ঢাকা ০৬:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এক ম্যাচ হারতেই সুর পাল্টে গেল পাকিস্তানের

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:১৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪২২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উইকেটের পেছনে কে দাঁড়াবে- প্রশ্নটা উঠেছিল পার্থ টেস্টের আগেই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে সরফরাজ আহমেদের ওপর ভরসা রেখেছিল পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ ও কোচ মোহাম্মদ হাফিজ। কিন্তু কোচ-অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি ৩৬ বছর বয়সী সরফরাজ। দুই ইনিংস মিলে ব্যাট হাতে করেছেন মাত্র ৭ রান। পাকিস্তানও পার্থ টেস্টে হেরেছে ৩৬০ রানে।

আগামীকাল মঙ্গলবার মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে মুখোমুখি হবে দুইদল। এ টেস্টের আগেও উইকেটকিপারের প্রশ্নটা ঘুরে ফিরে আসছিল। কিন্তু এবার আর সরফরাজের ওপর ভরসা রাখেনি পাকিস্তান। উইকেটকিপার হিসেবে মেলবোর্নে দেখা যাবে ৩১ বছর বয়সী মোহাম্মদ রিজওয়ানকে।

মেলবোর্ন টেস্টের একদিন আগে ১২ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। দলে তিনটি পরিবর্তন এনেছে সফরকারীরা। পার্থ টেস্টে পাকিস্তানের উইকেটের পেছন সামলানো সরফরাজ তো জায়গা হারিয়েছেনই, চোটের কারণে ছিটকে গেছেন তরুণ পেসার খুররম শেহজাদ। এছাড়া ব্যাটে-বলে হতাশাজনক পারফরম্যান্সে বাদ পড়েছেন ফাহিম আশরাফ।

মজার বিষয়, পাকিস্তানের ১২ সদস্যের দলে একমাত্র স্পিনার সাজিদ খান। মেলবোর্ন টেস্টের একাদশে যদি ৩০ বছর বয়সী এ অফ স্পিনারকে জায়গা না হয়, তবে পুরো পেস বোলিং নির্ভর আক্রমণ দেখা যাবে সফরকারীদের।

তবে পাকিস্তানের একাদশে সরফরাজ আহমেদের জায়গা হারানোটাই আলোচনার ঝড় তুলেছে। মূলত অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি উইকেটে অতীতে সরফরাজের সফলতার কারণে তাঁকে দলে নেওয়ার পক্ষে ছিলেন অধিনায়ক মাসুদ। সে সময় পাকিস্তান দলের পরিচালক ও কোচ হাফিজও রিজওয়ানের পরিবর্তে সরফরাজকে নেওয়ার পক্ষে ছিলেন। হাফিজ বলেছিলেন, সরফরাজ কেবল কয়েকটা কন্ডিশনে সফল, এমনটা বলা উচিত নয়।

কিন্তু পার্থে অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের গতির সামনে নড়বড়ে ছিলেন সরফরাজ। বিশেষ করে স্টার্ককে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি। দুই ইনিংসেই আউট হয়েছেন স্টার্কের বলে। প্রথম ইনিংসে ৩ রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও (৪ রান) দুই অঙ্কের দেখা পাননি এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

কোচ-অধিনায়ক অস্ট্রেলিয়াতে সরফরাজের পারফরম্যান্স নিয়ে সাফাই গাইলেও পরিসংখ্যান তেমনটা বলছে না। লাল বলের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াতে ১০ ইনিংস ব্যাট করে ২৯.৮৭ গড়ে ২৩৪ রান করেছেন সরফরাজ। অন্যদিকে ৪ ইনিংস খেলা রিজওয়ানের রান ৪৪.২৫ গড়ে ১৭৭।

