০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৌদি প্রিন্স সালমানের সঙ্গে বৈঠক করতে মধ্যপ্রাচ্যে পুতিন

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠক করতে মধ্যপ্রাচ্যে পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার পুতিন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে পৌঁছান। সেখানে আবুধাবির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পুতিন। এরপর পুতিন সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবেন। খবর রয়টার্সের।

আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে স্বাগত জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান।

২০১৯ সালের পর পুতিনের সঙ্গে প্রিন্স সালমানের এটি প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ হতে যাচ্ছে। বৈঠকে তেল উৎপাদন, ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরায়েল–হামাস সংঘাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো স্থান পাবে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।

ওপেক ও এর সহযোগী দেশগুলোর তেল উৎপাদন কমানোর পরও বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ায় পুতিন এ সফরের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

ক্রেমলিন জানায়, বিশ্বের ৪০ শতাংশ তেল উৎপাদনকারী ওপেক ও এর সহযোগী দেশগুলোর তেল উৎপাদন ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে বৈঠকে। সৌদি–রাশিয়ার সমন্বয় বিশ্ব তেল বাজারে একটি স্থিতিশীল ও পূর্বাভাসযোগ্য পরিস্থিতি বজার রাখবে।

মধ্যপ্রাচ্যে ক্রেমলিনের প্রধানের শেষ সফর ছিল ২০২২ সালের জুলাই মাসে, যখন তিনি ইরানে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পুতিন মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নীতিকে ব্যর্থ বলে আসছেন এবং আরব মিত্র এবং ইরানের সাথে সাথে হামাসের সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে তোলায় জোর দিয়েছেন।

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এর জেরে তাঁর বিদেশ সফর সীমিত হয়ে পড়েছে। যদিও রাশিয়া যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং আইসিসির পদক্ষেপকে আপত্তিকর বলে অভিহিত করেছে। সৌদি আরব বা ইউএই— কোনো দেশই আইসিসির সদস্য নয়। ফলে দেশ দুটিতে পুতিনের গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা নেই।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

সৌদি প্রিন্স সালমানের সঙ্গে বৈঠক করতে মধ্যপ্রাচ্যে পুতিন

আপডেট : ০৫:২৮:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠক করতে মধ্যপ্রাচ্যে পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার পুতিন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে পৌঁছান। সেখানে আবুধাবির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পুতিন। এরপর পুতিন সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবেন। খবর রয়টার্সের।

আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে স্বাগত জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান।

২০১৯ সালের পর পুতিনের সঙ্গে প্রিন্স সালমানের এটি প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ হতে যাচ্ছে। বৈঠকে তেল উৎপাদন, ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরায়েল–হামাস সংঘাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো স্থান পাবে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।

ওপেক ও এর সহযোগী দেশগুলোর তেল উৎপাদন কমানোর পরও বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ায় পুতিন এ সফরের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

ক্রেমলিন জানায়, বিশ্বের ৪০ শতাংশ তেল উৎপাদনকারী ওপেক ও এর সহযোগী দেশগুলোর তেল উৎপাদন ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে বৈঠকে। সৌদি–রাশিয়ার সমন্বয় বিশ্ব তেল বাজারে একটি স্থিতিশীল ও পূর্বাভাসযোগ্য পরিস্থিতি বজার রাখবে।

মধ্যপ্রাচ্যে ক্রেমলিনের প্রধানের শেষ সফর ছিল ২০২২ সালের জুলাই মাসে, যখন তিনি ইরানে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পুতিন মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নীতিকে ব্যর্থ বলে আসছেন এবং আরব মিত্র এবং ইরানের সাথে সাথে হামাসের সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে তোলায় জোর দিয়েছেন।

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এর জেরে তাঁর বিদেশ সফর সীমিত হয়ে পড়েছে। যদিও রাশিয়া যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং আইসিসির পদক্ষেপকে আপত্তিকর বলে অভিহিত করেছে। সৌদি আরব বা ইউএই— কোনো দেশই আইসিসির সদস্য নয়। ফলে দেশ দুটিতে পুতিনের গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা নেই।