০৪:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে চায় বিএনপি জোট

এবার ‘বিজয় অথবা মৃত্যু’ এমন বার্তা দিয়ে সারাদেশে সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে চায় বিএনপি জোট। ১৮ই ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত আন্দোলনের শেষ ধাপের ফয়সালা করতে চায় বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর নেতারা। তৃণমূলে দেয়া হয়েছে এই বার্তা। এবার কেন্দ্রীয় নেতাদের মাঠে চায় বিএনপি’র হাইকমান্ড।

গত দেড় মাসে টানা চারদিন হরতাল ও ২২দিন অবরোধ কর্মসূচি দিয়েও সরকারের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান চাপ তৈরি করতে পারেনি বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ৩৬টিরও বেশি রাজনৈতিক দল।

২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ করতে না পারার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত অবরোধ, দ্বিতীয় দফায় ৫ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৭ নভেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত অবরোধ, তৃতীয় দফায় ৮ ও ৯ নভেম্বর, চতুর্থ দফায় ১২ ও ১৩ নভেম্বর, পঞ্চম দফায় ১৫ ও ১৬ নভেম্বর, ষষ্ঠ দফায় ২২ ও ২৩ নভেম্বর, সপ্তম দফায় ২৬ ও ২৭ নভেম্বর এবং অষ্টম দফায় ২৯ নভেম্বর অবরোধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া গত ১৯ নভেম্বর ভোর ৬টা থেকে ২১ নভেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী হরতালের ডাক দেয় দলটি। নবম দফায় (৩ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে (৫ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত চলে অবরোধ। ১০ম দফায় ৬ ডিসেম্বর (বুধবার) ভোর থেকে অবরোধ শুরু হয়, তা শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় পর্যন্ত চলবে। এছাড়া ১১তম দফায় মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩৬ ঘণ্টা অবরোধ ডাকে বিএনপি।

ঢাকায় আন্দোলন জোরদার না হওয়ায় হতাশ তৃণমূলের কর্মীরা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের এক মাসেরও কম সময় বাকি, তাই এবার শেষ ধাপের কর্মসূচি দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি ও জোটের নীতি নির্ধারকরা। ১৭ই ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার দেখে নতুন কর্মসূচি ও কৌশল নিয়ে মাঠে নামতে চায় বিএনপি জোট।

এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপি আগামীকাল সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতাল ডেকেছে। গতকাল শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে আগামী সোমবার দেশব্যাপী এই সর্বাত্মক সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।

বিএনপি’র দলীয় সূত্রগুলো বলছে, ভোট বর্জন করা নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত প্রায় ৬০টিরও বেশি রাজনৈতিক দলকে কাছে টানতে চায়। তবে হামলা-গ্রেপ্তার আতংক এড়িয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের মাঠে নামানোকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিএনপি ও জোটের নেতারা। এমনটাই জানালেন নাগরিক ঐক্যেও সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল।

তবে, ভোটে বাধার কারণ হতে পারে এমন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ১৮ই ডিসেম্বর থেকে বিধি নিষেধ জারি করেছে। এ অবস্থায় রাজপথে বিরোধী জোটের আন্দোলন-সংগ্রাম কতটুকু ফলপ্রসু হবে তা সময়ের ওপর নির্ভর করছে।

আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে চায় বিএনপি জোট

আপডেট : ০৫:৪৩:১৩ পূর্বাহ্ন, রোববার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

এবার ‘বিজয় অথবা মৃত্যু’ এমন বার্তা দিয়ে সারাদেশে সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে চায় বিএনপি জোট। ১৮ই ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত আন্দোলনের শেষ ধাপের ফয়সালা করতে চায় বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর নেতারা। তৃণমূলে দেয়া হয়েছে এই বার্তা। এবার কেন্দ্রীয় নেতাদের মাঠে চায় বিএনপি’র হাইকমান্ড।

গত দেড় মাসে টানা চারদিন হরতাল ও ২২দিন অবরোধ কর্মসূচি দিয়েও সরকারের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান চাপ তৈরি করতে পারেনি বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ৩৬টিরও বেশি রাজনৈতিক দল।

২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ করতে না পারার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত অবরোধ, দ্বিতীয় দফায় ৫ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৭ নভেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত অবরোধ, তৃতীয় দফায় ৮ ও ৯ নভেম্বর, চতুর্থ দফায় ১২ ও ১৩ নভেম্বর, পঞ্চম দফায় ১৫ ও ১৬ নভেম্বর, ষষ্ঠ দফায় ২২ ও ২৩ নভেম্বর, সপ্তম দফায় ২৬ ও ২৭ নভেম্বর এবং অষ্টম দফায় ২৯ নভেম্বর অবরোধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া গত ১৯ নভেম্বর ভোর ৬টা থেকে ২১ নভেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী হরতালের ডাক দেয় দলটি। নবম দফায় (৩ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে (৫ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত চলে অবরোধ। ১০ম দফায় ৬ ডিসেম্বর (বুধবার) ভোর থেকে অবরোধ শুরু হয়, তা শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় পর্যন্ত চলবে। এছাড়া ১১তম দফায় মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩৬ ঘণ্টা অবরোধ ডাকে বিএনপি।

ঢাকায় আন্দোলন জোরদার না হওয়ায় হতাশ তৃণমূলের কর্মীরা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের এক মাসেরও কম সময় বাকি, তাই এবার শেষ ধাপের কর্মসূচি দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি ও জোটের নীতি নির্ধারকরা। ১৭ই ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার দেখে নতুন কর্মসূচি ও কৌশল নিয়ে মাঠে নামতে চায় বিএনপি জোট।

এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপি আগামীকাল সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতাল ডেকেছে। গতকাল শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে আগামী সোমবার দেশব্যাপী এই সর্বাত্মক সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।

বিএনপি’র দলীয় সূত্রগুলো বলছে, ভোট বর্জন করা নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত প্রায় ৬০টিরও বেশি রাজনৈতিক দলকে কাছে টানতে চায়। তবে হামলা-গ্রেপ্তার আতংক এড়িয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের মাঠে নামানোকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিএনপি ও জোটের নেতারা। এমনটাই জানালেন নাগরিক ঐক্যেও সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল।

তবে, ভোটে বাধার কারণ হতে পারে এমন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ১৮ই ডিসেম্বর থেকে বিধি নিষেধ জারি করেছে। এ অবস্থায় রাজপথে বিরোধী জোটের আন্দোলন-সংগ্রাম কতটুকু ফলপ্রসু হবে তা সময়ের ওপর নির্ভর করছে।