মেলবোর্ন টেস্টের আগের সংবাদ সম্মেলনে স্বাভাবিকভাবেই পার্থ টেস্টের একাদশে সরফরাজের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন আসে। তবে এবার অধিনায়ক শান মাসুদ জানান, পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে লাল বলে সফরজারের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের কারণে সরফরাজকে দলে নেওয়ার পক্ষে ছিলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে মাসুদ বলেছেন, ‘ আমার মনে হয় না, একাদশে একটা পরিবর্তনে খেলার ভাগ্যে কোনো হেরফের হতো। (আমের জামাল ও খুররম শেহজাদ) যে কারণে খেলেছে, সরফরাজও একই কারণে খেলেছেন। মানুষ পরিসংখ্যান খোঁজে আর আর সেখানে রিজওয়ান এগিয়ে। কিন্তু আমি বলতে চাই, তাঁদের মধ্যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। তাঁরা দুজনেই দলের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। (দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে) তাঁদের মধ্যে কোনো প্রতিযোগিতা থাকলে সেটা দলের জন্যই ভালো।’

পার্থ টেস্টে সরফরাজকে একাদশে রাখার প্রসঙ্গে মাসুদ বলেছেন, ‘আমরা জানি রিজওয়ান কী করতে পারে। কিন্তু সর্বশেষ ২০১৬ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরে ৫৬.৫০ গড়ে ব্যাটিং করেছিলেন সরফরাজ। গত কয়েক বছর ধরে কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে লাল বলেও তিনি ধারাবাহিক পারফর্মার ছিলেন। সে কারণে আমরা তাঁকে (সরফরাজ) সুযোগ দিয়েছিলাম।’

মাসুদ আরও বলেছেন, ‘রিজওয়ান মাত্র সাদা বলের (ওয়ানডে) বিশ্বকাপ খেলেছেন। নিউজিল্যান্ড সিরিজে সরফরাজ দলে ফেরার পর থেকে টেস্ট থেকে দূরে তিনি (রিজওয়ান)। সে সিরিজে সরফরাজ দুর্দান্ত করেছেন। তাই আমরা তাঁর (সরফরাজের) পক্ষে ছিলাম।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এক ম্যাচ হারতেই সুর পাল্টে গেল পাকিস্তানের

আপডেট সময় : ০৮:১৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

উইকেটের পেছনে কে দাঁড়াবে- প্রশ্নটা উঠেছিল পার্থ টেস্টের আগেই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে সরফরাজ আহমেদের ওপর ভরসা রেখেছিল পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ ও কোচ মোহাম্মদ হাফিজ। কিন্তু কোচ-অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি ৩৬ বছর বয়সী সরফরাজ। দুই ইনিংস মিলে ব্যাট হাতে করেছেন মাত্র ৭ রান। পাকিস্তানও পার্থ টেস্টে হেরেছে ৩৬০ রানে।

আগামীকাল মঙ্গলবার মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে মুখোমুখি হবে দুইদল। এ টেস্টের আগেও উইকেটকিপারের প্রশ্নটা ঘুরে ফিরে আসছিল। কিন্তু এবার আর সরফরাজের ওপর ভরসা রাখেনি পাকিস্তান। উইকেটকিপার হিসেবে মেলবোর্নে দেখা যাবে ৩১ বছর বয়সী মোহাম্মদ রিজওয়ানকে।

মেলবোর্ন টেস্টের একদিন আগে ১২ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। দলে তিনটি পরিবর্তন এনেছে সফরকারীরা। পার্থ টেস্টে পাকিস্তানের উইকেটের পেছন সামলানো সরফরাজ তো জায়গা হারিয়েছেনই, চোটের কারণে ছিটকে গেছেন তরুণ পেসার খুররম শেহজাদ। এছাড়া ব্যাটে-বলে হতাশাজনক পারফরম্যান্সে বাদ পড়েছেন ফাহিম আশরাফ।

মজার বিষয়, পাকিস্তানের ১২ সদস্যের দলে একমাত্র স্পিনার সাজিদ খান। মেলবোর্ন টেস্টের একাদশে যদি ৩০ বছর বয়সী এ অফ স্পিনারকে জায়গা না হয়, তবে পুরো পেস বোলিং নির্ভর আক্রমণ দেখা যাবে সফরকারীদের।

