ঢাকা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রেলপথে পেট্রোলিং ও রাতে পাহারার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:৪০:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪৫৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চলমান বিরূপ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিরাপদ ট্রেন পরিচালনার জন্য রেলপথে প্রতি ঘণ্টা পেট্রোলিং এবং রাতে নিবিড় পাহারার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এদিকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রতিটি ট্রেন অন্তত ২-৩ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। এবিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ট্রেনগুলো ঢাকায় দেরিতে পৌঁছেছে বলে দেরিতে ছেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া বিশেষ কোনো কারণ নেই।

এদিকে বর্তমান রাজনৈতিক সহিংসতার কারণ দেখিয়ে রাতে ট্রেনের গতি কমিয়ে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে রেখে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকী সই করা এক পত্রে বিষয়টি জানা যায়।

তাতে বলা হয়, চলমান বিরূপ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিরাপদ ট্রেন পরিচালনার জন্য পূর্বাঞ্চলের ৯টি সেকশনে নিয়মিত ট্র্যাক পেট্রোলিং করতে হবে। একইসঙ্গে রাত্রিকালীন সময়ে অর্থাৎ রাত ১১টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত চলাচলরত ট্রেনগুলো নিয়ন্ত্রিত গতিতে অর্থাৎ ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন পরিচালনা করতে হবে।

ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় রেলওয়ে ট্রাকগুলো ওয়েম্যান, আরএনবি ও আনসার সদস্যদের মাধ্যমে দিনে এবং রাতে সার্বক্ষণিক পাহারার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যাতে প্রতি এক ঘণ্টায় সর্বনিম্ন একবার করে পেট্রোলিং করা হয়। এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য প্রতিটি কন্ট্রোল অফিসে কর্তব্যরত ওয়েম্যান, আরএনবি ও আনসার স্টাফদের মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ করতে হবে।

এছাড়া, বিশেষ করে রাত ১১টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত রেলওয়ে ট্র্যাকগুলো নিবিড়ভাবে পাহারার ব্যবস্থার বিষয়ে মনিটরিং করতে হবে। প্রয়োজনবোধে রেলওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও এসএসএই/ওয়েগণের অধীন স্টাফদের সমন্বয়ে অ্যাডভান্স পাইলটিংয়েরে ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে মোটর ট্রলি ও লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে; স্টেশন মাস্টার, পরিদর্শকরা ও এসএসএই/ওয়েগণ নিজ নিজ এলাকায় থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করে নিয়মিত কন্ট্রোল অফিসকে অবহিত করবেন।

আরও বলা হয়েছে, প্রত্যেক ডিইএন, এইএন এবং এসএসএই/ওয়েগন তাদের অধীন ওয়েম্যানদের এলাকা উল্লেখ করে তাদের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর ডিভিশনাল কন্ট্রোলে সরবরাহ করবেন; সেসব স্টাফদের ডিভিশনাল কন্ট্রোলের মোবাইল নম্বরগুলো সরবরাহ করবেন এবং কন্ট্রোলের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষার বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সুষ্ঠু ও নিরাপদ ট্রেন পরিচালনার স্বার্থে উপরোক্ত নির্দেশনাগুলো যথাযথ পরিপালন করে অত্র দপ্তরকে অবহিত করার নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

রেলপথে পেট্রোলিং ও রাতে পাহারার নির্দেশ

আপডেট সময় : ০৮:৪০:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

চলমান বিরূপ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিরাপদ ট্রেন পরিচালনার জন্য রেলপথে প্রতি ঘণ্টা পেট্রোলিং এবং রাতে নিবিড় পাহারার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এদিকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রতিটি ট্রেন অন্তত ২-৩ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। এবিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ট্রেনগুলো ঢাকায় দেরিতে পৌঁছেছে বলে দেরিতে ছেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া বিশেষ কোনো কারণ নেই।

এদিকে বর্তমান রাজনৈতিক সহিংসতার কারণ দেখিয়ে রাতে ট্রেনের গতি কমিয়ে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে রেখে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকী সই করা এক পত্রে বিষয়টি জানা যায়।

তাতে বলা হয়, চলমান বিরূপ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিরাপদ ট্রেন পরিচালনার জন্য পূর্বাঞ্চলের ৯টি সেকশনে নিয়মিত ট্র্যাক পেট্রোলিং করতে হবে। একইসঙ্গে রাত্রিকালীন সময়ে অর্থাৎ রাত ১১টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত চলাচলরত ট্রেনগুলো নিয়ন্ত্রিত গতিতে অর্থাৎ ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন পরিচালনা করতে হবে।

ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় রেলওয়ে ট্রাকগুলো ওয়েম্যান, আরএনবি ও আনসার সদস্যদের মাধ্যমে দিনে এবং রাতে সার্বক্ষণিক পাহারার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যাতে প্রতি এক ঘণ্টায় সর্বনিম্ন একবার করে পেট্রোলিং করা হয়। এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য প্রতিটি কন্ট্রোল অফিসে কর্তব্যরত ওয়েম্যান, আরএনবি ও আনসার স্টাফদের মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ করতে হবে।

এছাড়া, বিশেষ করে রাত ১১টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত রেলওয়ে ট্র্যাকগুলো নিবিড়ভাবে পাহারার ব্যবস্থার বিষয়ে মনিটরিং করতে হবে। প্রয়োজনবোধে রেলওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও এসএসএই/ওয়েগণের অধীন স্টাফদের সমন্বয়ে অ্যাডভান্স পাইলটিংয়েরে ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে মোটর ট্রলি ও লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে; স্টেশন মাস্টার, পরিদর্শকরা ও এসএসএই/ওয়েগণ নিজ নিজ এলাকায় থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করে নিয়মিত কন্ট্রোল অফিসকে অবহিত করবেন।

আরও বলা হয়েছে, প্রত্যেক ডিইএন, এইএন এবং এসএসএই/ওয়েগন তাদের অধীন ওয়েম্যানদের এলাকা উল্লেখ করে তাদের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর ডিভিশনাল কন্ট্রোলে সরবরাহ করবেন; সেসব স্টাফদের ডিভিশনাল কন্ট্রোলের মোবাইল নম্বরগুলো সরবরাহ করবেন এবং কন্ট্রোলের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষার বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সুষ্ঠু ও নিরাপদ ট্রেন পরিচালনার স্বার্থে উপরোক্ত নির্দেশনাগুলো যথাযথ পরিপালন করে অত্র দপ্তরকে অবহিত করার নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।