০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত, মাস শেষে শৈত্যপ্রবাহ

দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমলেও শিগগিরই শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা নেই। তবে চলতি মাসের শেষের দিকে উপকূলীয় ও উত্তরাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন। ভোরে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে, দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বেশি। উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দিনাজপুরে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহওয়া অফিস।

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, চলিত সপ্তাহে দুইদিনের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পরে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বাড়ছে শীতের প্রকোপ। ডিসেম্বর মাস শেষে এই জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানান তিনি।

আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, বর্তমানে আবহাওয়া স্বাভাবিক রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দিনের সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কেটে যাবে। এই সময়ের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহের কোনো শঙ্কা নেই।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, টেকনাফ ও তেঁতুলিয়ায় চলতি মাসের শেষের দিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলে ও নদী অববাহিকায় মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

এছাড়া বলা হয়েছে, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। বর্ধিত পাঁচদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমশ কমতে পারে।

পঞ্চগড় থেকে কনকনে শীতে মানুষের জীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে ছিন্নমুল মানুষ। দরিদ্র মানুষরা শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছে। দিনের বেলাতেও যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। সন্ধ্যার পরপরই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডা।

খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টায় সাধারন মানুষ। দুর্ভোগে পড়েছেন এ জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র না থাকায় চরম দুর্ভোগে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের।

এদিকে, শীত জেঁকে বসেছে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামেও। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ঠান্ডার জবুথবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিস। যা আগামীতে আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

দেখা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা গোটা জনপদ। শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছে নদ নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষজন। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে জেলায় শীত অনুভূত হচ্ছে। ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

লালমনিরহাটে ঘনকুয়াশার কারনে দিনভর ঢাকা থাকছে সূর্য। মাগুরায় শীতের কারনে নিউমোনিয়া, জ্বর কাশিসহ নানা ধরনের রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। জয়পুরহাটে দিনের অধিকাংশ সময় ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে পুরো জেলা। জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে গাড়ি চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।

অন্যদিকে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের উপমহাব‍্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, ঘন কুয়াশায় কারণে শনিবার রাত ১টা থেকে দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সে সময় মাঝনদীতে আটকা পড়ে চারটি ফেরি। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় অর্ধশত যানবাহন আটকা পড়ে। তাতে ভোগান্তিতে পড়ে চালক ও যাত্রীরা। কুয়াশা কেটে গেলে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় ফেরি চলাচল শুরু হয়। মাঝনদীতে আটকে থাকা ফেরিগুলো ঘাটে ভেড়ে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত, মাস শেষে শৈত্যপ্রবাহ

আপডেট : ০৬:২৫:৩২ পূর্বাহ্ন, রোববার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমলেও শিগগিরই শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা নেই। তবে চলতি মাসের শেষের দিকে উপকূলীয় ও উত্তরাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন। ভোরে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে, দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বেশি। উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দিনাজপুরে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহওয়া অফিস।

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, চলিত সপ্তাহে দুইদিনের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পরে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বাড়ছে শীতের প্রকোপ। ডিসেম্বর মাস শেষে এই জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানান তিনি।

আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, বর্তমানে আবহাওয়া স্বাভাবিক রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দিনের সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কেটে যাবে। এই সময়ের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহের কোনো শঙ্কা নেই।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, টেকনাফ ও তেঁতুলিয়ায় চলতি মাসের শেষের দিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলে ও নদী অববাহিকায় মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

এছাড়া বলা হয়েছে, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। বর্ধিত পাঁচদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমশ কমতে পারে।

পঞ্চগড় থেকে কনকনে শীতে মানুষের জীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে ছিন্নমুল মানুষ। দরিদ্র মানুষরা শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছে। দিনের বেলাতেও যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। সন্ধ্যার পরপরই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডা।

খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টায় সাধারন মানুষ। দুর্ভোগে পড়েছেন এ জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র না থাকায় চরম দুর্ভোগে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের।

এদিকে, শীত জেঁকে বসেছে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামেও। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ঠান্ডার জবুথবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিস। যা আগামীতে আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

দেখা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা গোটা জনপদ। শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছে নদ নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষজন। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে জেলায় শীত অনুভূত হচ্ছে। ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

লালমনিরহাটে ঘনকুয়াশার কারনে দিনভর ঢাকা থাকছে সূর্য। মাগুরায় শীতের কারনে নিউমোনিয়া, জ্বর কাশিসহ নানা ধরনের রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। জয়পুরহাটে দিনের অধিকাংশ সময় ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে পুরো জেলা। জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে গাড়ি চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।

অন্যদিকে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের উপমহাব‍্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, ঘন কুয়াশায় কারণে শনিবার রাত ১টা থেকে দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সে সময় মাঝনদীতে আটকা পড়ে চারটি ফেরি। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় অর্ধশত যানবাহন আটকা পড়ে। তাতে ভোগান্তিতে পড়ে চালক ও যাত্রীরা। কুয়াশা কেটে গেলে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় ফেরি চলাচল শুরু হয়। মাঝনদীতে আটকে থাকা ফেরিগুলো ঘাটে ভেড়ে।