ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজায় ১০৪ মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরায়েল

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৩:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসরায়েলি বোমা হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার সবচেয়ে বড় ও দেড় হাজার বছরের পুরোনো আল ওমারি মসজিদ। শুক্রবার মসজিদটির ধ্বংসস্তুপের ছবি প্রকাশ করে হামাস। গত ৭ অক্টোবর গাজায় হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১০৪টি মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরায়েল। ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য ইউনেস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস।

সপ্তম শতকে গাজা সিটির কেন্দ্রস্থলে নির্মিত হয় দ্য গ্রেট ওমারি মসজিদ। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমরের (রা.) নামে মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছিল।

ঐতিহ্যবাহী এই ইসলামিক স্থাপত্যকে বাতিঘর হিসেবে বিশ্বাস করেন গাজাবাসী। তাদের মতে, কেবল মুসলিমদের জন্যই নয়, এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব যেকোনো মানুষের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলে।

বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকটি সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই মসজিদ। এর মধ্যে ভূমিকম্পেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এটি। তবে প্রতিবারই একে নতুন করে নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে আর শেষ রক্ষা হলো না। একের পর এক হামলায় মাটির সাথে মিশে গেছে আল ওমারি মসজিদও। কেবল টিকে আছে দেড় বছর পুরোনো মসজিদটির মিনার।

আল ওমারি মসজিদ ছাড়াও এ পর্যন্ত গাজার ১০৪টি মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরায়েল। সেই সাথে গুড়িয়ে দিয়েছে ঐতিহ্যবাহী নানা নিদর্শন। এর মধ্যে রয়েছে দুই হাজার বছর পুরোনো সেন্ট পরফিরাস চার্চ। এছাড়া বিশ্বের তৃতীয় প্রাচীন রোমান কবরস্থান, জাদুঘরেও আঘাত হানে ইসরায়েল।

প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা ও ধ্বংস করাকে জঘন্য, বর্বর অপরাধ হিসেবে অভিহিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন থেকে ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য ইউনেস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ১০৪ মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরায়েল

আপডেট সময় : ০৫:৪৩:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩

ইসরায়েলি বোমা হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার সবচেয়ে বড় ও দেড় হাজার বছরের পুরোনো আল ওমারি মসজিদ। শুক্রবার মসজিদটির ধ্বংসস্তুপের ছবি প্রকাশ করে হামাস। গত ৭ অক্টোবর গাজায় হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১০৪টি মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরায়েল। ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য ইউনেস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস।

সপ্তম শতকে গাজা সিটির কেন্দ্রস্থলে নির্মিত হয় দ্য গ্রেট ওমারি মসজিদ। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমরের (রা.) নামে মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছিল।

ঐতিহ্যবাহী এই ইসলামিক স্থাপত্যকে বাতিঘর হিসেবে বিশ্বাস করেন গাজাবাসী। তাদের মতে, কেবল মুসলিমদের জন্যই নয়, এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব যেকোনো মানুষের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলে।

বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকটি সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই মসজিদ। এর মধ্যে ভূমিকম্পেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এটি। তবে প্রতিবারই একে নতুন করে নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে আর শেষ রক্ষা হলো না। একের পর এক হামলায় মাটির সাথে মিশে গেছে আল ওমারি মসজিদও। কেবল টিকে আছে দেড় বছর পুরোনো মসজিদটির মিনার।

আল ওমারি মসজিদ ছাড়াও এ পর্যন্ত গাজার ১০৪টি মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরায়েল। সেই সাথে গুড়িয়ে দিয়েছে ঐতিহ্যবাহী নানা নিদর্শন। এর মধ্যে রয়েছে দুই হাজার বছর পুরোনো সেন্ট পরফিরাস চার্চ। এছাড়া বিশ্বের তৃতীয় প্রাচীন রোমান কবরস্থান, জাদুঘরেও আঘাত হানে ইসরায়েল।

প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা ও ধ্বংস করাকে জঘন্য, বর্বর অপরাধ হিসেবে অভিহিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন থেকে ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য ইউনেস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।