টাকা দিয়ে ওয়েটারদের চড় খাওয়ার রেস্টুরেন্ট
- আপডেট সময় : ০৪:৩৭:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪৬৭ বার পড়া হয়েছে
মানুষজন আকৃষ্ট করতে অভিনব সব ইভেন্টের আয়োজন করে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ (রেস্টুরেন্ট)। নিয়ে আসে ব্যতিক্রম সব মেনু। তবে জাপানের একটি রেস্তোরাঁয় যা করা হয়, তা দেখে প্রায় অবাস্তবই মনে হবে। অর্থ পরিশোধ করে নারী ওয়েটারদের চড় খাওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে এই রেস্তোরাঁয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটারের নতুন নাম) এ নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ব্যাংকক ল্যাড। ভিডিওতে দাবি করা হয়, জাপানের নাগোয়া এলাকার ওই রেস্তোরাঁর নাম ‘শাচিহোকো–ইয়া’। সেখানে খেতে গেলে চড় খাওয়ার সুযোগ রয়েছে। যদিও রেস্তোরাঁটি দাবি করছে, এখন আর তারা এই ‘সেবা’ দিচ্ছেন না। এটি বন্ধ রয়েছে।
ব্যাংকক ল্যাডের ভিডিওতে দেখা যায়, রেস্তোরাঁয় খেতে আসা ক্রেতা বসে আছেন চেয়ারে। এরপর বাড়িয়ে দিচ্ছেন গাল। একজন নারী ওয়েটার সেই গালে একের পর এক চড় দিয়েই যাচ্ছেন। চড় খাওয়ার পর ব্যক্তিটি রাগ না করে বরং ধন্যবাদ দিচ্ছেন।
This is Shachihokoya – a restaurant in Nagoya – where you can buy a menu item called 'Nagoya Lady's Slap' for 300 yen pic.twitter.com/19qPM1Ohac
— Bangkok Lad (@bangkoklad) November 29, 2023
এনডিটিভি বলছে, ৩০০ ইয়েনের (২২৮) বিনিময়ে এই ‘সেবা’ পাওয়া যায় এ রেস্তোরাঁয়। এই পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করলে জাপানের ঐতিহ্যবাহী কিমোনো পোশাক পরা এক নারী ওয়েটার এসে একের পর এক থাপ্পড় দিয়ে যাবেন। এমনকি ওয়েটারদের মধ্যে কারও হাতে এই থাপ্পড় খেতে হলে গুনতে হবে ৫০০ ইয়েন (৩৮১ টাকা)। জাপানি নারী–পুরুষ ছাড়াও বিদেশিদের মধ্যে এই ইভেন্ট বেশ জনপ্রিয় বলেই ভিডিওতে উল্লেখ করা হয়।
ব্যাংকক ল্যাডের ভিডিওতে বলা হয়, চড়ের এই মেনুর নাম ‘নাগোয়া লেডিস স্ল্যাপ’। এই ভিডিওতে অনেকেই কমেন্ট করেছেন। তবে কেউ কেউ বলছেন, এটি এমানবিক। এ সম্পর্কিত আরেকটি ভিডিওর ক্যাপশনে বলা হচ্ছে, নারীরা যত জোরে থাপ্পড় দেন, লোকেরা তত খুশি হন। তারা নিজেদের আরও ক্লান্তিহীন মনে করেন।
২০১২ সালে প্রথম এই মেনু চালু করা হয়। প্রথমে একজন নারী ওয়েটার চড় মারার দায়িত্বে ছিলেন। পরে চাহিদা বেড়ে গেলে এই কাজের জন্য আরও নারী কর্মী নিয়োগ দিতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।
তবে এবার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এক্সে এক পোস্টে রেস্তোরাঁটি জানায়, এই মেনু তারা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন কেউ যেন এই মেনুর জন্য না আসেন।