ঢাকা ১১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জমির খরা প্রতিরোধে মানুষের চুল; বেড়েছে উৎপাদন

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জমির খরা প্রতিরোধের মূল হাতিয়ার হয়ে উঠেছে মানুষের চুল। চিলির বিভিন্ন বাগানে সারের পরিবর্তে মানুষ ও পোষা প্রাণীর চুল ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে মাটির উর্বরতার সঙ্গে কৃষি উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফসলে আর্দ্রতা ধরে রাখতে মানুষের চুল দারুণ কাজ করছে।

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে খরায় ভুগছে চিলির কৃষিখাত। খরার কারণে চিলির বিভিন্ন ফসল উৎপাদন ও গুণগত মানও হ্রাস পাচ্ছিল আশঙ্কাজনক হারে। এমন অবস্থায় সার ও ফসলের আর্দ্রতা ধরে রাখার বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয় ম্যাটার অব ট্রাস্ট চিলি ফাউন্ডেশন।

এবার খরা প্রতিরোধে ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষ ও পোষা প্রাণীর চুল। ফসলের আর্দ্রতা ধরে রাখার অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে এই উপাদান। চুল দিয়ে তৈরি ম্যাট রেখে দেয়া হচ্ছে গাছের গোড়ায়।

চিলির সাড়ে ৩০০ সেলুন ও বিভিন্ন পোষা প্রাণীর কাছ থেকে চুল সংগ্রহ করা হয়। মেশিনের সাহায্যে চুলগুলোকে প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা হচ্ছে চুলের ম্যাট বা মাদুর। গাছের গোড়ায় এগুলো রেখে দেয়ায় শিকড়ে আটকে থাকছে পানি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব চুল গাছের গোড়ায় জমে থাকা পানি জলীয় বাষ্পে পরিণত হওয়া কমায় প্রায় ৭১ শতাংশ। পাশাপাশি সেচের পানির ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয় করে। চুল দিয়ে তৈরি ম্যাটগুলো বিভিন্ন জায়গায় বাজারজাতও করছে ম্যাটার অব ট্রাস্ট চিলি ফাউন্ডেশন।

ম্যাটার অব চিলি ট্রাস্টের পরিচালক মাতিয়া ক্যারনিনি বলেন, ‘খরা মৌসুমে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে চরমভাবে। এতে ব্যাহত হচ্ছে ফসল উৎপাদন। এমন পরিস্থিতিতে কৃষিকাজ চালিয়ে যেতে সহায়তা করছে অভিনব এই পদ্ধতি। এখন অর্ধেক পানি দিয়েই চাষাবাদ চালিয়ে যেতে পারছেন কৃষকরা। ফলে বাড়ছে ফলন।’

চিলির রাজধানী সান্টিয়াগো থেকে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত তালতাল অঞ্চলে লেবু থেকে শুরু করে চেরি পর্যন্ত প্রায় সব ধরনের ফল চাষে সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। ফসল উৎপাদনও বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ।

চাষিদের একজন বলেন, ‘এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে আমরা খুব উপকার পেয়েছি। এ বছর লেবুর খুব ভালো ফলন হয়েছে। সারা বছর ধরেই আমরা ফসল উৎপাদন করতে পারছি।’

চিলির চেরি রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ৩ শতাংশ বাড়বে বলে আভাস পাওয়া গেছে। সম্প্রতি দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রমাগত বাড়ছে বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন।

নিউজটি শেয়ার করুন

জমির খরা প্রতিরোধে মানুষের চুল; বেড়েছে উৎপাদন

আপডেট সময় : ০৭:০১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

জমির খরা প্রতিরোধের মূল হাতিয়ার হয়ে উঠেছে মানুষের চুল। চিলির বিভিন্ন বাগানে সারের পরিবর্তে মানুষ ও পোষা প্রাণীর চুল ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে মাটির উর্বরতার সঙ্গে কৃষি উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফসলে আর্দ্রতা ধরে রাখতে মানুষের চুল দারুণ কাজ করছে।

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে খরায় ভুগছে চিলির কৃষিখাত। খরার কারণে চিলির বিভিন্ন ফসল উৎপাদন ও গুণগত মানও হ্রাস পাচ্ছিল আশঙ্কাজনক হারে। এমন অবস্থায় সার ও ফসলের আর্দ্রতা ধরে রাখার বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয় ম্যাটার অব ট্রাস্ট চিলি ফাউন্ডেশন।

এবার খরা প্রতিরোধে ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষ ও পোষা প্রাণীর চুল। ফসলের আর্দ্রতা ধরে রাখার অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে এই উপাদান। চুল দিয়ে তৈরি ম্যাট রেখে দেয়া হচ্ছে গাছের গোড়ায়।

চিলির সাড়ে ৩০০ সেলুন ও বিভিন্ন পোষা প্রাণীর কাছ থেকে চুল সংগ্রহ করা হয়। মেশিনের সাহায্যে চুলগুলোকে প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা হচ্ছে চুলের ম্যাট বা মাদুর। গাছের গোড়ায় এগুলো রেখে দেয়ায় শিকড়ে আটকে থাকছে পানি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব চুল গাছের গোড়ায় জমে থাকা পানি জলীয় বাষ্পে পরিণত হওয়া কমায় প্রায় ৭১ শতাংশ। পাশাপাশি সেচের পানির ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয় করে। চুল দিয়ে তৈরি ম্যাটগুলো বিভিন্ন জায়গায় বাজারজাতও করছে ম্যাটার অব ট্রাস্ট চিলি ফাউন্ডেশন।

ম্যাটার অব চিলি ট্রাস্টের পরিচালক মাতিয়া ক্যারনিনি বলেন, ‘খরা মৌসুমে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে চরমভাবে। এতে ব্যাহত হচ্ছে ফসল উৎপাদন। এমন পরিস্থিতিতে কৃষিকাজ চালিয়ে যেতে সহায়তা করছে অভিনব এই পদ্ধতি। এখন অর্ধেক পানি দিয়েই চাষাবাদ চালিয়ে যেতে পারছেন কৃষকরা। ফলে বাড়ছে ফলন।’

চিলির রাজধানী সান্টিয়াগো থেকে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত তালতাল অঞ্চলে লেবু থেকে শুরু করে চেরি পর্যন্ত প্রায় সব ধরনের ফল চাষে সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। ফসল উৎপাদনও বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ।

চাষিদের একজন বলেন, ‘এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে আমরা খুব উপকার পেয়েছি। এ বছর লেবুর খুব ভালো ফলন হয়েছে। সারা বছর ধরেই আমরা ফসল উৎপাদন করতে পারছি।’

চিলির চেরি রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ৩ শতাংশ বাড়বে বলে আভাস পাওয়া গেছে। সম্প্রতি দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রমাগত বাড়ছে বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন।