বিএনপির ২৪ ঘণ্টার অবরোধ শুরু
- আপডেট সময় : ০৫:৫১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪২৯ বার পড়া হয়েছে
সরকার পতনের একদফা দাবিতে অষ্টম দফায় ডাকা ২৪ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে। পরে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় অবরোধ শেষে ওই সময় থেকেই সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করবে দলটি। দলটির পক্ষ থেকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী গত সোমবার বিকেলে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। এ ছাড়া একই কর্মসূচি পালন করবে জামায়াত ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা এলডিপি, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণঅধিকার পরিষদসহ সমমনা দলগুলো।
দেশব্যাপী এই সর্বাত্মক অবরোধের আওতায় থাকবে রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ। আর ২৪ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শেষ হতেই বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে ১২ ঘণ্টা হরতাল পালন করবে বিএনপি-জামায়াত ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সরকারবিরোধী দলগুলো।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশজুড়ে এ অবরোধ চলবে। এদিকে ২৪ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা দেশজুড়ে হরতাল পালিত হবে। এরআগে সোমবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
গত কয়েকদিনের অবরোধ ও হরতালে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে সীমিত পরিসরে চলছে গণপরিবহন। বুধবার (২৯ নভেম্বর) ভোর থেকে মহাসড়কে গণপরিবহন তেমন একটা চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে গণপরিবহন বাড়তে থাকে। এছাড়াও পণ্যবাহী ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা, পিকাআপ ও ব্যক্তিগত যান চলাচল করছে।
এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরেও রেল স্টেশনসহ বাসস্ট্যান্ডগুলোতে যাত্রীদের বাড়তি কোনো চাপ লক্ষ করা যায়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ গন্তব্যে যাচ্ছেন না। তাই যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম।
অপরদিকে মহাসড়কসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে গত অবরোধের মত পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলারক্ষা বাহিনীর কড়াকড়ি ও জোড়ালো টহল না থাকলেও কোথাও বিএনপির কর্মী সমর্থকদের পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঢাকাসহ সারাদেশে ১৫৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার (২৯ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে ১৫৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ২১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে দেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জনগণের জানমাল রক্ষায় সারাদেশে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ৪২৮টি টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীতে র্যাব ফোর্সেস এর ১৪০ টি টহল দলসহ সারাদেশে ৪২৮ টি টইল দল মোতায়েন রয়েছে। যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে নিরাপত্তা প্রদানে দেশের বিভিন্ন স্থানে দূরপাল্লার গণপরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহনকে র্যাব টহলের মাধ্যমে এসকোর্ট প্রদান করে নিরাপদে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিচ্ছে র্যাব।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি সৈয়দ সাইফুজ্জামানের নেতৃত্বে মিছিল ও সড়ক অবরোধ করা হয়। এ সময় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি আকতারুজ্জামান আক্তার, সহ-সভাপতি নাছির উদ্দিন নাছির, যুগ্ম সম্পাদক মনজুরুল আলম রিয়াদ, যুগ্ম সম্পাদক জকির উদ্দিন আবির, সহ-সাধারণ সম্পাদক সানজিদা ইয়াসমিন তুলি, সহ-সাধারণ সম্পাদক অহি আহমেদ জুবায়ের প্রমুখ।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকার গঠন ও কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিএনপির ডাকা ৮ম দফা অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৭ টায় রাজধানীর দয়াগঞ্জে শাখা ছাত্রদল সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান আসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ মিছিল হয়।
এ সময় শাখা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও অবৈধ তফসিল বাতিল না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রতিটি নেতাকর্মী রাজপথে অবস্থান করবে।
অবরোধ শুরুর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর মগবাজার এলাকায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনকে মেরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ছাত্রলীগ। যদিও হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, বিএনপির কিছু নেতাকর্মী বুধবারের (২৯ নভেম্বর) কর্মসূচির সমর্থনে মগবাজার ওয়ারলেস এলাকায় মিছিলের জন্য জড়ো হচ্ছিলো। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে, তারা দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়। তখন স্থানীয় জনগন খোকন নামে একজনকে আটক করে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উত্তর সালনা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৬ টায় উত্তর সালনা এলাকায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি বাসে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আধঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধা ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাসের সামনের অংশ পুড়ে গেছে, তবে কেউ হতাহত হয়নি।
রাজধানীর বাইরে ঝটিকা মিছিল-পিকেটিংয়ের মধ্য দিয়ে বিএনপি ও সমমনাদের ডাকা অবরোধ চলছে। অবরোধের আগে, রাতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় টাইলসবাহী একটি ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
ভোরে মানিকগঞ্জ-হরিরামপুর সড়কের আন্ধারমানিক ও সিংগাইর সড়কের কেওরজানি এলাকায় মিছিল করেছেন জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় সরকারের পদত্যাগ ও তফসিল বাতিলের দাবিতে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। অবরোধের সমর্থনে ফরিদপুরে শহরের টেপাখোলায় সরকার ইয়াছিন কলেজের সামনে থেকে ঝটিকা মিছিল করেছে বিএনপি। সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীরা অবরোধের সমর্থনে মিছিল করেছে। ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের সলঙ্গা থানার রানীনগর এলাকায় পিকেটিংও করেছে জামায়াতে ইসলামী।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় অবরোধ সমর্থনে কাজী মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এদিকে, মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় টাইলসবাহী একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রাকটির সামনে অংশে আগুন ধরে যায়। সে সময় ট্রাক চালক দ্রুত নেমে যেতে পারলেও তার সহকারীর দুই হাত দগ্ধ হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় আগুন নিভিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়।
বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা দেশব্যাপী ২৪ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের সমর্থনে বগুড়ায় একাধিক স্থানে রাস্তা বন্ধ করে মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৮টায় বগুড়া পৌরসভার ফনিরমোড় এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে মিছিল করে দলটির নেতা-র্কীরা। এতে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ভিপি সাইফুল ইসলাম ও জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা। পরে সেখানে সমাবেশ করেন তারা। এ সময় সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এছাড়া সকাল ৯টায় দ্বিতীয় বাইপাসের বনানী সুজাবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর হেনা। রাস্তা অবরোধ করে মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান গাবতলীতেও।
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ফয়লা বাজার সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে আগুনে বাসের সব সিট পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের রামপাল স্টেশনের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কীভাবে আগুন লেগেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস অনুসন্ধান করে দেখছে বলে জানিয়েছে।
বিএনপির ডাকা অষ্টম দফা অবরোধের আগের রাতে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে পিকআপে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে জেলার সলঙ্গা থানার মহাসড়কের পাঁচলিয়া ও নলকার মাঝামাঝি আজিজ ফিলিং স্টেশন এলাকায় এই আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরিবহনে আগুন দেওয়ার খবর পাবার পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে পিকআপটির সামনের পুরো অংশ পুড়ে যায়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম.এ ওয়াদুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, একটি সবজিবাহী পিকআপ রাত সোয়া ৩টার দিকে উত্তরবঙ্গ থেকে সবজি নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পিকআপটি আজিজ ফিলিং স্টেশন এলাকায় পৌঁছালে সেখানে রাস্তা একটু ভাঙ্গা থাকায় পিকআপটি একটু গতি কমায়। এই সুযোগে কয়েকজন দুর্বৃত্ত মশাল জাতীয় কিছু দিয়ে পিকআপটির সামনের ছিটে আগুন ধরিয়ে দেন।
এদিকে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর সপ্তম দফায় ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শেষ হয় মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ভোর ৬টায়। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে অষ্টম দফার ২৪ ঘণ্টার অবরোধ।
অষ্টম দফার অবরোধ এবং ৩৯ নভেম্বর হরতাল সমর্থনে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল মশাল মিছিল করেছে। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর ডাকা অষ্টম দফার অবরোধ ও হরতাল সমর্থনে মঙ্গলবার রাতে খুলনা নগরীর কেডিএ এভিনিউ হতে মশাল মিছিল বের হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা অবরোধ ও হরতাল সমর্থনে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
অবরোধ ও হরতাল সমর্থনে মুন্সীগঞ্জে মশাল মিছিল করেছে যুবদলের নেতাকর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরের মুক্তারপুর পান্না সিনেমা হলের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে ষষ্ঠ চীন বাংলাদেশ মৈত্রী সেতুর সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় মিছিল থেকে যুবদলের নেতাকর্মীরা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়। মিছিলে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাসুদ রানাসহ প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
অবরোধ ও হরতাল সমর্থনে ভোলায় বিএনপি মশাল মিছিল করেছে। এ সময় মিছিলকারীরা সরকারের পদত্যাগ ও তফসিল বাতিলের দাবি জানান। থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে আজ সন্ধ্যা ৬টায় শহরের উকিলপাড়া ঈদগাঁর এলাকা থেকে মশাল মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি মুসলিম গোরস্তানের সামনে এসে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে শেষ হয়। মশাল মিছিলে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
রাজধানীর শান্তিনগরের বেইলি রোডে ককটেল বিস্ফোরণে মো. সাকিব (২৬) এবং মো. আশিক ( ২৮) নামের দুই যুবক আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে আহত যুবকদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
আহতদের সহকর্মী সবুজ জানান, বেইলি রোডের একটি কাপড়ের শোরুমের কাজ শেষে সাকিব ও আশিক পায়ে হেঁটে রামপুরার বাসায় ফিরছিলেন। এমন সময় হঠাৎ বেইলি রোডের মোড়ে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তাঁদের দুজনের পায়ে জখম হয়। পরে তাঁদেরকে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়। তবে কে বা কারা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তাঁদেরকে চিনতে পারেননি আহতরা।
এর আগে ২৮ নভেম্বর মহাসমাবেশে বাধা ও নেতাকর্মী গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে বিএনপি। গত ৩১ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে প্রথম দফায় সারা দেশে তিন দিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ শুরু করে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দল। তিন দিনের অবরোধের শেষ দিন ২ নভেম্বর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ফের অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। সে ঘোষণা অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ শুরু হয়। এরপর তৃতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ৮ নভেম্বর শুরু হয়ে ১০ নভেম্বর সকাল ৬টায় শেষ হয়। এরপর চতুর্থ দফার অবরোধ শুরু হয় ১২ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে, যা শেষ হয় মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ৬টায়। পরে ১৫ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে পঞ্চম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করে দলটি। এরপর নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের কর্মসূচি শেষ হয় মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল ৬টায়। পরে ২২ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ষষ্ঠ দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ পালন করে দলটি। শুক্রবার ২৪ নভেম্বর সকাল ৬টায় শেষ হয় এই অবরোধ কর্মসূচি। আর ২৮ নভেম্বর সকাল ৬টায় সপ্তম দফার অবরোধ শেষ হয়। আজ বুধবার সকাল ৬টা থেকে থেকে শুরু হয় অষ্টম দফার অবরোধ।