০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় ফের ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা শুরু

হামাস এবং ইসরায়েলের গত ৭ দিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষে আজ শুক্রবার থেকে গাজায় আবারও হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় সকাল ৭টার পর রকেট হামলা ও বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। গাজায় হামলার বিষয়ে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, হামাস ইসরায়েলি ভূখণ্ডের দিকে রকেট ছোড়ায় গাজায় ফের হামলা শুরু হয়েছে। এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপির সাংবাদিকও গাজা সিটিতে হামলার খবর নিশ্চিত করেছেন।

গাজার প্রথান শহর গাজা সিটি থেকে এএফপির প্রতিনিধি জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল সাতটা (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১ টা) থেকে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী ও স্থলবাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে।

হামলার কিছু সময় আগে দেওয়া এক বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে, যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী শুক্রবার যেসব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা হামাসের— তা এখনও সরবরাহ করেনি ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী এই গোষ্ঠীটি। পাশাপাশি হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট ছোড়ার অভিযোগও আনা হয়েছে আইডিএফের বিবৃতিতে।

গাজা উপত্যকার প্রধান শহর গাজা সিটি এবং উত্তর গাজার বাসিন্দারা এএফপিকে জানিয়েছেন, হামাস ও তার মিত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের সংঘাত ও গুলি বিনিময়ের শব্দে শুক্রবার ঘুম ভেঙেছে তাদের।

গাজার উপত্যকার মধ্যাঞ্চল বা কেন্দ্রে অবস্থিত নুসেইরাত এবং বুরেইজি শরণার্থী শিবিরেও গোলা ছুড়েছে ইসরায়েলি বাহিনীর ট্যাংকগুলো।

অন্যদিকে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আরও ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দি। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ হিসেবে সপ্তম দফায় এই ৩০ ফিলিস্তিনিকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সর্বশেষ মুক্তপ্রাপ্তদের বেশিরভাগই নাবালক। অন্যদিকে হামাস গাজা থেকে আরও ৮ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ত্রিশজন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্ত করা হয়েছে বলে ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে চূড়ান্ত পর্যায়ে ওই ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়।

এএফপি বলছে, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস তাদের হাতে আটক ৮ ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্ত করার কয়েক ঘণ্টা পর এসব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়। সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত এই ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দির মধ্যে ২৩ জন নাবালক ও সাতজন নারী।

এর আগে গাজা উপত্যকায় দেড় মাসের বেশি সময় ধরে বন্দি থাকা ইসরায়েলি দুই নারীকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া ওই দুই নারীর পরিচয় প্রকাশ করেছে।

তারা হলেন, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে কনসার্ট থেকে অপহৃত ২১ বছর বয়সী মিয়া চেম এবং ৪০ বছর বয়সী অমিত সোসানা। মিয়া চেমের ইসরায়েলের পাশাপাশি ফরাসি নাগরিকত্বও রয়েছে।

ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস এরপর আরও ছয়জনকে বন্দিকে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করে বলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। হামাসের হাত থেকে মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৯ থেকে ৪১ বছর বয়সী চারজন নারী রয়েছেন, যার মধ্যে একজন মেক্সিকান-ইসরায়েলি দ্বৈত নাগরিক বলে জানানো হয়েছে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

গাজায় ফের ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা শুরু

আপডেট : ০৭:০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৩

হামাস এবং ইসরায়েলের গত ৭ দিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষে আজ শুক্রবার থেকে গাজায় আবারও হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় সকাল ৭টার পর রকেট হামলা ও বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। গাজায় হামলার বিষয়ে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, হামাস ইসরায়েলি ভূখণ্ডের দিকে রকেট ছোড়ায় গাজায় ফের হামলা শুরু হয়েছে। এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপির সাংবাদিকও গাজা সিটিতে হামলার খবর নিশ্চিত করেছেন।

গাজার প্রথান শহর গাজা সিটি থেকে এএফপির প্রতিনিধি জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল সাতটা (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১ টা) থেকে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী ও স্থলবাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে।

হামলার কিছু সময় আগে দেওয়া এক বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে, যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী শুক্রবার যেসব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা হামাসের— তা এখনও সরবরাহ করেনি ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী এই গোষ্ঠীটি। পাশাপাশি হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট ছোড়ার অভিযোগও আনা হয়েছে আইডিএফের বিবৃতিতে।

গাজা উপত্যকার প্রধান শহর গাজা সিটি এবং উত্তর গাজার বাসিন্দারা এএফপিকে জানিয়েছেন, হামাস ও তার মিত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের সংঘাত ও গুলি বিনিময়ের শব্দে শুক্রবার ঘুম ভেঙেছে তাদের।

গাজার উপত্যকার মধ্যাঞ্চল বা কেন্দ্রে অবস্থিত নুসেইরাত এবং বুরেইজি শরণার্থী শিবিরেও গোলা ছুড়েছে ইসরায়েলি বাহিনীর ট্যাংকগুলো।

অন্যদিকে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আরও ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দি। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ হিসেবে সপ্তম দফায় এই ৩০ ফিলিস্তিনিকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সর্বশেষ মুক্তপ্রাপ্তদের বেশিরভাগই নাবালক। অন্যদিকে হামাস গাজা থেকে আরও ৮ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ত্রিশজন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্ত করা হয়েছে বলে ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে চূড়ান্ত পর্যায়ে ওই ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়।

এএফপি বলছে, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস তাদের হাতে আটক ৮ ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্ত করার কয়েক ঘণ্টা পর এসব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়। সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত এই ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দির মধ্যে ২৩ জন নাবালক ও সাতজন নারী।

এর আগে গাজা উপত্যকায় দেড় মাসের বেশি সময় ধরে বন্দি থাকা ইসরায়েলি দুই নারীকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া ওই দুই নারীর পরিচয় প্রকাশ করেছে।

তারা হলেন, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে কনসার্ট থেকে অপহৃত ২১ বছর বয়সী মিয়া চেম এবং ৪০ বছর বয়সী অমিত সোসানা। মিয়া চেমের ইসরায়েলের পাশাপাশি ফরাসি নাগরিকত্বও রয়েছে।

ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস এরপর আরও ছয়জনকে বন্দিকে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করে বলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। হামাসের হাত থেকে মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৯ থেকে ৪১ বছর বয়সী চারজন নারী রয়েছেন, যার মধ্যে একজন মেক্সিকান-ইসরায়েলি দ্বৈত নাগরিক বলে জানানো হয়েছে।