তবে পাকিস্তানের একাদশে সরফরাজ আহমেদের জায়গা হারানোটাই আলোচনার ঝড় তুলেছে। মূলত অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি উইকেটে অতীতে সরফরাজের সফলতার কারণে তাঁকে দলে নেওয়ার পক্ষে ছিলেন অধিনায়ক মাসুদ। সে সময় পাকিস্তান দলের পরিচালক ও কোচ হাফিজও রিজওয়ানের পরিবর্তে সরফরাজকে নেওয়ার পক্ষে ছিলেন। হাফিজ বলেছিলেন, সরফরাজ কেবল কয়েকটা কন্ডিশনে সফল, এমনটা বলা উচিত নয়।

কিন্তু পার্থে অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের গতির সামনে নড়বড়ে ছিলেন সরফরাজ। বিশেষ করে স্টার্ককে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি। দুই ইনিংসেই আউট হয়েছেন স্টার্কের বলে। প্রথম ইনিংসে ৩ রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও (৪ রান) দুই অঙ্কের দেখা পাননি এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

কোচ-অধিনায়ক অস্ট্রেলিয়াতে সরফরাজের পারফরম্যান্স নিয়ে সাফাই গাইলেও পরিসংখ্যান তেমনটা বলছে না। লাল বলের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াতে ১০ ইনিংস ব্যাট করে ২৯.৮৭ গড়ে ২৩৪ রান করেছেন সরফরাজ। অন্যদিকে ৪ ইনিংস খেলা রিজওয়ানের রান ৪৪.২৫ গড়ে ১৭৭।

মেলবোর্ন টেস্টের আগের সংবাদ সম্মেলনে স্বাভাবিকভাবেই পার্থ টেস্টের একাদশে সরফরাজের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন আসে। তবে এবার অধিনায়ক শান মাসুদ জানান, পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে লাল বলে সফরজারের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের কারণে সরফরাজকে দলে নেওয়ার পক্ষে ছিলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে মাসুদ বলেছেন, ‘ আমার মনে হয় না, একাদশে একটা পরিবর্তনে খেলার ভাগ্যে কোনো হেরফের হতো। (আমের জামাল ও খুররম শেহজাদ) যে কারণে খেলেছে, সরফরাজও একই কারণে খেলেছেন। মানুষ পরিসংখ্যান খোঁজে আর আর সেখানে রিজওয়ান এগিয়ে। কিন্তু আমি বলতে চাই, তাঁদের মধ্যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। তাঁরা দুজনেই দলের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। (দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে) তাঁদের মধ্যে কোনো প্রতিযোগিতা থাকলে সেটা দলের জন্যই ভালো।’

পার্থ টেস্টে সরফরাজকে একাদশে রাখার প্রসঙ্গে মাসুদ বলেছেন, ‘আমরা জানি রিজওয়ান কী করতে পারে। কিন্তু সর্বশেষ ২০১৬ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরে ৫৬.৫০ গড়ে ব্যাটিং করেছিলেন সরফরাজ। গত কয়েক বছর ধরে কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে লাল বলেও তিনি ধারাবাহিক পারফর্মার ছিলেন। সে কারণে আমরা তাঁকে (সরফরাজ) সুযোগ দিয়েছিলাম।’

মাসুদ আরও বলেছেন, ‘রিজওয়ান মাত্র সাদা বলের (ওয়ানডে) বিশ্বকাপ খেলেছেন। নিউজিল্যান্ড সিরিজে সরফরাজ দলে ফেরার পর থেকে টেস্ট থেকে দূরে তিনি (রিজওয়ান)। সে সিরিজে সরফরাজ দুর্দান্ত করেছেন। তাই আমরা তাঁর (সরফরাজের) পক্ষে ছিলাম।’