয়, গোটা দেশের শিক্ষা খাতের জন্যই একটি প্রেরণার নাম হয়ে উঠছে।