ঢাকা ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নৌকার প্রার্থীদের সম্পদের পাহাড়

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:১০:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪২৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ময়মনসিংহে বেশিরভাগ নৌকার প্রার্থীরই পাহাড় সমান সম্পদ। টানা দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য থাকার পর কারও সম্পদ বেড়েছে ৫০ গুণ, কারও আবার ১২৭ গুণ। এবারের হলফনামা বিশ্লেষণে মিলেছে এসব তথ্য।

ময়মনসিংহ-১০ আসনে টানা দুইবারের সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল। এবারও নৌকার টিকিট পেয়ে নির্বাচন করছেন। হলফনামায় দেয়া তথ্য বলছে, ১০ বছরে তার আয় বেড়েছে ১২৭ গুণ। দশ বছর আগে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত টাকা ছিল ৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা; তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা। আর তার নিজের নামে দেখিয়েছেন ২২০ ভরি স্বর্ণ। স্ত্রীর ৫’শ ভরি।

ময়মনসিংহ-১১ আসনে দ্বিতীয়বারের মতো নৌকার টিকিট পেয়েছেন কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু। পাঁচ বছর আগের হলফনামায় নগদ টাকা দেখিয়েছিলেন চার লাখ টাকা; তবে এবার তা বেড়ে হয়েছে আড়াই কোটি টাকা। স্বর্ণও বেড়েছে একশ ভরি। গত পাঁচ বছরে তার ব্যবসায়িক আয়, ব্যাংকে জমাকৃত টাকার উন্নতি ঘটেছে। কিনেছেন জমি-বিলাসবহুল গাড়িও।

গত দশ বছরে আর্থিক ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেছে, ময়মনসিংহ-২ ফলুপুর তারাকান্দা আসনের নৌকার প্রার্থী শরীফ আহমেদের। ২০১৪ সাল থেকেই তিনি সংসদ সদস্য আর ২০১৮ সালে হয়েছেন গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী। দশ বছর আগে তার বার্ষিক আয় ছিল প্রায় আড়াই লাখ টাকা। এখন তা বেড়েছে ৫৪ গুণ। জমাকৃত টাকা রয়েছে প্রায় পৌনে চার কোটি। তার সিংহভাগ আয় মাছচাষ করে।

ময়মনসিংহ-৭ আসনের সংসদ হাফেজ রুহুল আমীন মাদানীর ২০১৮ ও ২০২৩ সালের হলফনায় তার ও দুই ছেলের ব্যাংক ও নগদ টাকা, আয় এবং স্থাবর সম্পত্তির কোন পরিবর্তন হয়নি। গতবার তার বার্ষিক নগদ আয় ছিল তিন লাখ, এবারও তাই দেখিয়েছেন। তবে বেড়েছে ঋণের পরিমাণ।

ময়মনসিংহ -১ আসনে তৃতীয়বারের মতো নৌকার মাঝি ও সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং। তার নামে ব্যাংকে কোন ঋণ খেলাপি নেই, তবে এই সময়ে নগদ টাকার পরিমাণ ২ লাখ টাকা থেকে হয়েছে ৩৯ লাখ ৪ হাজার টাকা।

ময়মনসিংহ- ৬ আসনে আওয়ামী লীগের টানা ছয়বারের সংসদ মোসলেম উদ্দিন। তবে, দীর্ঘ সময়ে তার নগদ ও সম্পদের পরিমাণ খুব একটা বাড়েনি। কৃষি জমি, বাড়ি ভাড়া, এবং ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় তার ৩৮ লাখ টাকা। আর হাতে নগদ দেখিয়েছেন দুই কোটির কিছু বেশি। যদিও, পাঁচ বছর আগে এর পরিমাণ ছিল ৫১ লাখে। তার নেই কোন ব্যাংক ঋণ।

এছাড়া ময়মনসিংহ ৩, ৪, ৫, ৮, ৯ আসনে এবার নৌকার নতুন মুখ। তাদের সবার নগদ ও সম্পত্তি মিলে কোটি টাকা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

