০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে আসবে শৈত্যপ্রবাহ

চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ বা শেষের দিকে উত্তরবঙ্গে শৈত্যপ্রবাহের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার (৭ই ডিসেম্বর) আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ এই কথা জানান।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাব কেটে গেলেই কমে আসবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা। মৌসুমের শেষ ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের হানায় বিপর্যস্ত ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ-তামিলনাড়ু উপকূল। আর এ ঝড়েরই প্রভাব পড়েছে দেশের আবহাওয়ায়। গত দুদিন ধরেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে নানা জেলায়।

এদিকে, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও আশেপাশের এলাকা থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। ইতোমধ্যে এটি দুর্বল হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ এবং পরে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। যার প্রভাবে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরের পর থেকে তা কমে যাবে।

আবহাওয়া অফিসের আরেক আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান গতকাল বুধবার বলেন, আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেলেই শীতের তীব্রতা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে। আশঙ্কা করছি যে, শুক্রবারের পর থেকেই শীতের তীব্রতা কিছুটা বাড়বে। আর বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে শীতের তীব্রতা বেশি বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, শনিবার (৯ ডিসেম্বর) থেকে রাতের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। অর্থাৎ শীত অনূভূত হবে। সেই সঙ্গে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে। সর্বোপরি, চলতি বছর আর ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত থেকে গোটা দেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এসময়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে যশোরে। শুক্রবার দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি কমে যাবে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, আজ বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পযন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। তবে কাল বৃষ্টি কমে গেলেও আকাশ মেঘলা থাকবে। শনিবার থেকে সারাদেশের আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকবে। বৃষ্টিপাতের কারণে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময়ে দেশের সর্বোচ্চ ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে।

অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা য়েছে।

এছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলা ও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পাশাপাশি দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে আসবে শৈত্যপ্রবাহ

আপডেট : ১০:৫২:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ বা শেষের দিকে উত্তরবঙ্গে শৈত্যপ্রবাহের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার (৭ই ডিসেম্বর) আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ এই কথা জানান।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাব কেটে গেলেই কমে আসবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা। মৌসুমের শেষ ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের হানায় বিপর্যস্ত ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ-তামিলনাড়ু উপকূল। আর এ ঝড়েরই প্রভাব পড়েছে দেশের আবহাওয়ায়। গত দুদিন ধরেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে নানা জেলায়।

এদিকে, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও আশেপাশের এলাকা থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। ইতোমধ্যে এটি দুর্বল হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ এবং পরে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। যার প্রভাবে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরের পর থেকে তা কমে যাবে।

আবহাওয়া অফিসের আরেক আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান গতকাল বুধবার বলেন, আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেলেই শীতের তীব্রতা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে। আশঙ্কা করছি যে, শুক্রবারের পর থেকেই শীতের তীব্রতা কিছুটা বাড়বে। আর বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে শীতের তীব্রতা বেশি বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, শনিবার (৯ ডিসেম্বর) থেকে রাতের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। অর্থাৎ শীত অনূভূত হবে। সেই সঙ্গে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে। সর্বোপরি, চলতি বছর আর ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত থেকে গোটা দেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এসময়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে যশোরে। শুক্রবার দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি কমে যাবে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, আজ বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পযন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। তবে কাল বৃষ্টি কমে গেলেও আকাশ মেঘলা থাকবে। শনিবার থেকে সারাদেশের আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকবে। বৃষ্টিপাতের কারণে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময়ে দেশের সর্বোচ্চ ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে।

অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা য়েছে।

এছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলা ও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পাশাপাশি দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।