০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ১১১

চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে গতকাল সোমবার রাতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে এখন পর্যন্ত ১১১ জন নিহত এবং আরও ২২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

গতকাল সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে গানসু প্রদেশে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পে গানসুসহ পার্শ্ববর্তী কিংহাই প্রদেশেও বহু ভবন ধসে পড়েছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫.৯ এবং গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। তবে দ্য ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ছিল ৬.১ মাত্রার। এটির উৎপত্তিস্থল গানসু প্রদেশের রাজধানী লানঝোর ১০২ কিলোমিটার পশ্চিম–দক্ষিণপশ্চিমে, ভূ–পৃষ্ঠের ৩৫ কিলোমিটার গভীরে।

ভূমিকম্পের পরপরই উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। প্রচণ্ড শীতের বিরুদ্ধে লড়াই করে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। গানসু প্রদেশে এখন তাপমাত্রা মাইনাস ১৩ ডিগ্রি।

গানসু তিব্বতি এবং লোয়েস মালভূমির মধ্যে অবস্থিত একটি প্রদেশ। এখানে চীনের মুসলিম হুই সম্প্রদায়ের মানুষেরা বেশি বাস করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের ভেতরে হতাহতদের অনুসন্ধান করছেন। ধসে পড়া ঘরের মেঝেতেও ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে। অনেক ঘরের ছাদ আংশিকভাবে ভেঙে পড়েছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং উদ্ধার তৎপরতার নির্দেশ দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘তল্লাশি ও উদ্ধারসহ সময়মতো আহতদের চিকিৎসা এবং হতাহতের সংখ্যা কমানোর জন্য সকল প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’

রাষ্ট্রীয় গণামাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, গানসুতে ১০০ জন নিহত এবং ৯৬ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে কিংহাই প্রদেশে ১১ জন নিহত এবং ১২৪ জন আহত হয়েছে। এসব এলাকার কিছু অংশে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহও বিঘ্নিত হয়েছে।

চীনে এই ধরনের ভূমিকম্প স্বাভাবিক ঘটনা। চলতি বছরের আগস্টে দেশটির পূর্বাঞ্চলে ৫.৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে কেউ নিহত না হলেও ২৩ জন আহত হয়। ধসে পড়ে বেশ কিছু ভবন।

সবশেষ সেপ্টেম্বরে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমে সিচুয়ান প্রদেশ ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬০ জনের বেশি মানুষ মারা যায়।

চীন এমন একটি টেকটোনিক প্লেটের ওপর অবস্থিত যেখানে ইউরেশীয়, ভারতীয় এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেট মিলিত হয়েছে। ফলে এখানে ভূমিকম্পের প্রবণতা বেশি।

এর আগে ১৯২০ সালে গানসুতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ২ লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। ভূমিকম্পটিকে বিশ শতকের বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্প হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

চীনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ১১১

আপডেট : ০৫:৪৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে গতকাল সোমবার রাতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে এখন পর্যন্ত ১১১ জন নিহত এবং আরও ২২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

গতকাল সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে গানসু প্রদেশে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পে গানসুসহ পার্শ্ববর্তী কিংহাই প্রদেশেও বহু ভবন ধসে পড়েছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫.৯ এবং গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। তবে দ্য ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ছিল ৬.১ মাত্রার। এটির উৎপত্তিস্থল গানসু প্রদেশের রাজধানী লানঝোর ১০২ কিলোমিটার পশ্চিম–দক্ষিণপশ্চিমে, ভূ–পৃষ্ঠের ৩৫ কিলোমিটার গভীরে।

ভূমিকম্পের পরপরই উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। প্রচণ্ড শীতের বিরুদ্ধে লড়াই করে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। গানসু প্রদেশে এখন তাপমাত্রা মাইনাস ১৩ ডিগ্রি।

গানসু তিব্বতি এবং লোয়েস মালভূমির মধ্যে অবস্থিত একটি প্রদেশ। এখানে চীনের মুসলিম হুই সম্প্রদায়ের মানুষেরা বেশি বাস করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের ভেতরে হতাহতদের অনুসন্ধান করছেন। ধসে পড়া ঘরের মেঝেতেও ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে। অনেক ঘরের ছাদ আংশিকভাবে ভেঙে পড়েছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং উদ্ধার তৎপরতার নির্দেশ দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘তল্লাশি ও উদ্ধারসহ সময়মতো আহতদের চিকিৎসা এবং হতাহতের সংখ্যা কমানোর জন্য সকল প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’

রাষ্ট্রীয় গণামাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, গানসুতে ১০০ জন নিহত এবং ৯৬ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে কিংহাই প্রদেশে ১১ জন নিহত এবং ১২৪ জন আহত হয়েছে। এসব এলাকার কিছু অংশে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহও বিঘ্নিত হয়েছে।

চীনে এই ধরনের ভূমিকম্প স্বাভাবিক ঘটনা। চলতি বছরের আগস্টে দেশটির পূর্বাঞ্চলে ৫.৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে কেউ নিহত না হলেও ২৩ জন আহত হয়। ধসে পড়ে বেশ কিছু ভবন।

সবশেষ সেপ্টেম্বরে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমে সিচুয়ান প্রদেশ ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬০ জনের বেশি মানুষ মারা যায়।

চীন এমন একটি টেকটোনিক প্লেটের ওপর অবস্থিত যেখানে ইউরেশীয়, ভারতীয় এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেট মিলিত হয়েছে। ফলে এখানে ভূমিকম্পের প্রবণতা বেশি।

এর আগে ১৯২০ সালে গানসুতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ২ লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। ভূমিকম্পটিকে বিশ শতকের বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্প হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।