০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিষাক্ত গ্যাসের ঝুঁকিতে মধ্যপ্রাচ্যের লাখ লাখ মানুষ

মধ্যপ্রাচ্যে বিষাক্ত গ্যাস নির্গমণ আগের তুলনায় বেড়েছে। ফলে লাখ লাখ মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। খনি থেকে তেল উত্তোলনের সময় গ্যাস পোড়ানোর ফলে প্রচুর পরিমাণে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয়। কপ–২৮ আয়োজনকারী দেশ আরব আমিরাতসহ উপসাগরীয় দেশগুলোতে এ সমস্যা রয়েছে। সাম্প্রতি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, বিষাক্ত গ্যাসজনিত দূষণ শত শত মাইলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের বায়ুর মানই খারাপ হচ্ছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগামী বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ আয়োজিত কপ–২৮ জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ সম্মেলনের দুদিন আগে বায়ুদূষণের এমন তথ্য জানা গেল। প্রায় ২০ বছর আগে গ্যাস ফ্ল্যালারিং (খনি থেকে তেল উত্তোলনের সময় গ্যাস পোড়ানো) বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। কিন্তু বিবিসি দাবি করেছে, তাদের স্যাটেলাইট ইমেজে গ্যাস ফ্ল্যালারিংয়ের চিত্র ধরা পড়েছে। অর্থাৎ গ্যাস ফ্ল্যালারিং এখনো অব্যাহত রয়েছে এবং এর ফলে আরব আমিরাতের পাশের দেশগুলো চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে।

বিবিসি বলছে, বিষাক্ত গ্যাসের দূষণ ছড়িয়ে পড়েছে ইরাক, ইরান ও কুয়েতে পর্যন্ত। তবে দেশগুলো বিবিসির এ দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। অন্যদিকে, খনি থেকে তেল উত্তোলনকারী কোম্পানিগুলো বলছে, তারা গ্যাস ফ্ল্যালারিং নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।

গতকাল শনিবার বিবিসি আইপ্লেয়ারে এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর জাতিসংঘের মানবাধিকার ও পরিবেশ বিষয়ক বিশেষ র‌্যাপোর্টার ডেভিড আর বয়েড বলেন, বিবিসির অনুসন্ধানের ফলাফল খুবই উদ্বেগজনক। মধ্যপ্রাচ্যের বড় বড় তেল কোম্পানি ও রাষ্ট্রগুলো বায়ু দূষণ মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে। তারা লাখ লাখ মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। কোনো ধরনের জবাবদিহিতা ছাড়াই কোম্পানিগুলো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

ডেভিড আর বয়েড আরও বলেন, তেল বাণিজ্যের মাফিয়ারা বিষাক্ত গ্যাস পুড়িয়ে বায়ুদূষণকে দুবাই, আবুধাবি, কুয়েত, ইরান, ইরাক পর্যন্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে দিয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। কিভাবে তেল জায়ান্টদের লুকানো বিষাক্ত বায়ু দূষণ শত শত কিলোমিটার ছড়িয়ে পড়ছে, দুবাই, আবুধাবি, কুয়েত, ইরান এবং ইরাকের লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।

স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গ্যাস ফ্লারিং থেকে নির্গত দূষিত পদার্থের মধ্যে রয়েছে ওজোন, নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড, বেনোজো (এ) এবং পাইরিন (বিপিএ)। এসব বিষাক্ত পদার্থ মানুষের শরীরে প্রবেশ করে স্ট্রোক, ক্যান্সার, হাঁপানি এবং হৃদরোগজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া কার্বন ডাইঅক্সাইড ও মিথেন গ্যাসের একটি বড় উৎস হচ্ছে গ্যাস ফ্লারিং।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

বিষাক্ত গ্যাসের ঝুঁকিতে মধ্যপ্রাচ্যের লাখ লাখ মানুষ

আপডেট : ০৭:৪৬:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

মধ্যপ্রাচ্যে বিষাক্ত গ্যাস নির্গমণ আগের তুলনায় বেড়েছে। ফলে লাখ লাখ মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। খনি থেকে তেল উত্তোলনের সময় গ্যাস পোড়ানোর ফলে প্রচুর পরিমাণে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয়। কপ–২৮ আয়োজনকারী দেশ আরব আমিরাতসহ উপসাগরীয় দেশগুলোতে এ সমস্যা রয়েছে। সাম্প্রতি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, বিষাক্ত গ্যাসজনিত দূষণ শত শত মাইলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের বায়ুর মানই খারাপ হচ্ছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগামী বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ আয়োজিত কপ–২৮ জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ সম্মেলনের দুদিন আগে বায়ুদূষণের এমন তথ্য জানা গেল। প্রায় ২০ বছর আগে গ্যাস ফ্ল্যালারিং (খনি থেকে তেল উত্তোলনের সময় গ্যাস পোড়ানো) বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। কিন্তু বিবিসি দাবি করেছে, তাদের স্যাটেলাইট ইমেজে গ্যাস ফ্ল্যালারিংয়ের চিত্র ধরা পড়েছে। অর্থাৎ গ্যাস ফ্ল্যালারিং এখনো অব্যাহত রয়েছে এবং এর ফলে আরব আমিরাতের পাশের দেশগুলো চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে।

বিবিসি বলছে, বিষাক্ত গ্যাসের দূষণ ছড়িয়ে পড়েছে ইরাক, ইরান ও কুয়েতে পর্যন্ত। তবে দেশগুলো বিবিসির এ দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। অন্যদিকে, খনি থেকে তেল উত্তোলনকারী কোম্পানিগুলো বলছে, তারা গ্যাস ফ্ল্যালারিং নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।

গতকাল শনিবার বিবিসি আইপ্লেয়ারে এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর জাতিসংঘের মানবাধিকার ও পরিবেশ বিষয়ক বিশেষ র‌্যাপোর্টার ডেভিড আর বয়েড বলেন, বিবিসির অনুসন্ধানের ফলাফল খুবই উদ্বেগজনক। মধ্যপ্রাচ্যের বড় বড় তেল কোম্পানি ও রাষ্ট্রগুলো বায়ু দূষণ মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে। তারা লাখ লাখ মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। কোনো ধরনের জবাবদিহিতা ছাড়াই কোম্পানিগুলো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

ডেভিড আর বয়েড আরও বলেন, তেল বাণিজ্যের মাফিয়ারা বিষাক্ত গ্যাস পুড়িয়ে বায়ুদূষণকে দুবাই, আবুধাবি, কুয়েত, ইরান, ইরাক পর্যন্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে দিয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। কিভাবে তেল জায়ান্টদের লুকানো বিষাক্ত বায়ু দূষণ শত শত কিলোমিটার ছড়িয়ে পড়ছে, দুবাই, আবুধাবি, কুয়েত, ইরান এবং ইরাকের লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।

স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গ্যাস ফ্লারিং থেকে নির্গত দূষিত পদার্থের মধ্যে রয়েছে ওজোন, নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড, বেনোজো (এ) এবং পাইরিন (বিপিএ)। এসব বিষাক্ত পদার্থ মানুষের শরীরে প্রবেশ করে স্ট্রোক, ক্যান্সার, হাঁপানি এবং হৃদরোগজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া কার্বন ডাইঅক্সাইড ও মিথেন গ্যাসের একটি বড় উৎস হচ্ছে গ্যাস ফ্লারিং।