নৌকার প্রার্থীদের সম্পদের পাহাড়

আপডেট সময় : ০৮:১০:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

ময়মনসিংহে বেশিরভাগ নৌকার প্রার্থীরই পাহাড় সমান সম্পদ। টানা দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য থাকার পর কারও সম্পদ বেড়েছে ৫০ গুণ, কারও আবার ১২৭ গুণ। এবারের হলফনামা বিশ্লেষণে মিলেছে এসব তথ্য।

ময়মনসিংহ-১০ আসনে টানা দুইবারের সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল। এবারও নৌকার টিকিট পেয়ে নির্বাচন করছেন। হলফনামায় দেয়া তথ্য বলছে, ১০ বছরে তার আয় বেড়েছে ১২৭ গুণ। দশ বছর আগে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত টাকা ছিল ৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা; তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা। আর তার নিজের নামে দেখিয়েছেন ২২০ ভরি স্বর্ণ। স্ত্রীর ৫’শ ভরি।

ময়মনসিংহ-১১ আসনে দ্বিতীয়বারের মতো নৌকার টিকিট পেয়েছেন কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু। পাঁচ বছর আগের হলফনামায় নগদ টাকা দেখিয়েছিলেন চার লাখ টাকা; তবে এবার তা বেড়ে হয়েছে আড়াই কোটি টাকা। স্বর্ণও বেড়েছে একশ ভরি। গত পাঁচ বছরে তার ব্যবসায়িক আয়, ব্যাংকে জমাকৃত টাকার উন্নতি ঘটেছে। কিনেছেন জমি-বিলাসবহুল গাড়িও।

গত দশ বছরে আর্থিক ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেছে, ময়মনসিংহ-২ ফলুপুর তারাকান্দা আসনের নৌকার প্রার্থী শরীফ আহমেদের। ২০১৪ সাল থেকেই তিনি সংসদ সদস্য আর ২০১৮ সালে হয়েছেন গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী। দশ বছর আগে তার বার্ষিক আয় ছিল প্রায় আড়াই লাখ টাকা। এখন তা বেড়েছে ৫৪ গুণ। জমাকৃত টাকা রয়েছে প্রায় পৌনে চার কোটি। তার সিংহভাগ আয় মাছচাষ করে।

ময়মনসিংহ-৭ আসনের সংসদ হাফেজ রুহুল আমীন মাদানীর ২০১৮ ও ২০২৩ সালের হলফনায় তার ও দুই ছেলের ব্যাংক ও নগদ টাকা, আয় এবং স্থাবর সম্পত্তির কোন পরিবর্তন হয়নি। গতবার তার বার্ষিক নগদ আয় ছিল তিন লাখ, এবারও তাই দেখিয়েছেন। তবে বেড়েছে ঋণের পরিমাণ।

ময়মনসিংহ -১ আসনে তৃতীয়বারের মতো নৌকার মাঝি ও সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং। তার নামে ব্যাংকে কোন ঋণ খেলাপি নেই, তবে এই সময়ে নগদ টাকার পরিমাণ ২ লাখ টাকা থেকে হয়েছে ৩৯ লাখ ৪ হাজার টাকা।

ময়মনসিংহ- ৬ আসনে আওয়ামী লীগের টানা ছয়বারের সংসদ মোসলেম উদ্দিন। তবে, দীর্ঘ সময়ে তার নগদ ও সম্পদের পরিমাণ খুব একটা বাড়েনি। কৃষি জমি, বাড়ি ভাড়া, এবং ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় তার ৩৮ লাখ টাকা। আর হাতে নগদ দেখিয়েছেন দুই কোটির কিছু বেশি। যদিও, পাঁচ বছর আগে এর পরিমাণ ছিল ৫১ লাখে। তার নেই কোন ব্যাংক ঋণ।

এছাড়া ময়মনসিংহ ৩, ৪, ৫, ৮, ৯ আসনে এবার নৌকার নতুন মুখ। তাদের সবার নগদ ও সম্পত্তি মিলে কোটি টাকা রয়েছে।